(২৮)
الفقيه هو العالـم باصول الشريعة واحكامها.
অর্থ: যে আলিম ব্যক্তি শরীয়তের মূলনীতি ও শরীয়তের যাবতীয় বিধানাবলী সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞাত তিনিই ফক্বীহ। (আল মু’জামুল ওয়াজীয ৪৭৮ পৃষ্ঠা)
৮. الـمذهب (আল মাযহাব): শব্দটি একবচন। এর বহুচন مذاهب ‘মাযাহিব’। এর আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হচ্ছে: পথ, পদ্ধতি, দ্বীন, জীবন ব্যবস্থা, মত, আদর্শ, বিশ্বাস, কর্মপন্থা, চলার পথ, মূল, ছিরাত, হিযব, আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত, মাযহাব।
উল্লেখ্য, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস অনুযায়ী বর্তমানে মাযহাব চারটা। যথা: হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী ও হাম্বলী।
শরীয়ত উনার পরিভাষায় ‘মাযহাব’ বাকি অংশ পড়ুন...
(২৩)
الفقه فى علم الشريعة الاسلامية اصول الدين.
অর্থ: ইসলামী শরীয়ত উনার (পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও পবিত্র ক্বিয়াস উনাদের) পূর্ণ জ্ঞান অর্জনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতিকে ফিক্বহ বলা হয়। (আল মু’জামুল ওয়াজীয- ডক্টর ইবরাহীম মাদকূর ৪৭৮ পৃষ্ঠা)
(২৪)
وقد يطلق الفقه على علم النفس بما لها وما عليها، فيشتمل جميع العلوم الدينية، ولذا سمى ابو حنيفة رحمه الله الكلام بالفقه الاكبر.
অর্থ: মূলতঃ কল্যাণময় ও ক্ষতিকর বিষয়ের ব্যাপারে অন্তরের উপলব্ধিকে ফিক্বহ বলা হয়। এক্ষেত্রে সকল প্রকার পবিত্র দ্বীনী শিক্ষা ফিক্বহের অন্তর্ভুক্ত। এজন্যই হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা বাকি অংশ পড়ুন...
(১৭)
الاجماع وفى اصطلاح الاصوليين هو اتفاق خاص، وهو اتفاق الـمجتهدين من امة محمد صلى الله عليه وسلم فى عصر على حكم شرعى. فالـمراد بالاتفاق الاشتراق فى الاعتقاد او الاقوال او الافعال او السكوت او التقرير.
অর্থ: উছূলবিদগণের দৃষ্টিতে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে একমত হওয়াকে ইজমা বলে। ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়- একই যুগে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের মধ্যে ইমাম মুজতাহিদ উনাদের কর্তৃক কোন শরয়ী বিধান উনাদের ব্যাপারে একমত পোষণ করাকে ইজমা বলা হয়।
ইত্তিফাক (ইজমা) দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, ঈমান-আক্বীদা, বক্তব্য, কাজ, চুপ থাকা অথবা সম্মতির মাধ্যমে ফয়সালায় বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকারী, কটাক্ষকারী, অবমাননাকারীদেরকে শরঈ শাস্তি প্রদান করা ওয়াজিব
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে, উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সম্পর্কে, উনার সম্মানিতা আওয়াজে মুত্বহহারাত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে এবং উনার সম্ম বাকি অংশ পড়ুন...
শরীয়ত উনার পরিভাষায় সুন্নাহ শরীফ উনার পরিচিতি:
(১০)
السنة فى الشريعة هى الطريقة الـمسلوكة فى الدين من غير افتراض ولا وجوب، وايضا ماصدر عن النبى صلى الله عليه وسلم من قول او فعل او تقرير على وجه التاسى.
অর্থ: ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় ফরজ ও ওয়াজিব ব্যতীত দ্বীন ইসলাম উনার উৎকৃষ্ট নিয়ম-নীতিকে সুন্নত বলা হয়। এছাড়াও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা মুবারক, কাজ মুবারক ও মৌন সম্মতি মুবারককেও সুন্নাহ শরীফ বলা হয়। (আত তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ- মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হা বাকি অংশ পড়ুন...
