কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়
, ১৭ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১০ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) স্থাপত্য নিদর্শন
এই মিনার ১৪৮৩ খৃ: নির্মিত হয়েছিল। এতে দুইটি অষ্টাভুজাকার ও একটি সিলিন্ডার আকৃতির উপরের দিকে লম্ব অংশ রয়েছে। এর বারান্দা সংখ্যা তিন। প্রত্যেকটি বারান্দা মুকারনাস ব্যবহার করে ধরে রাখা হয়েছে। প্রথম উলম্ব অংশটি অষ্টাভুজাকার। এর উপরে আরেকটি উলম্ব অংশ বারান্দা দ্বারা প্রথম অংশ থেকে পৃথক অবস্থায় রয়েছে। দ্বিতীয় আরেকটি বারান্দা মিনারের শেষ অংশকে ধরে রেখেছে। তৃতীয় আরেকটি বারান্দা শীর্ষভাগকে ধরে রেখেছে।
এই মিনারটি পূর্বের একটি ফাতেমীয় মিনারের স্থলে নির্মিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সমসাময়িক বিবরণসমূহ অনুযায়ী ফাতেমীয় মিনারের নির্মাণ কাজে ত্রুটি থাকায় তা কয়েকবার পুনর্নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি পুনর্নির্মাণ সুলতান বাইবার্সের শাসনামলে কাজি আল-কুজাত সদর আল-দীন আল-আদরাই আল-দিমাস্কি আল-হানাফির নির্দেশনায় হয়েছিল। ১৩৯৭ খৃ: বারকুকের অধীনে এটি পুনরায় নির্মিত হয়েছিল বলে জানা যায়। মিনার বেশি বেকে যাওয়ায় ১৪১৪ খৃ: কায়রোর ওয়ালি ও মুহতাসিব তাজ আল-দীন আল-শাওবাকি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। ১৪৩২ খৃ: আবার মিনারটি নির্মিত হয়। মসজিদে প্রবেশপথের পুনর্নির্মাণের অংশ হিসেবে কাইতবাই মিনার নির্মিত হয়েছিল।
বাব আল-গিন্দিঃ
বাব আল-মুজাইয়িনিন দিয়ে প্রবেশের পর অপর পাশে বাব আল-গিন্দি (কাইতবাইয়ের ফটক) অবস্থিত। এটি ১৪৯৫ খৃ: নির্মিত হয়। এর মাধ্যমে নামাজের স্থানে যাওয়া যায়।
গাওরি মিনারঃ
এই মিনারটি কানসুল আল-গাওরির শাসনামলে ১৫০৯ খৃ: নির্মিত হয়। এর ভিত্তি বর্গাকার। প্রথমে উলম্ব অংশটি অষ্টাভুজাকার দ্বিতীয় উলম্ব অংশটি একটি বারান্দার মাধ্যমে প্রথম অংশের থেকে আলাদা করা। এটি নীল ফাইন্স দিয়ে সজ্জিত। দ্বিতীয় অংশের সাথে তৃতীয় অংশটিও বারান্দার মাধ্যমে আলাদা করা হয়েছে। তৃতীয় অংশটি দুইটি আয়াতকার উলম্ব অংশের সমন্বয়ে গঠিত। দুইটি উলম্ব অংশের প্রত্যেক পাশে অশ্বখুরাকৃতি আর্চ রয়েছে। এগুলোর শীর্ষভাগ কারুকার্য করা।
উসমানীয় সংস্কার ও সংযোজনঃ
মিশরে উসমানীয় শাসনামলে মসজিদে বেশ কিছু সংযোজন ও সংস্কার করা হয়। এর মধ্যে বেশ কিছু আবদুর রহমান কাতখুদার অধীনে হয়েছিল। তিনি মসজিদের আকার প্রায় দ্বিগুণ করেছিলেন। তিনি বাব আল-মুজাইয়িনিন, বাব আল-শুরবা ও বাব আল-সায়িদা নামক ফটক নির্মাণ করেছিলেন। এসময় কয়েকটি রিওয়াক সংযুক্ত করা হয় যার মধ্যে একটি অন্ধ ছাত্রদের জন্য ছিল। কাতখুদা মূল নামাজের স্থানের দক্ষিণে অতিরিক্ত একটি মিহরাবসহ একটি অতিরিক্ত নামাজের স্থান যুক্ত করেছিলেন ফলে নামাজের স্থান দ্বিগুণ হয়।
বাব আল-মুজাইয়িনিনঃ
বাব আল-মুজাইয়িনিন (باب المزينين) ১৭৫৩ খৃ: নির্মিত হয়েছিল। এর দুইটি দুইটি প্রবেশপথ রয়েছে। দরজার উপরে দুইটি অলংকৃত অর্ধ-বৃত্তাকার আর্চ রয়েছে। আর্চের উপরে সাইপ্রেস গাছের প্যানেলের কারুকার্য রয়েছে। এটি উসমানীয় যুগের সাধারণ প্রথা ছিল।
কাতখুদা নির্মিত একটি মুক্ত মিনার ফটকের বাইরে অবস্থিত ছিল। তৌফিক পাশার আধুনিকীকরণের সময় আল-আজহার স্ট্রিট চালুর পূর্বে এটি ভেঙে ফেলা হয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণে মুসলমানদের অবদান
২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মালয়েশিয়ার ঐতিহাসিক মসজিদ “মসজিদ নেগারা”
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে মসজিদ থেকে গভীর রাতে ভেসে আসতো যিকিরের আওয়াজ
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৩৮)
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদ হযরত শাহ মখদুম রুপোশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৬)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৫)
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৪)
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৩)
০৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (২)
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্থাপত্যশৈলীর অনন্য স্থাপনা মানিকগঞ্জের ‘ওয়াসি মহল’
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (১)
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












