ফতওয়া
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৬)
, ২৮ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) ফতওয়া বিভাগ

গোঁফ বা মোঁছ ছোট করে রাখা সুন্নত ও মু-ন করা মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীলসমূহ-
(৩১)
"قص الشراب" اور کم کرنا لبون کا روایت مختار اس مین یھی ھے کہ لبین کتروایا ھی کرے- اس طرح کترواوے کہ کنارہ اوپر کے ھونٹ کا معلوم ھونے لگے- اور ایک روایت امام اعظم سے ائی ھے کہ لبین مقدار بھؤون کے چاھنین ........... اور اس طرح کروانا کہ انکا نشان بھی باقی نہ لھے اور مندانا انکا مکروہ ھے اور بعضون نے حرام لکھا ھے-
অর্থ: মোঁছ খাটো করা (ফিৎরাতের অন্তর্ভুক্ত) মোঁছ ছোট করার ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য মত হলো- মোঁছ ছোট করবে, এরূপভাবে ছোট করবে, যেন উপরের ঠোঁটের প্রান্ত বুঝা যায় বা প্রকাশ পায়।
ইমামে আ’যম, হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, মোঁছ ভ্রুর পরিমাণ রেখে খাটো বা ছোট করবে। ................ এরূপভাবে খাটো করা যে, মোঁছের চিহ্নও রইলো না অথবা সম্পূর্ণ মু-ন করা মাকরূহ তাহরীমী। অনেকে হারাম বলেছেন। (মোযাহেরে হক্ব শরহে মিশকাত ১ম খ-, ১৩১ পৃষ্ঠা)
(৩২)
المستحب ان ياخذ منه حتى يبدو الاطار وهو طرف الشفة ايضا فيه وكان يرى حلقه مثلة ويامر بادب فاعله.
অর্থ: মোঁছ এ পরিমাণ ছোট করা মুস্তাহাব, যাতে ঠোঁটের কিনারা প্রকাশ পায়। (হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার) মতে মোঁছ মু-ন করা “মোছলা” বা আকৃতি বিকৃতি করার নামান্তর। তিনি মোছ মু-নকারীকে শায়েস্তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (আইনী শরহে বুখারী ১০ম খ-, ২৮২ পৃষ্ঠা)
(৩৩)
"وقص الشارب" وقال ابن حجر فيسن احفائه حتى تبدو حمرة الشفة العليا ولا يحفيه من اصله وحرج بقصه حلقه فهو مكروه.
অর্থ: মোঁছ ছোট করার ব্যাপারে হযরত ইবনে হাজর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মোঁছ এরূপভাবে ছোট করা সুন্নত যেন উপরের ঠোঁটের লালিমা প্রকাশ পায়। মূল থেকে উঠাবে না অর্থাৎ মু-ন করবে না। আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে قص শব্দও এসেছে (উনার অর্থও ছোট করা)। মূলত মোঁছ মু-ন করা মাকরূহ তাহরীমী। (আত তা’লীকুছ ছবীহ মিশকাতিল মাছাবীহ ১ম খ-, ২০১ পৃষ্ঠা)
(৩৪)
ومذهب مالك قص الشارب حتى يبدو طرف الشفة كما يدل عليه حديث "خمس من الفطرة" وهو مختار النووى قال النووى واما رواية "احفوا فمعناه ازيلوا ماطال على الشفتين.
অর্থ: হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে মোঁছ এরূপভাবে ছোট করবে, যেন ঠোঁটের কিনারা দেখা যায়। যেটা “পাঁচটি জিনিস ফিৎরাতের অন্তর্ভুক্ত” এ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হয়।
হযরত ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট এটাই মোখতার বা গ্রহণযোগ্য মত। আর হযরত ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হাদীছ শরীফে যে احفوا শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, ইহার অর্থ হলো- “উভয় ঠোঁটের উপরস্থিত দীর্ঘ মোঁছগুলো ছোট করো বা কাটো। (সুনানুন নাসাঈ আলা হাশিয়ায়ে ইমামুস সিন্দী ১ম খ-, ১৭ পৃষ্ঠা)
(৩৫-৩৬)
ويأخذ من شاريه حتى يصير مثل الحاجب كذا فى الغياثية.
অর্থ: চোখের ভ্রুর লোম পরিমাণ রেখে মোঁছ কেটে ফেলবে। অনুরূপ গিয়াছিয়াতেও উল্লেখ আছে। (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ৫ম খ-, ৩৯৪ পৃষ্ঠা)
(৩৭)
وينبغى للر جال ان ياخذ من شاريه حتى يوازى الظرف العليا من الشفة ويصير مثل الحاجب.
অর্থ: পুরুষের জন্যে নিজ মোঁছ এতটুকু ছোট করা উচিত, যেন ঠোঁটের কিনারা প্রকাশ পায় এবং ভ্রুর ন্যায় বুঝা যায়। (বাহরুর রায়েক শরহে কানযুদ দাক্বায়েক্ব ৮ম খ-, ২০৪ পৃষ্ঠা)
(৩৮-৩৯)
مجتبی مین ھے کہ مونچھون کا مندھنا بدعتت ھے- اور قول ضعیف یہ ھے کہ سنت ھے
অর্থ: মোজতবা” নামক কিতাবে উল্লেখ আছে যে, মোঁছ মু-ানো বিদয়াত। আর যারা সুন্নত বলে, তাদের বক্তব্য জঈফ, অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য নয়। (গায়াতুল আওতার শরহে দুররুল মোখতার ৪র্থ খ-, ১৩৫ পৃষ্ঠা)
(৪০-৪১)
مجتبی مین ھے کہ مونجھونک کترنا کہ لب بالا کے کنارے کے سأتھ برابر ھو جاوین یہ سنت بالاتفاق-
অর্থ: মোজতবা” নামক কিতাবে (আরো) উল্লেখ আছে যে, মোঁছ এরূপভাবে ছোট করবে, যেন উপরের ঠোঁটের কিনারার সমান হয়। এরূপভাবে মোঁছ ছোট করা সকলের ঐক্যমতে সুন্নত। (গায়াতুল আওতার শরহে দুররুল মোখতার ৪র্থ খ-, ১৩৫ পৃষ্ঠা) (মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার ফতওয়া বিভাগ থেকে সংকলিত। )
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭)
০৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৫)
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৪)
০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৩)
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪২)
১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৯)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৮)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৭)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৬)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫)
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৩)
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)