ইসলামী স্থাপত্যর ঐতিহাসিক নিদর্শন দিল্লী শাহী জামে মসজিদ
, ২৯ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২২ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২২ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) স্থাপত্য নিদর্শন
পূর্ব (প্রধান) প্রবেশ পথ:
মসজিদটির বেলেপাথরের তৈরি ৩টি প্রবেশ পথ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো ৩ তলা উচ্চতাবিশিষ্ট পূর্ব প্রবেশ পথ, যা ইতিহাসে রাজকীয় ব্যাক্তিদের প্রবেশ পথ হিসেবে ব্যবহার হতো এবং তা স¤্রাট এবং তার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত ছিল। দুই তলা উচ্চতাবিশিষ্ট দক্ষিণ প্রবেশ পথটি সাধারণ মানুষ ব্যবহার করত। প্রতিটি প্রবেশ পথের ৩ পাশে বেলেপাথরের সিঁড়ি আছে। সেখানে সাদা কিছু চিহ্ন ছিল, যা মুছুল্লীদের নামাজের ক্বিবলা উনার দিক নির্ধারণে সহায়তা করত।
মসজিদের উঠান:
উঠানটি লাল বেলেপাথরের তৈরি এবং পূর্ব প্রবেশ পথ বরাবর। মসজিদে মুসুল্লীদের অযু করার জন্য ১৭ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৫ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট একটি ট্যাঙ্ক। উঠানের ধারে একটি খোলা পথ রয়েছে। সেখান থেকে মসজিদের পরিবেশ দেখা যায়।
প্রাচীর বেষ্টিত মূল মসজিদ ও আঙ্গিনার দৈর্ঘ্য ২২৫৬১ বর্গফিট। সুউচ্চ মিনার দুটির প্রতিটির উচ্চতা ১৩০ ফিট বা ৪১ মিটার। আটকোণ বিশিষ্ট মিনার দুটির প্রতিটিতে তিনটি করে ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে। মূল মসজিদের মেঝেটি সাদা ও কালো মার্বেলের টাইলস দ্বারা আচ্ছাদিত। নামাযের কাতার ও মুসল্লাও লাল মার্বেল পাথরদ্বারা চিহ্নিত, যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য তিন ফিট ও প্রস্থ দেড় ফিট। এ রকম ৮৯৯টি মুসল্লা রয়েছে মূল মসজিদের মেঝেতে।
মসজিদের নামাজ কক্ষ:
মসজিদের নামায কক্ষটির দৈর্ঘ্য ৬১ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ মিটার। মসজিদের ছাদের উপর তিনটি মার্বেলের তৈরি গম্বুজ আছে, যার শীর্ষ সোনার তৈরি। মসজিদের ভিতরের পশ্চিম দেয়ালে ৭টি মিহরাব আছে, যা নামাজ কক্ষ যে সাতটি কাতারে বিভক্ত সেগুলোকে নির্দেশ করে। কেন্দ্রীয় মিহরাবটি অত্যান্ত মনমুগ্ধকরভাবে মার্বেল দিয়ে সজ্জিত এবং এর ডান পাশে রয়েছে মার্বেলের তৈরি একটি মিনার। হলটির মেঝে যাতে জায়নামাজের মতো দেখতে মনে হয়, তাই মেঝেতেই মার্বেল পাথর দিয়ে জায়নামাজের মতো তৈরি করা হয়েছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র মসজিদে জুমুয়াহ
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসলামী স্থাপত্য দূর্গ “কসর আল-খারানা”
০১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নওগাঁয় ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের সন্ধান
০৩ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ (২)
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ (১)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সীতাকুন্ডের পৌঁনে পাঁচশো বছরের ঐতিহাসিক হাম্মাদিয়া মসজিদ
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক বিবি বেগনি মসজিদ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঐতিহ্যবাহী সিংদহ আউলিয়া জামে মসজিদ
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাগেরহাটের রণবিজয়পুরে ঐতিহাসিক এক গম্বুজ মসজিদ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক নয়-গম্বুজ মসজিদ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক চুনাখোলা মসজিদ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৫০০ বছরের ঐতিহ্য স্থাপত্যর এক অনন্য নিদর্শন রাজশাহীর বাঘা শাহী মসজিদ
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)