আজকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বয়ঃসন্ধীকালীন শিক্ষা নিয়ে কেন প্রশ্ন উঠছে? কারণ ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রী একসাথে আছে। বয়ঃসন্ধিকালীন শিক্ষার নামে গোপন বিষয়গুলো উন্মুক্তভাবে পড়ানো হচ্ছে। মেয়েদের বিষয়গুলো শেখাচ্ছে পুরুষ শিক্ষক কিংবা পুরুষদের বিষয়গুলো শেখাচ্ছে নারী শিক্ষিকা, তখনই সমস্যা। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রী যদি আলাদা হতো, কিংবা ছাত্রদের জন্য পুরুষ শিক্ষক কিংবা ছাত্রীদের জন্য নারী শিক্ষক হতো, তবে বয়ঃসন্ধীকালীন শিক্ষা নিয়ে এত সমস্যা হতো না।
এই যে হিজড়াদের নিয়ে এত কথা, সেখানেও চলে তাদের সমস্যার রাজনীতি। হিজরাদের প্রতি সহানুভূতি তৈরী বাকি অংশ পড়ুন...
আবার তারা একটা কথা বলে, পোশাকের কারণেই যদি নারী নিপীড়িত হতো, তবে ৩ বছরের বাচ্চা কেন নিপীড়িত হয়, কেন ৬০ বছরের বৃদ্ধা নিপীড়িত হয়, কেন বোরকা পরিহিত নারীও নিপীড়িত হয়?
আসলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে, সমাজে অপসংস্কৃতি বিস্তারের কারণে। মানুষ টিভি চ্যানেল, ডিশ এন্টেনা, ইন্টারনেট সোশ্যাল মিডিয়া, পর্নোগ্রাফীতে আসক্ত হয়ে অমানুষ হয়ে যায়। মনের ভেতর কুরুচি বিস্তার করে। কিন্তু ভাচুর্য়াল দৃশ্য দেখে তার মধ্যে যে আবেগ তৈরী হয়, সেটা তো সে ভার্চুয়ালী প্রশমন করতে পারে না, তাকে বাস্তব দুনিয়াতেই প্রশমন করতে হয়। তখন হাতের কাছে সহজলভ্য হিসেবে যা পায়, সেটা শিশু ব বাকি অংশ পড়ুন...
কোন সমস্যা দেখলে ভালো মানুষের কাজ হচ্ছে তার সমাধান করা। কিন্তু খারাপ মানুষের কাজ হচ্ছে, সমস্যার সমাধান না করে সেই সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করা, ব্যবসা করা।
যেমন, ধরুন সমাজে নারী নিপীড়ন বাড়ছে। তো নারী নিপীড়নের সমাধান কী?
প্রকৃত সমাধান হচ্ছে, নর-নারীকে পর্দা করতে হবে। অপসংস্কৃতি রূখে দেয়া।
কিন্তু একটি মহল হঠাৎ করে সমাধান দিলো- সমাজে নারী নিপীড়ন রুখতে হলে নাকি নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা লাগবে। এই বলে তারা শাহবাগ, টিএসসি দাঁড়িয়ে গেলো। সবাইকে বুঝাতে লাগলো, নারীকে বোরকায় আবদ্ধ করলেই নাকি নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ বোধ তৈরী হয়, সুতরাং বাকি অংশ পড়ুন...
আসলে একজন মানুষের মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া যেমন তার মানবাধিকার, তেমনি একজন পুরুষের পুরুষ এবং একজন নারীর নারী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া তার মানবাধিকার। কিন্তু তাকে যদি নারী বা পুরুষ লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে তৃতীয় কিছু বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়, তখন তার মানবাধিকার নিশ্চিত তো হয়ই না বরং সে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এজন্য আসলে হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া ভুল পদ্ধতি। হিজড়ারা তো পুরুষ অথবা নারী। তারা তো তৃতীয় কিছু নয়। তাদের তৃতীয় লিঙ্গ বলে দাবী করার অর্থই হচ্ছে তাদেরকে মূল সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া।
অনেকেই বাকি অংশ পড়ুন...
