মেছালস্বরূপ বলা হয়, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের শানে মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করেছেন। উনাদের ফযীলত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন-
اِتَّبِعُوا مَنْ لَا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُمْ مُهْتَدُونَ
“তোমরা এমন ব্যক্তিদেরকে অনুসরণ করো, যারা কোন বিনিময় গ্রহণ করেন না; وَهُمْ مُهْتَدُونَ অথচ উনারা হিদায়েতপ্রাপ্ত।”
এটা নবীদের জন্য খাছ। সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা বিনা বিনিময়ে, কোন কিছু গ্রহণ না করে, উনারা মানুষকে হিদায়েতের কথা বলেছেন। হিদায়েতের বাণী পৌঁছিয়েছেন, কোন বিনিময় গ্রহণ করেননি। এটা হচ্ছে নবীদের জন্য খাছ।
এখন সেই আয়াত শরীফের উপর যদি কেউ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত তাবেঈনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও মূর্তি ধ্বংস করেছেন
দলীল
এ ছাড়াও উমাইয়া শাসক ওয়ালিদ ইবনে আব্দুল মালিকের শাসনকালে মুসলিম ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনাপতি বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত কুতাইবা ইবনে মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জিহাদ ও সন্ধির মাধ্যমে মুশরিকদের নিকট থেকে সমরকন্দ বিজয় করেন। উক্ত শহরে একটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক এবং মিম্বার তৈরির পর তিনি শহরে প্রবেশ করেন।
فَصَلّٰى فِـى الْمَسْجِدِ وَخَطَبَ وَتَـغَدّٰى وَاُتِـىَ بِالْاَصْنَامِ الَّتِـىْ لَـهُمْ فَسُلِـبَتْ بَـيْـنَ يَدَيْهِ وَاُلْقِيَتْ بَـعْضُهَا فَـوْقَ بَـعْضٍ حَتّٰـى صَارَتْ كَالْقَص বাকি অংশ পড়ুন...
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلٰى تِجَارَةٍ تُنْجِيْكُم مِّنْ عَذَابٍ أَلِيْمٍ . تُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ وَتُجَاهِدُوْنَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ ۚ ذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنتُمْ تَعْلَمُوْنَ.
অর্থ: হে ঈমানদারগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটা ব্যবসার কথা বলে দেবো, যা তোমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি দিবে? তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উপর পবিত্র ঈমান আনবে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করবে। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বাকি অংশ পড়ুন...
কাফিল পাদ্রীর ভয়াবহ পরিণতি:
অতঃপর আনুষ্ঠানিকভাবে রিসালাত মুবারক প্রকাশের পর একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র কা’বা শরীফ তাওয়াফ করছিলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য গুঁই সাপ রূপী কাফিল পাদ্রী আবূ কুবায়েছ পাহাড় থেকে নেমে কাট্টা কাফির আবূ জাহিলের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে হঠাৎ আবূ জাহিল ঘর থেকে বের হয়ে দেখলো একটি বড় গুঁই সাপ। সে একটি লাঠি নিয়ে গুঁই সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেললো।
অতঃপর বাকি অংশ পড়ুন...
আর দ্বিতীয় বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে- সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হিজরত মুবারক করার পর পবিত্র মদীনা শরীফে তাশরীফ মুবারক আনলেন, তখন প্রত্যেকেই প্রত্যেকের অবস্থানস্থল ঠিক করে নিলেন। সে সময় দূর-দূরান্ত থেকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আসতে লাগলেন।
পরিচিত-অপরিচিত, স্থানীয়-অস্থানীয় সকলেই এসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ছোহবত মুবারক বা সাক্ষাত লাভ কর বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের আমল মুবারক
৩য় দলীল
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدِّهٖ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَـيْـرِنَا
“হযরত আমর বিন শু‘আইব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার সম্মানিত পিতা উনার থেকে এবং তিনি উনার সম্মানিত দাদা (হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু) উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক বাকি অংশ পড়ুন...
(১০) একদিন হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে এক নাপিতের কাছে গেলেন। তখন নাপিত একজন দরবেশের চুল কাটছিলো। হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়াস্তে তুমি আমার চুল কেটে দিতে পারবে?” নাপিত তৎক্ষনাৎ রাজী হলো এবং তার চক্ষুদ্বয় অশ্রুপূর্ণ হয়ে উঠলো। তখনও দরবেশের চুল কাটা শেষ হয়নি। তথাপি নাপিত দরবেশকে সশ্রদ্ধে বললো, আপনি উঠুন, আপনার কাজ শেষ করতে পারলাম না। কেননা মহান আল্লাহ পাক উনার নাম যখন উচ্চারিত হয়েছে তখন আমি পূর্ণ বিনিময় প্রাপ্ত হয়েছি। কাজেই আগে আমাকে সে কা বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফ-এ মাস ও বছরের উপস্থিতি:
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাহিবজাদা শায়েখ হযরত সাইফুদ্দীন আব্দুল ওহাব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেছেন, “এমন কোন মাস ছিলো না, যেটা আমার আব্বাজান উনার খিদমতে হাজির হয়নি। নতুন চাঁদ উদিত হওয়ার আগেই প্রতিটি মাস হাজির হতো এবং মহান আল্লাহ পাক কর্তৃক নির্ধারিত নিয়তিতে সে মাসে কোন দুর্ঘটনা হওয়ার থাকলে, কোন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে বা ক বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করলে তার কি হুকুম?
জাওয়াব:
কোন এক পূর্ণ অঙ্গ অথবা তার চেয়ে অধিক স্থানে সুগন্ধি ব্যবহার করলে দম দেয়া ওয়াজিব হবে। আর যদি কোন এক অঙ্গের চেয়ে কম স্থানে সুগন্ধি ব্যবহার করে তাহলে ছদকা দেয়া ওয়াজিব হবে।
আর যদি কেউ কোন ওজরে অথবা বিশেষ কারণে সুগন্ধি লাগায় বা ব্যবহার করে অথবা মাথা কামায় অথবা সেলাই করা কাপড় পরে তাহলে তাকে নিম্নের তিনটি হুকুমের যে কোন একটি হুকুম অবশ্যই পালন করতে হবে।
(১) ইচ্ছা করলে সে একটি ছাগল কুরবানী করতে পারে।
(২) অথবা ছয়জন মিসকীনকে ‘তিন ছা’ (১০ সের ১১ ছটাক) খাদ্য বন্টন করে দিবে।
(৩) অ বাকি অংশ পড়ুন...
পর্দা ফরয করার জন্য প্রথম যে আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন তা সূরা আহযাব শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَانِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا. وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا. وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
এই আয় বাকি অংশ পড়ুন...












