ইলমে তাছাওউফ
নিজ মহাসম্মানিত শায়েখ অর্থাৎ মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সামনে বসে উনার নির্দেশ মুবারক ব্যতিত খাওয়া-দাওয়া করবেনা
মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৫)
এডমিন, ০৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৭ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়, একদিন জামিউন নিছবত, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সুলত্বানুল আরেফীন, হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন, বাবা বায়েজীদ! আমার তাকের উপর থেকে অমুক কিতাবখানা নিয়ে আসুন। হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হুযূর! কিতাবখানা কোন তাকের উপর রয়েছে? উনার এমন কথা শুনে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “হে বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি! কতদিন ধরে আপনি এ দরবার শরীফে আছেন, কিন্তু এখনো জানেন না যে, কিতাবখানা কোন তাকে রেখেছি?
তখন সুলত্বানুল আরেফীন, হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হুযূর! বেয়াদবী মাফ করবেন, আমার এমন কি প্রয়োজন ছিল যে, আপনার সম্মুখে বসে মাথা উঁচু করে আমি এদিকে সেদিকে তাকাব বা অমনোযোগী হবো? আর আমি তো এ দরবার শরীফে অন্য কোন কিছু দেখার জন্য আসিনি।
উনার উক্ত কথা শুনে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “আপনার ইবাদতের বাসনা মহান আল্লাহ পাক তিনি পূর্ণ করেছেন। আপনি এখন বোস্তাম শহরে গিয়ে হিদায়েতের কাজ করুন। (অসমাপ্ত)
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।