সরকারের হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দাবী করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে নাকি সমাজে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। মিডিয়াতেও হিজড়াদের নিয়ে অনেক ধরনের প্রচারণা আছে, যার মূল উদ্দেশ্য তাদের প্রতি মানুষের সহানুভূতি তৈরী করা। কিন্তু আসলেই কি তৃতীয় লিঙ্গ ঘোষণা করে তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন হয়েছে, নাকি তাদেরকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে?
প্রকৃত অর্থে কেউ যদি হিজড়াদের জন্য কিছু করতেই চায়, তবে তাকে আগে জানতে হবে, হিজড়াদের সমস্যাটা আসলে কী? পৃথিবীতে জন্মের সময় সকল শিশুই সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে জন্ম নেয় না। কিছু শিশু জন বাকি অংশ পড়ুন...
ছবি-ভিডিওর কারণে জীবনের আনন্দ নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে মানুষের হাতে ক্যামেরা-মোবাইল আসার পর কোন কিছুতে সুখ আর আনন্দ বলে আর কিছু নেই। আগে কোন বিয়ে বাড়িতে গেলে, আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হতো, সবাই কথা বলতো। এখন সেগুলো পুরোটাই শুটিং স্পট। শুধু ছবি-ভিডিও তৈরীর জন্য যেন সব আয়োজন, সুখ-আনন্দ অনুভূতি আদান প্রদানের কোন সুযোগ নেই।
শুধু কি অনুষ্ঠান? মসজিদ আর ওয়াজ মাহফিলও এখন শুটিং স্পট। পবিত্র হজ্জেও একই অবস্থা। হাজীরা এখন আর হজ্জ করতে যায় না, শুটিং করতে যায়। হাতের মধ্যে একটা স্টিক সমেত ক্যামেরা লাগিয়ে একটু পর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লা বাকি অংশ পড়ুন...
শিক্ষা জাতির মেরুদ-। কোন জাতির শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা মানে তার মেরুদ- ধ্বংস করা। কোন ব্যক্তির মেরুদ- ক্ষতিগ্রস্ত হলে যেমন সে আর সোজা হয়ে দাড়াতে পারে না, তেমনি কোন জাতির শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হলে সে জাতি আর মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারে না। নুয়ে থাকে।
ব্রিটিশরা এ অঞ্চলে আসার আগে এ অঞ্চলে মুসলমান প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত উচু দরের ছিলো। সেই সময় মুসলমান প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা ছিলো আরবী ও ফারসী ভাষার উপর নির্ভর। মুসলমানরা তো অবশ্যই হিন্দুরাও সেই ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতো। কিন্তু উঁচু দরের শিক্ষা ব্যবস্থা থাকলে তো মান বাকি অংশ পড়ুন...
দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ দেশ ছাড়তে আগ্রহী। তারা ভাবছে, দেশে সুযোগ নেই, বিদেশ গেলে হয়ত কিছু একটা হবে। সে আশায় আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, ইতালি, ফিনল্যান্ড, পতুর্গালসহ ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। তাদের ধারণা, একবার সেখানে যেতে পারলেই বোধ হয় ভালো ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তাদের এ চিন্তার সাথে তাল মিলিয়ে দালালরাও সাজিয়েছে নিত্য নতুন পসরা। দালালদের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে তাই ২০-৩০ ল ক্ষ টাকা খরচ করতে দ্বিধা করছে না মানুষ। অনেকে জমি বিক্রি করে কিংবা ধার-দেনা করে চলে যেতে চায় বিদেশে। কিন্তু সেসব দেশে কি বাকি অংশ পড়ুন...
