জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক সুখ দিবস (২০ মার্চ) উপলক্ষে সুখী দেশের তালিকাটি প্রকাশ করে ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা ও জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ।
২০২৪ সালেও সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। টানা ৭ বারের মত এ বছরও শীর্ষ সুখী দেশ হয়েছে ফিনল্যান্ড। এরপর ডেনমার্ক ২য়, আইসল্যান্ড ৩য়, সুইডেন ৪র্থ, ইসরাইল ৫ম, নেদারল্যান্ড ৬ষ্ঠ, লুক্সেমবার্গ ৭ম, সুইজারল্যান্ড ৯ম এবং অস্ট্রেলিয়া ১০ম। সুখী দেশের অবস্থান নির্ধারণে কয়েকটি বিষয় বিশেষ আমলে নেয়া হয়। এর মধ্যে আছে ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, উদারতা, জিডি বাকি অংশ পড়ুন...
(৩) প্রশ্ন :
হল ক্যান্টিন বা কোন রেস্তোরায় যদি শুকরের গোশত রান্না হতো, তখন কি করতেন? তাহলে গরুর গোশত রান্না হলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কেমন লাগে একবার চিন্তা করুন?
উত্তর :
আসলে কেউ চাইলেই কোন হল ক্যান্টিন বা রেস্তোরা শুকরের গোশত রান্না করবে না। কেউ যদি শুকরের গোশত রান্না করতেই চায়, তবে সে জন্য পৃথক ক্যান্টিন, রেস্তোরা বা মেস লাগবে। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী প্রায়ই মুসলমানদের সাথে একসাথে কোন হোটেল, রেস্তোরা বা ক্যান্টিনে খেতে গিয়ে এ যুক্তিটি বলে। কিন্তু কোন হিন্দু ব্যক্তি যদি তাদের ধর্মীয় মতে রান্না করতেই চায়, তবে সে জন্য তাদের বাকি অংশ পড়ুন...
(২) প্রশ্ন:
কিছু কিছু রেস্টুরেন্টে নো বিফ লেখা থাকে। এর মানে তারা সব ধর্মের মানুষের জন্যই খাবারের আয়োজন করে। এই জিনিসটা কতটুকু দরকার, তা একজন মুসলিম একটা নন মুসলিম দেশে ভ্রমণ করতে গেলে বুঝতে পারে। বিদেশে গিয়ে মুসলমানরা ‘হালাল রেস্তোরা’ খুজে। যদি নো বিফ রেস্তোরার বিপক্ষে বলি, তবে হালাল রেস্তোরার বিপক্ষেও বলতে হবে।
উত্তর :
অমুসলিম দেশগুলোতে হালাল রেস্তোরা নামক অনেক রেস্টুরেন্ট বা কিচেন আছে, যেখানে মুসলমানরা খাবার খেতে পারেন। বাংলাদেশেও হিন্দুদের খাওয়ার জন্য অসংখ্য হিন্দু রেস্টুরেন্ট আছে। এই সব হোটেল বা তাদের মেন্যু নিয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
(১) প্রশ্ন :
“গরুর গোশত খাওয়া হালাল, কিন্তু ঈমানের অঙ্গ নয়। সুতরাং অন্য ধর্মের লোকের কথা চিন্তা করে হোটেল, রেস্তোরা বা হল ক্যান্টিন/ডাইনিং এ মুরগী বা ছাগলের গোশত খাওয়া যায় কি না?”
উত্তর :
গরুর গোশত খাওয়া হালাল এবং মুস্তাহাব সুন্নত। তবে ক্ষেত্রে বিশেষে গরুর গোশত খাওয়া ঈমানের অঙ্গ। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা বাকারার ২০৮ নম্বর আয়াত শরীফের শানে নুযূল জানা প্রয়োজন।
সূরা বাকারা শরীফ : ২০৮ নং আয়াত শরীফ উনার শানে নুযূল:
বিশিষ্ট ছাহাবী আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু। তিনি পূর্বে ইহুদী ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ইহুদীদে বাকি অংশ পড়ুন...
