দাড়ি রাখার ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার নির্দেশ:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ أَمَرَ بِإِحْفَاءِ الشَّوَارِبِ وَإِعْفَاءِ اللِّحْيَةِ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করে বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন গো বাকি অংশ পড়ুন...
দাড়ি রাখা সুন্নত না ফরয?
মূলতঃ দাড়ি কাটা হারাম হওয়ার ব্যাপারে হানাফী, মালিকী, শাফেয়ী ও হাম্বলী মাযহাবের সকল ইমাম, মুজতাহিদগণ একমত। এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে-
قَدْ اِتَّفَقَتِ الْمَذَاهِبُ الْاَرْبَعَةُ عَلٰى وُجُوْبِ تَوْفِيْرِ اللِّحْيَةِ وَحُرْمَةِ حَلْقِهَا
অর্থ: নিঃসন্দেহে চার মাযহাবের ইমাম উনারা এ ব্যাপারে একমত যে, দাড়ি (এক মুষ্ঠি পরিমাণ) লম্বা করা ওয়াজিব এবং কাটা বা মু-ন করা হারাম। (কিতাবুল ইবদা)
এছাড়াও বাহরুর রায়েক, ফতহুল ক্বাদীর, শরাম্বলালিয়া ইত্যাদি বিশ্ববিখ্যাত কিতাবসমূহেও দাড়ি কাটা নাজায়েয (হারাম) বলা হয়েছে।
সুতরাং অকাট্য ও সুস্পষ্ট দ বাকি অংশ পড়ুন...
দাড়ি রাখা সুন্নত না ফরয?
দাড়ি লম্বা করা ইসলামী শেয়ার বা ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত এবং সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত মুবারক। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে- তবে কি দাড়ি রাখা উম্মতে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা মুসলমানদের জন্যে সুন্নত? এর জবাব হলো- হ্যাঁ, দাড়ি রাখা সাধারণভাবে সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত এ অর্থে, যেহেতু সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা দাড়ি রেখেছেন। মূলতঃ এদিক থেকে শরীয়ত উনার সকল আমল যেমন নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদিও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আহকামের দিক থেকে সেগুলো ফরয। অনুরূপ দ বাকি অংশ পড়ুন...
বিধর্মীদের অনুসরণ করা হারাম:
মূলতঃ দাড়ি চেঁছে ফেলা ও গোঁফ লম্বা রাখা বিধর্মীদের অনুসরণ হওয়ার শামিল, যা শরীয়তে সম্পূর্ণ হারাম। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ فِطْرَةِ الْإِسْلاَمِ أَخْذُ الشَّارِب، وَإِعْفَاءُ اللِّحَى، فَإِنَّ الْمجُوسَ تُعْفِي شَوَارِبَهَا وَتُحْفِي لِحَاهَا، فَخَالِفُوهُمْ، فَحُفُّوا شَوارِبَكُمْ وَاعْفُوا لِحَاكُمْ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাব বাকি অংশ পড়ুন...
