হাদীছ শরীফের দৃষ্টিতে গোঁফ বা মোঁছের আহকাম:
কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহে গোঁফ বা মোঁছের ব্যাপারে যতগুলো শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, তার প্রত্যেকটির দ্বারাই গোঁফ ছেটে খাট বা ছোট করে রাখার নির্দেশ পাওয়া যায়। হলক্ব বা চেছে ফেলা নয়। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- قَصُّ الشَّارِبِ মোঁছ কাটা حُدُّوا شَوَارِبَكُمْ তোমাদের মোঁছ ধর (খাট কর) اِنْهَكُوا الشَّوَارِبَ মোঁছ কাট جُزُّوا الشَّوَارِبَ মোঁছ ভালরুপে ছোট করো أَحْفُوا الشَّوَارِبَ মোঁছ অধিক খাট করো। উল্লেখিত হাদীছ শরীফের একটির দ্বারাও حلق الشَّارِبِ বা গোঁফ বা মোঁছ চেছে ফেলার প্রমাণ পাওয়া যায় না। বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফের দৃষ্টিতে গোঁফ বা মোঁছের আহকাম:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِنْ فِطْرَةِ الْإِسْلَامِ أَخْذُ الشَّارِبِ وَإِعْفَاءُ اللِّحٰى، فَإِنَّ الْمَجُوسَ تُعْفِي شَوَارِبَهَا، وَتُحْفِي لِحَاهَا، فَخَالِفُوهُمْ، حُدُّوا شَوَارِبَكُمْ، وَاعْفُوا لِحَاكُمْ.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, গোঁফ কাটা ও দাড়ি লম্বা রাখা ইসলামী বাকি অংশ পড়ুন...
একমুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে দাড়ি কর্তন ও মু-নকারী ইমামের পিছনে নামায পড়ার হুকুম:
কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ লম্বা দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। আর এক মুষ্ঠির কমে দাড়ি চাছা ও কাটা হারাম।
শরীয়ত উনার ফায়সালা হলো- যারা সর্বদা ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তরক করে অথবা সর্বদা হারাম কাজে লিপ্ত, শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে তারা ফাসিকের অর্ন্তভুক্ত। আর সর্বসম্মতিক্রমে ফাসেকের পিছনে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী।
অতএব, যারা দাড়ি এক মুষ্ঠি হওয়ার পূর্বে কাটে বা ছাটে, তারা ফরয তরক করা বা হারাম কাজে লিপ্ত থাকার কারণে ফাসেকের অন্তর্ভুক্ত। এরূপ ব বাকি অংশ পড়ুন...
নীম দাড়ির পরিচয় ও তার আহকাম:
নীচের ঠোট ও থুৎনীর মধ্যবর্তী ছোট ছোট দাড়িকে নীম দাড়ি বা বাচ্চা দাড়ি বলা হয়। অনেকে এ দাড়ির আহকাম না জানার কারণে তা কেটে ফেলে বা চেছে ফেলে। অথচ শরীয়তের হুকুম মোতাবেক উক্ত নীম দাড়ি ছাটা বা কাটাও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও মাকরূহে তাহরীমী।
এ প্রসঙ্গে ফিক্বাহর বিখ্যাত কিতাব ফতওয়ায়ে আলমগীরীতে উল্লেখ আছে যে-
وَنَتْفُ الْفَنْبَكَيْنِ بِدْعَةٌ وَهُمَا جَانِبَا الْعَنْفَقَةِ وَهِيَ شَعْرُ الشَّفَةِ السُّفْلَى كَذَا فِي الْغَرَائِبِ وكذا فى الشامى
অর্থ: নীচের ঠোটের নিম্নবর্তী লোম বা কেশসমূহ ছাটা বা কাটা বিদয়াত অর্থাৎ বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ অনুরূপ গারায়ে বাকি অংশ পড়ুন...
দাড়ির শরয়ী তা’রীফ বা পরিচয়:
পূর্বে উল্লেখিত বর্ণনার সার সংক্ষেপ হলো- যাক্বান, ইযার ও আরেজে যে লোমসমূহ উঠে উহাকে দাড়ি বলে। নিম্নে যাক্বান, ইযার ও আরেজ -এর লোগাতী বা আভিধানিক অর্থ তুলে ধরা হলো। যার কারণে বিষয়টি আরো সুস্পষ্টভাবে বুঝে আসবে যে, কোন স্থানসমূহের লোমসমূহ দাড়ির অন্তর্ভুক্ত।
اَلْعَارِضُ- صَفْحَةُ الْخَدَّيْنِ
অর্থ : আরেজ” অর্থ : গালের পার্শ্বদেশ
اَلْعِذَارُ= جَانِبُ اللِّحْيَةِ الشّعْرُ الَّذِي يُحَاذِي الْأذُنِ مَانَبَتَ عَلَيْهِ ذَالِكَ الشَّعْرُ
ইযার অর্থ : দাড়ির প্রান্ত কানের নিকটবর্তী স্থানের পশম, অর্থাৎ যে হাড়ের উপর উক্ত পশম উঠে।
اَلذَّقَنُ- بَمَعْنَى- تَهَوُّر বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আমল দ্বারা একমুষ্ঠি দাড়ির প্রমাণ:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিশাল ভা-ার হতে সবচেয়ে অধিক পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী ছাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আমল মুবারক দ্বারাও একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ির আহকাম প্রমাণিত হয়। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يَقْبِضُ عَلَى لِحْيَتِهِ فيَأْخُذُ مَا فَضَلَ عَنِ الْقُبْضَةِ.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকেও বর্ণিত যে, তিনি দাড়ি নিজ মুষ্ঠিতে আবদ্ বাকি অংশ পড়ুন...