আমি আমার সেই তিনজন পরিচিতকে খুব ভালো করেই চিনতাম। তাদের ব্যবসায়ীক কাজে বিশ্বস্ত কর্মচারি দরকার ছিলো। আর তারা নিজেদের প্রয়োজনে আমাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলো। অর্থাৎ নিজের প্রয়োজনের জন্য তারা আমাকে দ্বীনের রাস্তা থেকে ফেরাতে চেয়েছিলো, দুনিয়ার মুলা দেখিয়েছিলো। আমি এও জানতাম, এই লোকগুলো আমাকে কিছুদিন ব্যবহার করে স্বার্থ হাসিলের পর ছুড়ে ফেলবে, মানে আমার দ্বীন-দুনিয়া দুটোই তখন যাবে। তাই আমি তাদের দুনিয়ার মুলার ফাঁদে পা দেই নি।
আমি বিশ্বাস করি, সেই সময় মহান আল্লাহ পাক খাস রহমত করে আমাকে হেফাজত করেছেন। কিন্তু অনেক ছেলে-মেয়ে আছে, বাকি অংশ পড়ুন...
উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। যেমন-
বাংলাদেশের অনেক তরুণ এখন ইউরোপ-আমেরিকা-কানাডা যেতে চায়। তাদের ধারণা কাফিরের দেশে গেলেই বোধ হয় ভালো থাকা যাবে। সেই মুলার পেছনে সে ছুটতে থাকে। প্রচুর টাকা খরচ করে, পরিশ্রম করে, কষ্ট করে, কিন্তু কাফিরের দেশের মুলা আর তাকে ধরা দেয় না। দেখা যায়, বাংলাদেশে যে ছেলে একা এক রুমে থাকতো, বিদেশে গিয়ে সে ৫-১০ জন এক রুমে গাদাগাদি করে থাকে। বাংলাদেশে যে ছেলে অলসতায় দিন কাটাতো, ইউারোপ-আমেরিকায় হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয়, তারপরও জীবন নির্বাহ কঠিন হয়ে যায়। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে বিদেশের মুলা যত সহজ মনে হয়েছে, বাস্তবে ত বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের জন্য একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, মুসলিম নামধারী কিছু আলেম তারা বিভিন্ন ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের জ্ঞান চর্চাকে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। এটা মুসলমানদের জন্য একটা বড় ক্ষতি। যেমন- মুসলমানদের জন্য একটা আবশ্যিক জ্ঞান হলো আত্মশুদ্ধি বা তাসাউফ চর্চার জ্ঞান। এই জ্ঞান অর্জনের জন্য একজন শায়েখ বা পীর সাহেবের কাছে বাইয়াত হতে হয়। কিন্তু একটি মহল তাসাউফ চর্চার বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের বিরাট জ্ঞানশূণ্য করে রেখেছে।
আবার দ্বীনি জ্ঞান বলতে শুধু নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত অর্থাৎ প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সমাজ কিভাবে চ বাকি অংশ পড়ুন...
স্বর্ণযুগের মুসলমানদের জ্ঞান চর্চার সেই স্বভাবটা এখন ইহুদী-নাছারারা নিয়ে গেছে। স্বর্ণযুগে জ্ঞান চর্চার শীর্ষে থাকার কারণে মুসলমানরা ছিলো সারা বিশ্বজুড়ে ক্ষমতাবান, আর এখন ইহুদী-নাছারারা জ্ঞান চর্চা ধারা চুরি করে নিজেরা ক্ষমতাবান হয়ে গেছে। মুসলমানরা হারিয়ে ফেলেছে তাদের ক্ষমতা।
দেখা যায়, জ্ঞান চর্চা তথা গবেষণা-বিশ্লেষণ করেই সব কিছুতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যায়। এজন্য ইহুদী-নাছারারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন থিংক ট্যাংক (চিন্তাকেন্দ্র) বা পরামর্শ প্রতিষ্ঠান খুলে সবার মন-মগজ নিয়ন্ত্রণ করছে। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হল এক ধরনের গবেষণা প্র বাকি অংশ পড়ুন...