অভিশপ্ত ইবলিস শয়তানের অঙ্গীকার:
হযরত আবুল বাশার আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সিজদা না করার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন ইবলিসের গলায় লা’নতের তবকা পরিয়ে জান্নাত থেকে বের করে দেন, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে ইবলিস যে অঙ্গীকার করেছিল, তা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে এভাবে বর্ণিত হয়েছে-
وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللهِ وَمَنْ يَّتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّنْ دُونِ اللهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُبِيْنًا
অর্থ: (ইবলিস শয়তানের অঙ্গীকার) আর আমি তাদের (বান্দাদের) মহান মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিকৃত আকৃতি পরিবর্তন বা বিকৃত করার আদেশ করবো। (মহান বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ حُمَيْدٍ اَمْرَأَةُ أَبِيْ حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ اَنَّهَا جَاءَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنِّـىْ اُحِبُّ الصَّلٰوةَ مَعَكَ, قَالَ عَلِمْتُ أَنَّكَ تُحِبِّيْنَ الصَّلَاةَ مِعِىْ, وَصَلَاتُكِ فِيْ بَيْتِكِ خَيْرٌ لَّكِ مِنْ صَلَاتِكِ فِي حُجْرَتِكِ وَصَلَاتُكِ فِي حُجْرَتِكِ خَيْرٌ مِّنْ صَلَاتِكِ فِي دَارِكِ وَصَلَاتُكِ فِيْ دَارِكِ خَيْرٌ لَّكِ مِنْ صَلَاتِكِ فِيْ مَسْجِدِ قَوْمِكِ وَصَلَاتُكِ فِيْ مَسْجِدِ قَوْمِكِ خَيْرٌ لَّكِ مِنْ صَلَاتِكِ فِيْ مَسْجِدِىْ, قَالَ فَاَمَرَتْ فَبُنِىَ لَهَا مَسْجِدٌ, فِيْ أَقْصٰى شَيْءٍ مِّنْ بَيْتِهَا وَأَظْلَمِهٖ فَكَانَتْ تُصَلِّي বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামে পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
অর্থ: যে ব্যক্তি ‘ইসলাম’ ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম তালাশ করবে, তার থেকে উহা কবুল করা হবেনা, বরং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থের অন্তর্ভুক্ত হবে। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)
অতএব, কেউ যদি পরকালে ধ্বংস হতে নাযাত পেতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই দ্বীন ইসলাম উনার যে নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা রয়েছে, তা পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে। এক কথায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূর বাকি অংশ পড়ুন...
এখানে উল্লেখ্য যে, মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি উম্মতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্যে দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কালামে পাকে ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে-
اَلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِيْنًا
অর্থ: আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম, তোমাদের উপর আমার নিয়ামত সমাপ্ত করলাম এবং তোমাদের জন্যে পবিত্র ইসলাম উনাকেই দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)
আর তাই মহান আল্লাহ প বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা দান করেছেন, অর্থাৎ ‘আশরাফুল মাখলূকাত’ করেছেন। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালামে পাকে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آدَمَ
অর্থ: আমি বনী আদম তথা মানবজাতিকে সম্মানিত করেছি।
কিন্তু কথা হলো- শুধু মানুষ বা ‘আশরাফুল মাখলূকাত’ হিসাবে সৃষ্টি হওয়াই কি কামিয়াবী বা সফলতা? কখনো নয়। কারণ, যদি তাই হতো তবে আবূ জাহিল, আবূ লাহাব জাহান্নামী হতো না, কেননা তারাও মানুষ ছিল।
মূলতঃ মানব জাতির ‘আশরাফিয়াত’ তখনই বজায় থাকবে, যখন তারা মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম-আহকামের প্রতি প বাকি অংশ পড়ুন...
টুপি সম্পর্কে যে বিস্তারিত ও দলীল ভিত্তিক ফতওয়া প্রদান করা হয়েছে, তার মূল বিষয় বস্তুগুলো হলো-
১। পূর্বে যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় এবং বর্তমানে দৈনিক আল ইহসান শরীফ পত্রিকায় “খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে” বিশুদ্ধ, সঠিক ও শরীয়তসম্মত ফায়সালা প্রদান করার মূল মাকছুদ হলো- সত্যান্বেষী বা হক্ব তালাশী সমঝদার মুসলমানগণের নিকট সত্য বা হক্ব বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা, যেন প্রত্যেকেই খাছ সুন্নতী টুপি সম্পর্কে অবগত হতে পারে এবং সুন্নত মোতাবেক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার সম্মানিত রসূল, সা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম! দৃষ্টিকে অনুসরণ করবেন না। প্রথম দৃষ্টি (যা অনিচ্ছা সত্ত্বে পতিত হয় তা) ক্ষমা করা হবে; কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না।” অর্থাৎ প্রতি দৃষ্টিতে একটি কবীরা গুণাহ্ লেখা হয়ে থাকে। (আহমদ, তিরমিযী শ বাকি অংশ পড়ুন...