সম্প্রতি আত্মহত্যাকে ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’ শব্দ দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। স্বেচ্ছামৃত্যু শব্দটার মধ্যে এক ধরনের ‘শব্দ সন্ত্রাস’ আছে।
শব্দ সন্ত্রাস খুব ভয়ানক জিনিস, মুসলমানরা এখনও শব্দ সন্ত্রাস সম্পর্কে সচেতন নয়। শব্দ সন্ত্রাস দ্বীন ইসলামবিদ্বেষীদের ভয়ঙ্কর এক অস্ত্র। এই অস্ত্রের মাধ্যমে তারা পুরাতন শব্দের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে কিংবা এক শব্দের বদলে সুবিধামত অন্য শব্দ নিয়ে আসে। এরপর সেই শব্দ বা সংজ্ঞার মাধ্যমে তারা তাদের মতবাদ সমাজে ছড়িয়ে দেয়। নতুন শব্দ বা সংজ্ঞা নিয়ে নতুন ন্যারেটিভ বা বয়ান তৈরী করে, আইনত অবৈধ জিনিসকে বৈধতা দে বাকি অংশ পড়ুন...
কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি সাবান ও প্রসাধন সামগ্রীর একটি ব্র্যান্ড নেম ‘তিব্বত’। তাদের সাবানের নাম তিব্বত ৫৭০। পাকিস্তানী আমলে তৈরী হওয়া একই কোম্পানির প্রথম দিকের পণ্য তিব্বত ৫৭০ সাবান। বঙ্গবন্ধুর লাশের গোসল হয়েছিলো এই তিব্বত ৫৭০ সাবান দিয়ে। পরবর্তী কালে কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি সরকারীকরণ, অতঃপর বেসরকারিকরণও হয়। আমার আলোচনার বিষয়, তিব্বত ৫৭০ সাবানের নামকরণ নিয়ে।
আগে মানুষ বরকতের জন্য কোন কিছু শুরু করলে তার সাথে মুবারক নিসবত সংযুক্ত করার কোশেষ করতো। যেমন- এই সাবনের ক্ষেত্রেই দেখুন, যেহেতু আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হু বাকি অংশ পড়ুন...
আমি মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি, আমরা কেন রাষ্ট্রকে এত এত কর, আয়কর, শুল্ক দিয়ে থাকবো ?
উত্তর পাই-
রাষ্ট্র আমাকে নিরাপত্তা দেয়,
রাষ্ট্র আমাকে বিচার ব্যবস্থা দেয়,
রাষ্ট্র আমাকে যাতায়াত ব্যবস্থা দেয়,
রাষ্ট্র আমাকে পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ দেয়।
কিন্তু এই প্রতিটি জিনিস পেতে গেলে আমাকে আলাদা খরচ করতে হয় ঠিকই । কিছুক্ষেত্রে যদি স্বল্পমূল্যে পাইও, তবে সেই টাকা অন্যদিক থেকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ট্যাক্সের মাধ্যমে কয়েকগুন নেয়া হয়। বর্তমানে যদি ঠিক মত হিসেব করা হয়, তবে দেখা যাবে, একজন মানুষের যদি মাসিক ইনকাম ৫০ হাজার টাকা হয়, তবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাষ্ট বাকি অংশ পড়ুন...
পেট হলো ৩টি।
প্রথম পেট হলো রাষ্ট্রের পেট। সেই পেট ট্যাক্স, ভ্যাট আর শুল্ক (ট্যারিফ) দিয়ে ভরে।
দ্বিতীয় পেট হলো ব্যবসায়ীর পেট। পণ্য বিক্রয়ের সময় লাভ করে। সেই লাভ দিয়ে ব্যবসায়ী পেট ভরায়।
তৃতীয় পেট হলো জনগণের পেট। সে নিজের আয় অনুসারে দ্রব্য ক্রয় করে পেট ভরায়।
কোন পণ্যের দাম বাড়লেই বলা হয়- ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। এরপর ব্যবসায়ীদের উপর ধরপাকড় করে প্রথম পেটের কর্তাব্যক্তিরা।
আবার কোন পণ্যের দাম বাড়লেই প্রথম পেটের কর্তাব্যক্তিরা তৃতীয় পেট, মানে জনগণকে বলে, “একটু কম খেতে পারেন না! আপনারা বেশি খান বলেই তো সব কিছু দাম বাড়ে। খেজুরের বাকি অংশ পড়ুন...