দাড়ি রাখার ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার নির্দেশ:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ أَمَرَ بِإِحْفَاءِ الشَّوَارِبِ وَإِعْفَاءِ اللِّحْيَةِ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করে বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন গো বাকি অংশ পড়ুন...
দাড়ি রাখা সুন্নত না ফরয?
মূলতঃ দাড়ি কাটা হারাম হওয়ার ব্যাপারে হানাফী, মালিকী, শাফেয়ী ও হাম্বলী মাযহাবের সকল ইমাম, মুজতাহিদগণ একমত। এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে-
قَدْ اِتَّفَقَتِ الْمَذَاهِبُ الْاَرْبَعَةُ عَلٰى وُجُوْبِ تَوْفِيْرِ اللِّحْيَةِ وَحُرْمَةِ حَلْقِهَا
অর্থ: নিঃসন্দেহে চার মাযহাবের ইমাম উনারা এ ব্যাপারে একমত যে, দাড়ি (এক মুষ্ঠি পরিমাণ) লম্বা করা ওয়াজিব এবং কাটা বা মু-ন করা হারাম। (কিতাবুল ইবদা)
এছাড়াও বাহরুর রায়েক, ফতহুল ক্বাদীর, শরাম্বলালিয়া ইত্যাদি বিশ্ববিখ্যাত কিতাবসমূহেও দাড়ি কাটা নাজায়েয (হারাম) বলা হয়েছে।
সুতরাং অকাট্য ও সুস্পষ্ট দ বাকি অংশ পড়ুন...
দাড়ি রাখা সুন্নত না ফরয?
দাড়ি লম্বা করা ইসলামী শেয়ার বা ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত এবং সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত মুবারক। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে- তবে কি দাড়ি রাখা উম্মতে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা মুসলমানদের জন্যে সুন্নত? এর জবাব হলো- হ্যাঁ, দাড়ি রাখা সাধারণভাবে সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত এ অর্থে, যেহেতু সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা দাড়ি রেখেছেন। মূলতঃ এদিক থেকে শরীয়ত উনার সকল আমল যেমন নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদিও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আহকামের দিক থেকে সেগুলো ফরয। অনুরূপ দ বাকি অংশ পড়ুন...
বিধর্মীদের অনুসরণ করা হারাম:
মূলতঃ দাড়ি চেঁছে ফেলা ও গোঁফ লম্বা রাখা বিধর্মীদের অনুসরণ হওয়ার শামিল, যা শরীয়তে সম্পূর্ণ হারাম। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ فِطْرَةِ الْإِسْلاَمِ أَخْذُ الشَّارِب، وَإِعْفَاءُ اللِّحَى، فَإِنَّ الْمجُوسَ تُعْفِي شَوَارِبَهَا وَتُحْفِي لِحَاهَا، فَخَالِفُوهُمْ، فَحُفُّوا شَوارِبَكُمْ وَاعْفُوا لِحَاكُمْ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাব বাকি অংশ পড়ুন...
অভিশপ্ত ইবলিস শয়তানের অঙ্গীকার:
হযরত আবুল বাশার আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সিজদা না করার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন ইবলিসের গলায় লা’নতের তবকা পরিয়ে জান্নাত থেকে বের করে দেন, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে ইবলিস যে অঙ্গীকার করেছিল, তা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে এভাবে বর্ণিত হয়েছে-
وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللهِ وَمَنْ يَّتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّنْ دُونِ اللهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُبِيْنًا
অর্থ: (ইবলিস শয়তানের অঙ্গীকার) আর আমি তাদের (বান্দাদের) মহান মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিকৃত আকৃতি পরিবর্তন বা বিকৃত করার আদেশ করবো। (মহান বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ حُمَيْدٍ اَمْرَأَةُ أَبِيْ حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ اَنَّهَا جَاءَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنِّـىْ اُحِبُّ الصَّلٰوةَ مَعَكَ, قَالَ عَلِمْتُ أَنَّكَ تُحِبِّيْنَ الصَّلَاةَ مِعِىْ, وَصَلَاتُكِ فِيْ بَيْتِكِ خَيْرٌ لَّكِ مِنْ صَلَاتِكِ فِي حُجْرَتِكِ وَصَلَاتُكِ فِي حُجْرَتِكِ خَيْرٌ مِّنْ صَلَاتِكِ فِي دَارِكِ وَصَلَاتُكِ فِيْ دَارِكِ خَيْرٌ لَّكِ مِنْ صَلَاتِكِ فِيْ مَسْجِدِ قَوْمِكِ وَصَلَاتُكِ فِيْ مَسْجِدِ قَوْمِكِ خَيْرٌ لَّكِ مِنْ صَلَاتِكِ فِيْ مَسْجِدِىْ, قَالَ فَاَمَرَتْ فَبُنِىَ لَهَا مَسْجِدٌ, فِيْ أَقْصٰى شَيْءٍ مِّنْ بَيْتِهَا وَأَظْلَمِهٖ فَكَانَتْ تُصَلِّي বাকি অংশ পড়ুন...












