পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا فَنُقَبِّلُ يَدَ النَّبِيِّ صَلَّـى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَه
অর্থ: আমরা যখন মদীনা শরীফ উনার মধ্যে আগমন করতাম, তখন তাড়াতাড়ি করে নিজেদের সওয়ারী থেকে নেমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মাগফিরাত মুবারকে (পবিত্র হাত মুবারকে) এবং নূরুদ দারাজাত মুবারকে (পবিত্র ক্বদম মুবারকে) বুছা দিতাম। সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ, মু’জামুছ ছাহাবাহ্, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী, শরহুস সুন্নাহ্, শু‘আবুল ঈমান বাকি অংশ পড়ুন...
(১৩) হযরত আবুল খায়ের আকতা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এক সময় লেবাননের পাহাড়ে থাকতেন। একদিন সেই দেশের বাদশাহ এসে ঐ পাহাড়ের সকল ফকীরকে একটি করে দীনার দিলেন। হযরত আবুল খায়ের আকতা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও দীনার গ্রহণ করলেন। কিন্তু তিনি সঙ্গে সঙ্গে উনার এক সঙ্গীর কোলে দীনারটি ফেলে দিলেন। অতঃপর তিনি উনার সঙ্গীসহ মাল-সামানা নিয়ে শহরের দিকে রওয়ানা হলেন। ঘটনাক্রমে তাড়াহুড়ার মধ্যে তিনি বিনা অজুতে পবিত্র কুরআন শরীফ উঠিয়ে নিজের সঙ্গে নিলেন।
উনারা যখন একটি বাজারের সামনে এলেন তখন দেখলেন যে, একদল লোক কিছু চোরের খোঁজ করছে। লোকজন সূফীদের বাকি অংশ পড়ুন...
ইতিহাস সাক্ষী দেয় সমগ্র মুসলিম জাহানে জাতীয়ভাবে মহাপবিত্র এবং মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন হতো। এ প্রসঙ্গে কিতাবে লিখিত আছে-
وذكر العلامة شهاب الدين أحمدُ المقريّ في كتابه "نفح الطيب" أن السلطان أبا حمو موسى صاحب تلمسان في القرن الثامن الهجري كان يحتفلُ ليلة مولد رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم غايةَ الاحتفال كما كان ملوك المغرب والأندلس في ذلك العصر وما قبله، وذكر الحافظ أبو عبد الله التّنَّسيّ أنه كان يقيم ليلة المولدِ النبوي اجتماعًا يجتمع إليه الناس خاصّة وعامة،
“হযরত আল্লামা শিহাবুদ্দীন আহমদ মাকরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “নাফহুত ত্বীব” কিতাবে লিখেন, নিশ্চয়ই সুলতান আবু হামভীল মুসা যিনি তালামিসানের (আ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত কি কি?
জাওয়াব:
পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে- (১) মুসলমান হওয়া, (২) স্বাধীন হওয়া, (৩) মুক্বীম হওয়া, (৪) বালেগ হওয়া, (৫) মালিকে নিসাব হওয়া, (৬) পাগল না হওয়া অর্থাৎ আক্বলমন্দ হওয়া।
পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ১০ তারিখের ছুবহে ছাদিক হতে ১২ তারিখের সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি কেউ মালিকে নিসাব হয় অর্থাৎ হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (নিত্য প্রয়োজনীয় ধন-সম্পদ) বাদ দিয়ে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ ভরি রূপা বা তার সমপরিমাণ মূল্যের মালিক হয়, তাহলে তার উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব।
উল্ বাকি অংশ পড়ুন...
إِنْ تُبْدُوا شَيْئًا أَوْ تُخْفُوهُ
তোমাদের অন্তরে সেটা বা সে বিষয় পুশিদা থাকুক অথবা তোমরা প্রকাশ করো।
فَإِنَّ اللهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সে সমস্ত বিষয় অবগত রয়েছেন। অর্থাৎ তোমাদের অন্তরে যা কিছু চুপিয়ে রাখ অথবা প্রকাশ করে থাক সে সকল বিষয় সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবগত রয়েছেন। ”
এই আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছিল কেন? এই আয়াত শরীফের শানে নুযূল সম্পর্কে বলা হয়, একবার কয়েকজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আসলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে। এসে উনারা পরস্প বাকি অংশ পড়ুন...
মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ভেঙ্গে ফেলা সুন্নত
দলীল
এ প্রসঙ্গে নব্যমূর্তিপূজারী ও মুশরিক ওলামায়ে সূ’দের ব্যাপারেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, বিশিষ্ট তাবেয়ী ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত হযরত ইমাম ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
مِنَ السُّنَّةِ اَنْ تُـهْدَمَ الْكَـنَائِسُ اَلَّتِـىْ فِـى الْاَمْصَارِ الْقَدِيْـمَةِ وَالْـحَدِيْـثَةِ
“নতুন শহরসমূহে এবং পুরাতন শহরসমূহে যে সমস্ত গির্জা, মন্দির, প্যাগোডা রয়েছে, সেগুলি ভেঙ্গে ফেলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। ” সুবহানাল্লাহ!
বাকি অংশ পড়ুন...
সউদি আরব যেভাবে যিলক্বদ মাস গণনা করছে তাতে এটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে, আগামী ২৭শে মে, মঙ্গলবার হবে তাদের ২৯শে যিলক্বদ অর্থাৎ পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাসের চাদ তালাশের দিন। আর তাদের উম্মুল কুরা ক্যালেন্ডারে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাসের শুরু আগাম দেখানো আছে ২৮ মে, বুধবার থেকে।
এটা সকলেরই জানা, হিজরী সনের প্রতিটি মাস শুরু হতে হবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে। চাঁদ দেখা গেলে মাসটি ২৯ দিনে গুনতে হবে আর দেখা না গেলে মাসটি ৩০ দিনে পূর্ণ করতে হবে। এটি সম্মানিত হাদীছ শরীফ দ্বারা সমর্থিত এবং সকল মাযহাবে মাস শুরুর ক্ষেত্রেই এই ফতওয়াই প্রদান করা হয়েছে।
বর্ত বাকি অংশ পড়ুন...
হুয়াঈ ইবনে আখতাব কর্তৃক ইহুদী কা’ব ইবনে আসাদকে প্ররোচনা:
অবশেষে ইহুদী কা’ব নত হয়ে গেলো। হুয়াঈ তাকে এই শর্তে রাজি করতে সক্ষম হলো যে, কুরাইশ ও গাতফানরা যদি মুসলমানদের কিছু করতে না পারে, ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায় তবে হুয়াঈ কা’বের দুর্গে প্রবেশ করবে এবং তার সাথে একই ভাগ্য বরণ করে নিবে। নাউযুবিল্লাহ! এভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সাথে ইহুদী কা’ব ইবনে আসাদ এর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেলো। (সীরাতে ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি)
কা’ব ইব বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনার আলোকে দুইজনের ফতওয়ার সাথে বিপরীত বা পরস্পর বিরোধী হলে, তাদের দুই জনের বাহ্যিক আমলকে যাঁচাই করা ও তল্লাশী করা ফরয। তা হলো-
১। প্রথমেই তাদের দুই জনের, কে ফাসিক ও কে মুত্তাক্বী এটা বের করতে হবে। কেননা ফাসিকের ফতওয়া মান্য করা হারাম, আর মুত্তাক্বী বা পরহেযগার উনার ফতওয়া গ্রহণ করা ফরয। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
ان الله لا يهدى القوم الفاسقين ـ
অর্থাৎ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ফাসিক সম্প্রদায়কে সঠিক পথে পরিচালিত করেন না। (পবিত্র সূরাতুল মুনাফিকূন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
যে বা যারা ফরজ, ওয় বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সুস্পষ্ট বর্ণনা দ্বারা খেলাধুলাকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لَاعِبِينَ
অর্থ: আমি আসমান ও যমীন এবং এতদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা ক্রীড়াচ্ছলে অর্থাৎ খেলাধুলার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি। (পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬)
এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিখ্যাত ও বিশুদ্ধ কিতাব ‘মুস্তাদরাক লিল হাকিম শরীফ ’উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সা বাকি অংশ পড়ুন...












