اَلْمُقَدِّمَةُ (আল মুক্বদ্দিমাহ্)
মূলত, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী নিসবত ও কুরবত মুবারক উনাদের অভাবে ইতিপূর্বে কেউ সম্মানিত ফরয কুরবানী মুবারক উনার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেনি। তবে, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি যেই ফতওয়া মুবারক দিয়েছেন, এটাই চূড়ান্ত ফতওয়া মুবারক। কেননা, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাই বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:
নূরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ মুবারক, ওছিয়ত মুবারক ও সুন্নত মুবারক পালন করা ফরয, যা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَاۤ اٰتٰىكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَـهٰىكُمْ عَنْهُ فَانْـتَـهُوْا وَاتَّـقُوا اللهَ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেন, তা আঁকড়িয়ে ধরো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তা থেকে বিরত থাকো। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ প বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার পক্ষ থেকে আবাদুল আবাদ বা অনন্তকাল যাবৎ কুরবানী করার জন্য উম্মতের প্রতি আদেশ মুবারক করেছেন। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ اَمَرَنِـىْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنْ اُضَحِّىَ عَنْهُ فَاَنَا اُضَحِّىْ عَنْهُ اَبَدًا
“বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত হানাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইমামুল আউ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:
نَـحْمَدُهٗ وَنُصَلِّـىْ وَنُسَلِّـمُ عَلـٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْـمِ وَعَلـٰى وَالِدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْـمُؤْمِنِيْـنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. اَمَّا بَـعْدُ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَاَيْتُ اِمَامَ الْاَوَّلِ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُضَحِّىْ بِكَبْشَيْـنِ فَـقُلْتُ لَهٗ مَا هٰذَا فَـقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصَانِـىْ اَنْ اُضَحِّىَ عَنْهُ فَاَنَا اُضَحِّ বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ বা মোঁছ ছোট করে রাখা সুন্নত ও মু-ন করা মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীলসমূহ-
(৪২)
مو نچھین کترو انے کی دلیل یہ ھے کہ حضرت عمر بن الخطاب علیہ السلام کے فرزند نے آ نحضرت صلی اللہ علیہ وسلم سے روایت کیا ھے کہ آپ صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا- "مرنچھین کطو آؤ اور دارھی چھورو"-
حضرت ابو ھریۃ رضی اللہ تعالی عنہ فرماتے ھین کہ انحضرت صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا- مرنچھین کطو اؤ اور دارھی چھورو-
ان دونون روایتون کے الفاظ ایک سے ھین اور انکا مطلب یہ ھے کہ بالون کو جرون کے پاس سے قینچی کے ذریعہ کتراؤ- انھین استرے سے موندنا مکروہ ھے-
کیونکہ حضرت عبد اللہ بن عمر رضی اللہ تعال عنہ کی روایت ھے کہ- آنحضرت صلی اللہ علیہ وسلم نے فرمایا- جو شخص اپنی مونچھین مونداتا ھے وہ ھم مین سے نھین-
مونچھین مون বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ বা মোঁছ ছোট করে রাখা সুন্নত ও মু-ন করা মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীলসমূহ-
(৩১)
"قص الشراب" اور کم کرنا لبون کا روایت مختار اس مین یھی ھے کہ لبین کتروایا ھی کرے- اس طرح کترواوے کہ کنارہ اوپر کے ھونٹ کا معلوم ھونے لگے- اور ایک روایت امام اعظم سے ائی ھے کہ لبین مقدار بھؤون کے چاھنین ........... اور اس طرح کروانا کہ انکا نشان بھی باقی نہ لھے اور مندانا انکا مکروہ ھے اور بعضون نے حرام لکھا ھے-
অর্থ: মোঁছ খাটো করা (ফিৎরাতের অন্তর্ভুক্ত) মোঁছ ছোট করার ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য মত হলো- মোঁছ ছোট করবে, এরূপভাবে ছোট করবে, যেন উপরের ঠোঁটের প্রান্ত বুঝা যায় বা প্রকাশ পায়।
ইমামে আ’যম, হযরত ইমাম আবূ হানী বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ বা মোঁছ ছোট করে রাখা সুন্নত ও মুন্ডন করা মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীলসমূহ-
(২৬)
واختاره النووى- انه يقصه حتى يبدو طوف الشفة ولا يحفيه من اصله ونقل ابن القاسم عن مالك- ان احفاء الشارب مثلة
অর্থ: হযরত ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট গ্রহণযোগ্য মত হলো- মোঁছ এরূপভাবে ছোট করবে, যেন ঠোঁটের প্রান্ত দেখা যায়, মোঁছ মূল থেকে দূর করবে না অর্থাৎ মু-ন করবে না। ইবনুল কাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই মোঁছ মু-ন করা “মোছলা” বা আকৃতি বিকৃত করার শামিল। (ইরশাদুস সার বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ বা মোঁছ ছোট করে রাখা সুন্নত ও মু-ন করা মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীলসমূহ-
(২২)
واما قص الشارب فسنة ايضا ويستحب واما حد مايقصه- فالمختار انه يقص حتى يبدو طرف الشفة ولا يحفه من اصله واما رواية احفوا الشوارب" فمعناها احفوا ما طال على الشفتين.
