এক নাস্তিককে যেভাবে শায়েস্তা করেছিলেন ইমামে আযম হযরত আবু হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি
এডমিন, ০৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২৩ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ ভাদ্র শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) ইতিহাস

ইমামে আযম আবু হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি দূত মারাফত খবর পাঠালেন যে তিনি আগামীকাল যোহরের সময় আসবেন। পরদিন যোহরের নামাযের সময় হারুনুর রশীদ, তার সভাসদ ও সেই নাস্তিক অপেক্ষা করতে লাগলো।
কিন্তু যোহরের সময় তো দুরের কথা আছর শেষ হয়ে গেল তিনি মাগরীবের নামাযের সময় আসলেন। নাস্তিকটা উনার কাছে এত দেরিতে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, আমি দজলা নদীর ওপারে বাস করি। আমি শাসকের অনুরোধ পেয়ে নদীতে এসে দেখি কোন নৌকা নেই। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও কোন নৌকা পেলাম না। সহসা আমি দেখলাম একটি গাছ আপনা-আপনি উপড়ে পড়লো এবং সেটি চেরাই হয়ে নিজ থেকেই তক্তায় পরিনণ হল। তারপর এটি নিজে নিজে একটি নৌকায় পরিনণ হল। অত:পর আমি এটায় চড়ে বসলাম। নৌকাটি নিজে নিজে চলতে চলতে আমাকে এপারে পৌছিয়ে দিল।
নাস্তিকটি একথা শুনে হেসে ফেলল। তারপর বলল, হে হযরত আবু হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি! এমন ঘটনা আমি কখনোই বিশ্বাস করবো না। একটা গাছ আপনা থেকে নৌকায় পরিণত হবে, এটা কি করে সম্ভব?
তখন ইমামে আযম আবু হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, ওহে নাস্তিক! একটা গাছ যদি আপনা থেকে নৌকায় পরিণত না হতে পারে এবং নদী পরাপার না হতে পারে, তাহলে কিভাবে এই বিশাল নভোমন্ডল-ভূমন্ডল আকাশ চন্দ্র আপনা আপনি তৈরী হতে এবং চালু থাকতে পারে?
নাস্তিকটা উনার কথা শুনে লা-জওয়াব হয়ে কাচুমাচু করে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে গেলো। হারুনুর রশীদ ইমামে আযম আবু হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এ জবাব শুনে উনার শুকরিয়া আদায় করলো এবং উনাকে সসম্মানে উনার বাড়িতে পৌছিয়ে দিলো।
মূলত নাস্তিকদের কোন যুক্তি থাকে না। অবমাননা এবং কটুকথাই এদের নাস্তিক্যবাদ টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার। যা ইমামে আযম আবু হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রমাণ করে দিলেন।
-মুহম্মদ শাহজালাল