ফতওয়া
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (১২)
, ২৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২২ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২১ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ০৬ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) ফতওয়া বিভাগ
ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় তাক্বলীদ-এর পরিচিতি:
(৫৯-৬১)
التقليد تسليم قول الغير من حسن الظن بغير دليل.
অর্থ: কারো (দলীলসঙ্গত) কথায় দলীল অবগত না হয়ে উত্তম ধারণায় মেনে নেয়াকে তাকলীদ বলা হয়। (বাদিউল উছূল, বুরহানুল মুক্বাল্লিদীন -ইমাম আল্লামা রূহুল আমীন বশীরহাটী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১০পৃষ্ঠা, সাইফুল মুক্বাল্লিদীন- মুফতী আল্লামা ইবরাহীম মুহব্বতপূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি ২৫৩ পৃষ্ঠা)
(৬২)
التقليد العمل بقول الغير من غير حجة.
অর্থ: (দলীলসঙ্গত) কারো উক্তির ব্যাপারে কোন দলীল প্রমাণ না জেনেই তদনুযায়ী আমল করাকে তাক্বলীদ বলে। (মুসাল্লামুছ ছুবূত)
(৬৩)
التقليد هو قبول قول بلا حجة.
অর্থ: (দলীলসম্মত) কারো কথাকে বিনা দ্বিধায় গ্রহণ করাকেই তাকলীদ বলে। (কিতাবুল মুছত্বফা লিল ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি ২য় খ- ৩৮৭ পৃষ্ঠা)
(৬৪)
التقليد اتباع الرجل غيره فيما سمعه يقول او فى فعله على زعم انه محقق بلا نظر فى الدليل كذا فى مختصر الـمنار.
অর্থ: দলীলসম্মত কথায় কোন দলীল প্রমাণের প্রতি নজর না দিয়ে কোন মুহাক্কিক আলিম উনার উক্তি শুনে অথবা আমল দেখে উনার অনুসরণ করাকে তাকলীদ বলে। অনুরূপ মুখতাছারুল মায়ানী কিতাবে আছে। (ক্বমারুল আক্বমার লি নূরিল আনওয়ার ২১৬ পৃষ্ঠা ১৮নং হাশিয়া)
(৬৫)
التقليد عبارة عن اتباع الانسان غيره معتقدا للحقية فيه من غير نظر فى الدليل اوهو عبارة عن قبول قول الغير من غير حجة.
অর্থ: দলীল প্রমাণ তালাশ করা ছাড়াই কোন হক্কানী আলিম উনাকে হক্ব হিসেবে বিশ্বাস রেখে অনুসরণ-অনুকরণ করাকে তাক্বলীদ বলে। অথবা কারো দলীলসম্মত উক্তিকে প্রমাণ অন্বেষণ ছাড়াই গ্রহণ করাকে তাক্বলীদ বলে। (আত তা’রীফাতুল ফিক্বহিয়্যাহ লি আমীমিল ইহসান রহমতুল্লাহি আলাইহি ২৩৪ পৃষ্ঠা)
(৬৬-৬৭)
মোছাল্লামের টিকার (৬২৪ পৃষ্ঠায়) লিখিত আছে, “উক্ত কথাটি দলীল বিরুদ্ধ নহে, তবে সাধারণে উহার দলীল অবগত না হইয়াও মান্য করিয়া থাকে, ইহাই তাক্বলীদ শব্দের প্রকৃত অর্থ। ” (বুরহানুল মুক্বাল্লিদীন বা মাযহাব মীমাংসা- হযরত আল্লামা রুহুল আমীন বশীরহাটী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ১১ পৃষ্ঠা বশিরহাট, ‘নবনূর প্রেস’ হইতে মুদ্রিত। )
(৬৮)
ইমামগণ উনাদের তাকলীদের প্রকৃত অর্থ এই যে, ইমাম উনাদের লিখিত মাসয়ালাগুলি দলীলসঙ্গত। কিন্তু সাধারণ লোক ঐ সমস্ত দলীল বুঝতে না পেরে উনাদের অগাধ বিদ্যা, সূক্ষ¥জ্ঞান ও সত্য পরায়ণতার প্রতি বিশ্বাস করে ঐ মাসয়ালা গ্রহণ ও মান্য করে থাকেন। এইরূপ করাকে তাকলীদ অথবা মাযহাব মান্য করা বলে। (সাইফুল মুকাল্লেদীন বা মাসায়িলে হানাফিয়া ২৫৩ পৃষ্ঠা, মুফতী আল্লামা মুহম্মদ ইবরাহীম মুহব্বতপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, পোঃ পাঁচবিবি, বগুড়া, পহেলা অগ্রহায়ণ ১৩৬৮ ফসলী সন। )
(৬৯)
ইমামগণ উনাদের তাকলীদের মূল মর্ম এই যে, ইমামগণ উনাদের প্রকাশিত প্রত্যেক মাসয়ালা দলীলসঙ্গত, কেননা, উনারা প্রত্যেক মাসয়ালার ব্যবস্থা হয় পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের স্পষ্টাংশ হতে প্রকাশ করেছেন, না হয় পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের অস্পষ্টাংশ হতে প্রকাশ করেছেন, যাকে ইজমা ও ক্বিয়াস বলে। এই ইজমা হচ্ছে সম্মানিত শরীয়ত উনার অকাট্ট দলীল এবং কিয়াস হচ্ছে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার মতে শরীয়ত উনার চতুর্থ দলীল। এক্ষেত্রে ইমামগণ উনাদের প্রত্যেক মাসয়ালা দলীলসঙ্গত। কিন্তু সাধারণ লোক ঐ দলীলসমূহ বুঝতে না পেরে ইমামগণ উনাদের অগাধ বিদ্যা, সূক্ষ¥জ্ঞান ও সত্য পরায়ণতার প্রতি বিশ্বাস করে উক্ত মাসয়ালাগুলি গ্রহণ ও মান্য করে থাকেন, ইহাকে তাকলীদ, ইমাম কিংবা মাযহাব মান্য করা বলে। (বুরহানুল-মুক্বাল্লিদীন বা মাযহাব মীমাংসা- হযরত আল্লামা রুহুল আমীন বশীরহাটী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১১ পৃষ্ঠা, বশীরহাট ‘নবনূর প্রেস’ হইতে মুদ্রিত। )
২৩. التقليد الشخصى (ব্যক্তি বিশেষ অনুসরণ):
(৭০-৭২)
কেবলমাত্র একজন ইমামের ফতওয়া মান্য করাকে ‘আত্ তাকলীদুশ শাখছী’ বা ব্যক্তি বিশেষ অনুসরণ বলে। (সাইফুল মুক্বাল্লিদীন ২৫৬ পৃষ্ঠা, সাইফুল মাযাহিব, বুরহানুল মুক্বাল্লিদীন ইত্যাদি)
২৪. التقليد غير الشخصى (একাধিক ইমামকে অনুসরণ):
(৭৩-৭৫)
ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ইমামের ফতওয়া মান্য করাকে ‘আত্ তাক্বলীদু গাইরুশ শাখছী’ বা একাধিক ইমামকে অনুসরণ বলে। (সাইফুল মুক্বাল্লিদীন ২৫৬ পৃষ্ঠা, সাইফুল মাযাহিব, বুরহানুল মুক্বাল্লিদীন ইত্যাদি) (মাসিক আল বাইয়্যিনাত থেকে সংকলিত। ) (চলবে)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩১)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩০)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৯)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৮)
২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৭)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৬)
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৫)
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৪)
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৩)
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২২)
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২১)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২০)
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