এজন্য আসলে নর-নারী উভয়কে একই রাস্তায় ক্যারিয়ার তৈরী করতে হবে এই চিন্তাটাই বোকাামি। পশ্চিমা ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত নারীবাদ সেটাই প্রচার করেছে।
আসলে অর্থনীতিতে উৎপাদনের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় আছে। একটি পণ্য, অন্যটি সেবা।
যেমন-
একটি পরিবারে বাবা বাইরে চাকুরী করবে এবং অর্থ কামাই করে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করে। যেমন- চাল, ডাল, আটা, তেল, নুন, ফ্ল্যাট ইত্যাদি।
অপরদিকে মা পরিবারকে সেবা দিবে। পরিবারকে দেখে শুনে রাখবে, সন্তান জন্মদান, লালন পালন করবে।
অর্থনীতিতে উৎপাদনে সেবা ও পণ্য দুটোরই মূল্য আছে।
অথচ-
নারীবাদ বলছে পণ্যের ম বাকি অংশ পড়ুন...
পশ্চিমা ব্যবসায়ীরা চিন্তা করলো অনেক ক্ষেত্রে তাদের সস্তা শ্রমের প্রয়োজন। কিন্তু সেই ক্ষেত্রগুলোতে পুরুষ ঠিক যুতসই না। পুরুষ একগুয়ে, বিদ্রোহী মনোভাব বেশি। কিন্তু নারীর মধ্যে বিদ্রোহী মনোভাব কম, এক মনে কাজ করতে পারে। আবার নারীকে ব্যবহার করে পুরুষের অর্থ, সময় ও ক্ষমতা খসানো সহজ।
এই দুই চিন্তা করে পশ্চিমা ব্যবসায়ীরা আবহমান সংস্কৃতি ধ্বংসকারী ‘কাউন্টার কালচার গ্রুপ’দের তৈরী করা ‘নারীবাদ’ কে পৃষ্ঠপোষকতা করে নারীকে ঘরের বাইরে বের করে আনলো।
আসলে নারীর জন্য ঘরের বাইরে কাজ করা সত্যিই কষ্টকর। দেখবেন- স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি প বাকি অংশ পড়ুন...
আবার মুসলমানদের গরুর গোশত খাওয়ার বিপরীতে যদি হিন্দুদের শুকরের গোশত খাওয়ার প্রসঙ্গ আসে, তবে বলতে হয়- মুসলমানরা শুকরের গোশত খায় না, নাপাক হওয়ার কারণে, ঘৃণা থেকে। অপরদিকে হিন্দুরা গরুর গোশত খায় না, গরুকে দেবতা মনে করে, সম্মানের দিক থেকে। মুসলমানদের শুকর না খাওয়া এবং হিন্দুদের গরু না খাওয়া তাই এক মাপকাঠিতে কখনই মাপা যাবে না। দুটোর তুলনা করা এক ধরনের লজিকাল ফ্যালাসি বা কুযুক্তি। আবার মুসলমানরা যে কারণে শুকরের গোশত খায় না, সে একই কারণে কুকুরের গোশতও খায় না। কারণ উভয়টাই নাপাক। এখন মুসলমানদের বিরোধীতা করতে গিয়ে কি তবে হিন্দুরা কুকুরে বাকি অংশ পড়ুন...
শুধু ইফতার মাহফিল নয়, অনেক সুন্নতী ফলের মধ্যেও দ্বীনি সুবাস থাকলে তার বিরোধীতা করে ইসলামবিদ্বেষীরা। যেমন- রোযার মাস আসলেই বলে- “খেজুর খাওয়া লাগবে কেন? বরই খেলেই তো হয়। নবীজির যুগে আরব দেশে যদি বরই থাকতো, তবে বরই খাওয়াই সুন্নত হতো। ”
আশ্চর্য! ইসলামবিদ্বেষীরা জানেই না, আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে আরবে বরই গাছ ছিলো। এবং হাদীছ শরীফে বরই গাছের কথা পাওয়া যায়। কেউ মারা গেলে গোসল করানোর জন্য বরই পাতার পানি ব্যবহার করা হয়, এই নির্দেশনা হাদীছ শরীফ থেকেই পাওয়া যায়। আর যেহেতু ইফতারিতে আখেরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু বাকি অংশ পড়ুন...