উম্মতের প্রতি কুরবানী করার আদেশ ও ওছিয়ত মুবারক
২য় দলীল
অপর বর্ণনায় রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنَّهٗ كَانَ يُضَحِّىْ بِكَبْشَيْـنِ اَحَدُهُـمَا عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْاٰخَرُ عَنْ نَّـفْسِهٖ فَقِيْلَ لَهٗ فَـقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصَانِــىْ اَنْ اُضَحِّىَ عَنْهُ فَاَنَا اُضَحِّىْ عَنْهُ
“বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত হানাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে বর্ণনা করেন, ইমামুল আউওয়াল সাইয় বাকি অংশ পড়ুন...
২। الحديث (আল হাদীছ): حديث শব্দটি একবচন। এর বহুবচন احاديث -এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ, কথা মুবারক, বার্তা মুবারক, আলোচনা মুবারক, সংবাদ মুবারক, খবর মুবারক, ঘটনা মুবারক ইত্যাদি।
ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিচিতি:
(৪-৫)
والحديث اعم من ان يكون قول الرسول صلى الله عليه وسلم او الصحابى او التابعين وفعلهم وتقريرهم. (اصول الحديث للامام السيد الشريف على الجرجانى الـحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه ذكر فى اول الجامع للترمذى كتبخانه مجتبائى ديوبند، ميزان الاخبار للسيد عميم الاحسان رحمة বাকি অংশ পড়ুন...
اَلْمُقَدِّمَةُ (আল মুক্বদ্দিমাহ্)
মূলত, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী নিসবত ও কুরবত মুবারক উনাদের অভাবে ইতিপূর্বে কেউ সম্মানিত ফরয কুরবানী মুবারক উনার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেনি। তবে, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি যেই ফতওয়া মুবারক দিয়েছেন, এটাই চূড়ান্ত ফতওয়া মুবারক। কেননা, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাই বাকি অংশ পড়ুন...
اَلْمُقَدِّمَةُ (আল মুক্বদ্দিমাহ্اَلْـحَمْدُ وَالصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ لِشَيْخِنَا مَـمْدُوْحْ مُرْشِدْ قِـبْـلَةْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ سُلْطَانٍ نَّصِيْـرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَعَلـٰى اَهْلِ بَـيْـتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَالصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ عَلـٰى سَيّـِدِ الْاَنْۢبِيَاءِ وَالْـمُرْسَلِـيْـنَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى اَهْلِ بَـيْـتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِـيْـنَ. اَمَّا بَـعْدُ
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاللهُ يَـخْتَصُّ بِرَحْـمَتِهٖ مَنْ يَّشَآءُ وَاللهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيْمِ
“যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা স বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:
نَـحْمَدُهٗ وَنُصَلِّـىْ وَنُسَلِّـمُ عَلـٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْـمِ وَعَلـٰى وَالِدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْـمُؤْمِنِيْـنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. اَمَّا بَـعْدُ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَاَيْتُ اِمَامَ الْاَوَّلِ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُضَحِّىْ بِكَبْشَيْـنِ فَـقُلْتُ لَهٗ مَا هٰذَا فَـقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصَانِـىْ اَنْ اُضَحِّىَ عَنْهُ فَاَنَا اُضَحِّ বাকি অংশ পড়ুন...
চার মাযহাবের যে কোন একটি পবিত্র মাযহাবের উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয।
কতিপয় শব্দার্থ ও পরিভাষা:
১। القران (আল কুরআন) : القران শব্দটি قرء ও قرن মাছদার থেকে উৎকলিত। قرء মাছদার থেকে হলে এর অর্থ হয় مقروء বা বারবার পঠিত। কেননা পবিত্র কুরআন মাজীদ সার্বক্ষণিকভাবে পঠিত হচ্ছে। আর قرن মাছদার থেকে হলে এর অর্থ হয় مقرون বা সংযুক্ত। যেহেতু পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার প্রতিটি হরফ শরীফ, লফয শরীফ, আয়াত শরীফ ও সূরা শরীফ একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত ও মিলযুক্ত।
ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পরিচিতি:
(১-৩)
*اما الكتاب فالقران الـمنزل على رسول الله صلى বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত উম্মতের পক্ষ থেকে কুরবানী করেছেন
৩য় দলীল
অন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِـيْدِ ۣ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَحّٰى بِكَـبْشٍ اَقْـرَنَ وَقَالَ هٰذَا عَنِّـىْ وَعَمَّنْ لَّـمْ يُضَحِّ مِنْ اُمَّتِـىْ
“হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শিং বিশিষ্ট একটি দুম্বা সম্মানিত কুরব বাকি অংশ পড়ুন...












