মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ مَنَعَ مَسَاجِدَ اللهِ أَنْ يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُه‘ وَسَعَى فِي خَرَابِهَا اُولٰئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ اَنْ يَدْخُلُوهَا إِلَّا خَائِفِينَ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ.
অর্থ: ওই ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে? যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত মসজিদসমূহে উনার যিকির মুবারক করতে, উনার সম্মানিত নাম মুবারক উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় বা বিরাণ করতে চেষ্টা করে। তাদের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় অর্থাৎ খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করা ব্যতীত মসজিদসমূহে প্রবেশ করা জায়ি বাকি অংশ পড়ুন...
(৪) হযরত সাহল ইবনে আবদুল্লাহ তাস্তারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইন্তিকালের সময় মারিফতে ও হাক্বীক্বতে কামিল চারশত মুরীদ উনার নিকটবর্তী ছিলেন। একজন জিজ্ঞেস করলেন, “হযরত! আপনার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন? যে আপনার মিন্বরে বসে ওয়াজ করবেন? তিনি বললেন, শাদে-দিল। ”
শাদে-দিল একজন অগ্নিপূজক, তখন যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন, উত্তর শুনে সকলে বললেন, হযরত! তিনি মৃত্যু যন্ত্রনায় অজ্ঞান অবস্থায় আছেন। হযরত সাহল তাস্তারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সকলের এ মন্তব্য শুনে বললেন, গোলমাল করো না; যাও শাদে-দিলকে ডেকে আনো। তাকে ডাকা হলো। তিনি তাকে দেখে বললেন, তুমি বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ فَإِنَّ أَوَّلَ فِتْنَةِ بَنِى إِسْرَائِيلَ كَانَتْ فِى النِّسَاءِ
“হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ
“তোমরা দুনিয়া থেকে সতর্ক থাক এবং সাথে সাথে মেয়েদের কাছ থেকেও সতর্ক থাক। ”
فَإِنَّ أَوَّلَ فِتْنَةِ بَنِى إِسْرَائِيلَ كَانَتْ فِى النِّسَاءِ
“নিশ্চয় বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়া’ মূর্তি ধ্বংস করার নির্দেশ মুবারক
১ম দলীল
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আমর ইবনে আছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে একদল সৈন্যসহ হুযায়েল গোত্রের (سُوَاع) সুওয়া’ নামক বড় মূর্তিটি ধ্বংস করার জন্য প্রেরণ করেন। (আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ ৩/২০৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশীদ ৬/১৯৮, আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ্ ১/৩৯৫, শরহুয যারক্বানী ৩/৪৯০, উয়ূনুল আছার ২/২৩৩, আল মুন্তাযিম ফী তারীখুল মুলুক ওয়াল উমাম ৩/৩৩০ ইত্যাদি)
২য় দলীল
এটা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে রিহা বাকি অংশ পড়ুন...
ক্বলবের ক্বিবলা হচ্ছেন- “শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা। ” উনার ফায়েজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত ও মা’রিফাত মুবারকের ফায়িজে মুরীদ ফায়েজিয়াব বা ফায়েজপ্রাপ্ত হয়, ক্বলব ও অন্যান্য লতীফাসমূহে যিকির জারী হয়। অতঃপর ক্বলবসহ (অন্তর) সমস্ত লতীফা পরিশুদ্ধ হয় এবং ইখলাছ পয়দা হয়। আর তখনই মুরীদের পক্ষে গাইরুল্লাহ মুক্ত হয়ে একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য ইবাদত করা সহজ ও সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, নামাজের ক্বিবলা বা কা’বা শরীফ উনার ন্যায় ক্বিবলায়ে কু বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
হজ্জ আদায়ের ছহীহ্ পদ্ধতি বা নিয়ম কি?
জাওয়াব:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
হজ্জ আদায়কারী ৮ই যিলহজ্জ ফজর নামায মক্কা শরীফে পড়ে মিনার দিকে রওয়ানা হবে। মিনাতে যোহর, আছর, মাগরিব, ইশা ও ফজর আদায় করবে। অতঃপর সেখান থেকে আরাফার ময়দানে যাবে অর্থাৎ ৯ই যিলহজ্জ আরাফার ময়দানে সারাদিন অবস্থান করবে। আরাফার ময়দানে ইমাম ছাহেব খুৎবার মাধ্যমে আরাফার কার্যসমূহ শুরু করবেন। খুৎবান্তে যোহরের ওয়াক্তে ইমাম ছাহেব এক আযান ও দুই ইকামতে যোহর ও আছরের নামায পড়াবেন।
যে ব্যক্তি নিজ স্থানে একা একা নামায আদায় করবে সে যোহরের ওয়াক্তে যোহরের নামায, আছরের ওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
كُونُوا رَبَّانِيِّينَ
“তোমরা সকলেই আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও। ”
অর্থাৎ মাথার তালু হতে পায়ের তলা এবং হায়াত থেকে মউত পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত ও মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হতে হবে।
পর্দার ফাযায়েল-ফযীলত, হুকুম-আহ্কাম, গুরুত্ব-তাৎপর্য সম্পর্কে জানা প্রত্যেক বালেগ এবং বালেগা মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরযে আইন।
হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
بُنِىَ الإِسْلاَمُ عَ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِىْ فَلَوْ أَنَّ اَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهُ
অর্থ: তোমরা আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। কেননা যদি তোমাদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে, তবুও ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের এক মুদ (১৪ ছটাক) বা অর্ধ মুদ (৭ ছটাক) গম দান করার ফযীলতের সমপরিমাণ ফযীলতও অর্জন করতে পারবে না। (বুখারী শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...