অর্থ: মোঁছ ছোট করা সুন্নত ও মুস্তাহাব। গ্রহণযোগ্য বা মুখতার বর্ণনা মতে মোঁছ ছোট করার পরিমাণ বা সীমারেখা হলো- মোঁছ এরূপভাবে খাটো বা ছোট করবে, যেন ঠোঁটের কিনারা প্রকাশ পায়। মোঁছ মূল (গোড়া) থেকে তুলবে না অর্থাৎ মু-ন করবে না। আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত- قص الشارب উনার অর্থ হলো, উভয় ঠোঁটের উ বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ বা মোঁছ ছোট করে রাখা সুন্নত ও মু-ন করা মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীলসমূহ-
(১৮)
عَنْ حَضْرَتْ لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انه وقت لهم فى كل اربعين ليلة، تقليم الاظفار واخذ الشارب وحلق العانت.
অর্থ: হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে) প্রত্যেক চল্লিশ রাত্রের বাকি অংশ পড়ুন...
মোঁছ মু-নকারীদের বক্তব্য খন্ডন
এখানে উল্লেখ্য যে, মোঁছ ছোট করে রাখা সুন্নত হওয়ার ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই, বরং সকলেই একমত। কিন্তু মোঁছ মু-ন করার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে, অধিকাংশের মতে মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ। আর কারো কারো মতে “মোছলা” বা আকৃতি-বিকৃতি হওয়ার কারণে মোঁছ মু-ন করা হারাম। আবার কেউ মোঁছ মু-ন করা জায়িযও বলেছেন, কিন্তু তাদের এ বক্তব্য যে গ্রহণযোগ্য নয়, পূর্বোক্ত আলোচনা দ্বারা তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ মোঁছ মু-ন করার দলীল জঈফ বা দূর্বল বিধায় তা অগ্রহণযোগ্য বা পরিত্যাজ্য।
এ প্রসঙ্গে দুরর বাকি অংশ পড়ুন...
কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিব, আর এর চেয়ে কমে কাটা ও মু-ন করা হারাম হওয়ার অকাট্য দলীলসমূহ:
(১২৩)
دارھی کتروانا یا مندوانا حرام ھے- کتروانے سے یہ مراد ھے کہ اتنی کتروائے کہ ایک مشت سے کم رہ جائے ایک مشت کی مقدار حدیث سے ثابت ھے
অর্থ: দাড়ি ছাটা অথবা মু-ানো হারাম। ছাটার দ্বারা উদ্দেশ্য এই যে, ছেটে একমুষ্ঠির কম রাখা। দাড়ির একমুষ্ঠি পরিমাণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা প্রমাণিত। (কিফায়াতুল মুফতী ৯ম খ- ১৫৪ পৃষ্ঠা)
(১২৪)
دارھی رکھنا و اجب ھے- طرھر مند و انے و الافاسق ھے- اس کے پیچھے نماز مکروہ ھے
অর্থ: দাড়ি রাখা ওয়াজিব আর দাড়ি মু-নকারী ফাসিক্ব। তার পিছনে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী। (কিফায়া বাকি অংশ পড়ুন...
কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিব, আর এর চেয়ে কমে কাটা ও মু-ন করা হারাম হওয়ার অকাট্য দলীলসমূহ:
(১১৪)
সুওয়াল: যায়েদ সুবংশীয় আলেম, কিন্তু দাড়ি ছেটে ছোট করে রাখে। (উনারূপ অবস্থায়) যায়েদের ইমামতী জায়েয হবে কিনা? আর দাড়ি কি পরিমাণ লম্বা রাখতে হবে?
জাওয়াব: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “মুশরিকদের বিপরীত করো, দাড়ি লম্বা করো, মোঁছ ছোট করো। অন্যত্র বর্ণিত আছে- “মোঁছ ভালরূপে ছোট করো এবং দা বাকি অংশ পড়ুন...












