স্থাপত্য-নিদর্শন
খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ (২)
, ০৪ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) স্থাপত্য নিদর্শন
মসজিদের সম্মুখভাগ:
পূর্বদিকের কৌনিক খিলানযুক্ত তিনটি প্রবেশ পথ দ্বারা এই মসজিদটিতে প্রবেশ করা যায়। খিলানগুলোর ওপরের দিক অলঙ্করণযুক্ত। উত্তর দিকের প্রবেশ পথটির উপরে আনুভূমিক এক সারি মোল্ডিং আছে। তার ওপর আনুভূমিক আরও এক সারি পুষ্প অলঙ্করণ আছে। কেন্দ্রীয় খিলানটির উপরাংশ অধিক অলঙ্কৃত। এই খিলানটির দুই পার্শ্বই বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত। খিলানটির উত্তর পাশে শুধু একটি ফুলের অলঙ্করণ দেখা যায়। মধ্যবর্তী খিলানের ওপর আনুভূমিক এক সারি পেঁচানো নকশা রয়েছে। তার ওপর রয়েছে আনুভূমিক এক সারি বুনানো নকশা। তার ওপর রয়েছে আরও এক সারি মোল্ডিং নামের এক ধরনের নকশা।
মিহরাবটির দুই দিকে দুটি ক্ষুদ্র স্তম্ভ ও ওপরে একটি কৌনিক খিলান রয়েছে। মসজিদটির সম্মুখ অংশের দক্ষিণ দিকের প্রবেশ পথটির ওপরের খিলানের দুই পাশে এবং খিলানটির ওপরে অলঙ্করণ আছে। সম্মুখ অংশের উত্তর ও দক্ষিণের প্রবেশ পথগুলোর ওপর পুষ্প অলঙ্করণ আছে। কোনো কোনো অলঙ্করণ বৃত্তাকার স্থানে অবস্থিত। সবার ওপরে একসারি পুষ্প অলঙ্করণের ওপর রয়েছে ধনুক-বক্র ছাদ কিনারা।
চিত্র: খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদের শিলালিপি।
উত্তর ও দক্ষিণ দিক:
এ মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে তিনটি করে কৌনিক খিলানযুক্ত প্রবেশ পথ রয়েছে। মধ্যবর্তী প্রবেশ পথটি অপেক্ষাকৃত বৃহৎ। মধ্যবর্তী এ খিলানটির ওপরে আনুভূমিক সারিতে অলঙ্করণ রয়েছে। তিনটি খিলানের ওপরই পুষ্প অলঙ্করণ রয়েছে।
ছাদ কিনারা:
এ ঐতিহাসিক মসজিদের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে ধনুকাকৃতির বক্র ছাদ কিনারার নিচে আনুভূমিক এক সারি জাল-নকশা (হবঃ-ঢ়ধঃঃবৎহং) রয়েছে। এটি সম্মুখ অংশের দিকে কিছুটা সম্প্রসারিত।
নামায-কক্ষ:
পূর্বদিকের কৌনিক খিলানযুক্ত তিনটি প্রবেশ পথ দ্বারা বর্গাকার এই নামায কক্ষে প্রবেশ করা যায়। বর্গাকার চারটি স্তম্ভের ওপর কৌনিক খিলান এবং তার ওপর নয়টি গম্বুজ স্থাপিত। প্রবেশ পথগুলোর ভেতরের দিকে পোড়ামাটির অলঙ্করণ আছে। মসজিদটির অভ্যন্তরভাগে ক্বিবলা দেওয়ালে অর্ধবৃত্তাকার তিনটি মিহরাব আছে।
মসজিদটি মূলত পোড়ামাটির ফলকে অলঙ্কৃত ছিল, যা খিলান পথের এবং মিহরাব এবং ক্বিবলা দেয়ালে এখনও বিদ্যমান। বিভিন্ন অলঙ্করণ নকশার মধ্যে ফুল, হীরাকৃতি এবং প্রবহমান লতাপাতা উল্লেখযোগ্য।
মিহরাবগুলোর অভ্যন্তরে আনুভূমিক সারিতে মোল্ডিংয়ের বন্ধনী ও পোড়ামাটির অলঙ্করণ আছে। তিনটি মিহরাবই আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে আবদ্ধ। তিনটি মিহরাবের ওপরই বিভিন্ন ধরনের অলঙ্করণ আছে। সূত্র: মসজিদ দেশ দেশান্তরে।
-মুহম্মদ নাঈম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তাজ-উল-মসজিদ ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র মসজিদে জুমুয়াহ
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসলামী স্থাপত্য দূর্গ “কসর আল-খারানা”
০১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নওগাঁয় ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের সন্ধান
০৩ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ (১)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সীতাকুন্ডের পৌঁনে পাঁচশো বছরের ঐতিহাসিক হাম্মাদিয়া মসজিদ
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক বিবি বেগনি মসজিদ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঐতিহ্যবাহী সিংদহ আউলিয়া জামে মসজিদ
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাগেরহাটের রণবিজয়পুরে ঐতিহাসিক এক গম্বুজ মসজিদ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক নয়-গম্বুজ মসজিদ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক চুনাখোলা মসজিদ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৫০০ বছরের ঐতিহ্য স্থাপত্যর এক অনন্য নিদর্শন রাজশাহীর বাঘা শাহী মসজিদ
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)