ইসলামী স্থাপত্যর ঐতিহাসিক নিদর্শন দিল্লী শাহী জামে মসজিদ
এডমিন, ২৫ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৮ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৮ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) স্থাপত্য নিদর্শন
মসজিদটি শাহজানাবাদে (বর্তমানে: পুরান দিল্লী) অবস্থিত। মসাজিদটির অপর প্রান্তে রয়েছে লালকেল্লা এবং সুনেরি মসজিদ। দিল্লীর কেন্দ্রে অবস্থান করায় এর মসজিদটির আশেপাশে ঐতিহাসিক চাঁদনি চক সহ অনেক ব্যবসা কেন্দ্র রয়েছে।
ইতিহাস:
দিল্লী শাহী জামে মসজিদ বা মসজিদে 'জাহান-নুমা' এশিয়ার অন্যতম এই বৃহৎ মসজিদ। ইসলামী স্থাপত্যকলার ইতিহাসে মুঘল সা¤্রাজ্যের এক মহান কীর্তিরূপে সমগ্র বিশ্বে সমধিক পরিচিত। ইতিহাস খ্যাত মুঘল শাসক শাহজাহান ১৬৫৬ খৃ: ঐতিহাসিক দিল্লী শাহী জামে মসজিদ নির্মাণ করেন। পুরাতন দিল্লীর চাদনী চকে অবস্থিত বিশাল আয়তনের এই মসজিদ দৈর্ঘ্যে ৮০ মিটার ও প্রস্থে ২৭ মিটার। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে এ মসজিদ নির্মাণকাজ ছিল এক অসাধ্য সাধন করার মতো কাজ। কিন্তু স¤্রাট শাহজাহান ভারত উপমহাদেশের মুসলিম জনসাধারণের পরস্পরের মাঝে সম্মিলন ঘটাতে এই মহান স্থাপত্যটি বহু অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করেন। শাহজাহানের নির্মাণকৃত আরো স্থাপনাগুলো হলো দিল্লী শাহী জামে মসজিদ, আগ্রায় তাজমহলের বিপরীতে নির্মিত জামে মসজিদ, আযমীর জামে মসজিদ।
মসজিদ নির্মাণ এবং মুঘল আমল:
শাহজাহান শাহাজানাবাদের সবচেয়ে উঁচু স্থানে মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির নকশা করেন স্থপতি উস্তব খলিল এবং তার নির্মাণকালে প্রায় ৫০০০ জন শ্রমিক কাজ করেন মসজিদটি নির্মাণ করার জন্য। এ মসজিদ নিমার্ণে তুর্কি, আরব, পারস্য এবং ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশের মানুষ কাজ করেন। এ নির্মানের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন শাহজাহান এর উজির (বা প্রধান মন্ত্রী) সাদুল্লাহ খান এবং শাহজাহান এর পরিবারের হিসাবাধ্যক্ষ ফজিল খান। সে সময় অনুযায়ী নির্মাণ করতে প্রায় ১০ লাখ (১ মিলিয়ন) রুপি খরচ হয়। ১৬৫৬ খৃ: এর জুলাই মাসের ২৩ তারিখে উজবেকিস্তানের বুখারা থেকে আগত সাইয়্যিদ আব্দুল গফুর শাহ বুখারি রহমতুল্লাহি আলাইহি মসজিদটির উদ্ভোধন করেন।
মসজিদটি ছিল শাহজাহানের শাসনামলে নির্মিত শেষ স্থাপত্য। মুঘল যুগের শেষ পর্যন্ত এটি সম্রাটদের রাজকীয় মসজিদ ছিল।