নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের অবস্থা মুবারক:
ফানা ফির রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল দৃষ্টান্ত মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লো যে, মুয়ায্যিনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি আগমন করেছেন। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার হযরত ছাহ বাকি অংশ পড়ুন...
দু‘আ কবুলের আলামতসমূহ:
১. ভয় লাগা, ভীতি সঞ্চার হওয়া।
২. অন্তরের পরিবর্তন হওয়া, অসাধারণ অবস্থার সৃষ্টি হওয়া।
৩. শরীরের পশম দাড়িয়ে যাওয়া, শরীর শিউরে উঠা।
৪. অজান্তেই চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়া।
৫. বিকট আওয়াজে ক্রন্দন করা।
৬. অজান্তেই হেসে দেয়া।
৭. অন্তরের পরিবর্তনের পর প্রফুল্লতা অনুভব করা।
৮. হৃদয় ও মনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাওয়া।
৯. সব কিছু হালকা পাতলা ও ঝরঝরে মনে হওয়া।
১০. নিজের উপর থেকে কোন বিপদ কেটে গেছে এমনটি মনে হওয়া।
১১. যা দু‘আ করেছে সরাসরি সেটা পাওয়া।
১২. যা চেয়েছে তার থেকে উত্তম কিছু পাওয়া।
১৩. ক্বলব বা অন্তরে ইতমিনান বা প্ বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব সংবাদদাতা:
হেফাজতের আমির বাবুনগরী বলেছে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদার মূলভিত্তি হলো পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ, এবং সাহাবায়ে কিরাম ও সালফে সালেহীনের পথ অনুসরণ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ইসলামের এই বিশুদ্ধ ঐতিহ্য থেকে সরে গিয়ে নতুন নতুন মতবাদ প্রচার করছে। এরা কাদিয়ানীদের চাইতেও ভয়ংকর। ‘জামাতে ইসলামী’ মূলত মওদুদী’র ইসলামে বিশ্বাসী। এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা মদিনার ইসলামে বিশ্বাসী। জামাত মদিনার ইসলামে বিশ্বাসী নয়।
বাবুনগরী বলেছে, মওদূদী তার লেখনিতে এমন কিছু ধারণা উপস্থাপন করেছে, যা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
বলা হয়, খইরুত তাবিয়ীন হযরত ওয়ায়িছ আল ক্বরনী রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ بْنِ الْـخَطَّابِ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ اِنَّ خَيْرَ التَّابِعِيْنَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهٗ وَائِسٌ وَلَهٗ وَالِدَةٌ كَانَ بِهٖ بَيَاضٌ فَمُرُوْهُ فَلْيَسْتَغْفِرْ لَكُمْ.
অর্থ : হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব ম বাকি অংশ পড়ুন...
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উন বাকি অংশ পড়ুন...
মালউনটাকে হত্যার পরবর্তী ঘটনা:
বদবখত রাম গোপালকে হত্যা করার পর গ্রেফতারের জন্য মুরীদ হুসাইন নিজেই আত্মসমর্পণ করলেন। উনাকে উনার স্বীকারোক্তি থেকে ফিরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করলেন মুসলমানগণ। কিন্তু সফল হওয়া যায়নি। সর্বশেষ উনার জান বাঁচানোর জন্যে কিছুদিন লাহোরের মানসিক হাসপাতালেও রাখা হলো। কিন্তু কিছুতেই তিনি পাগল সাজতে রাজি হলেন না। কারা জীবনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীদার মুবারকে ধন্য হয়েছেন মুরীদ হুসাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি। তখন তিনি নিয়মিত নামায আদায় করতেন, পবিত্র কুর বাকি অংশ পড়ুন...
যে যত বেশী মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিসবত মুবারক হাছিল করবে সে তত বেশী কামিয়াবী হাছিল করবে। আর সেই নিসবত-তা‘য়াল্লুক্ব হাছিল করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছেন- কামিল শায়েখ। এ বিষয়টি ভালোভাবে উপলব্ধি করার লক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক একখানা ওয়াক্বেয়াহ মুবারক উনার অবতারণা- হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে চিনেন না, এমন কোন আলিম পৃথিবীর বুকে নেই। উনারই জীবনী মুবারক-এ ঘটে যায় বাকি অংশ পড়ুন...
উনারা ছিলেন ২৪ ঘণ্টা উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা এবং উনার যিকির ও মুহব্বত মুবারক-এ গরক্ব:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَن حضرت الشّعبِيّ رحمة الله عليه أَن رجلا من الْأَنْصَار أَتَى رَسُول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالله لأَنْت أحب إليَّ من نَفسِي وَوَلَدي وَأَهلي وَمَالِي وَلَوْلَا أَنِّي آتِيك فَأَرَاك لظَنَنْت أَنِّي سأموت وَبكى الْأنْصَارِيّ فَقَالَ لَهُ النَّبِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أبكاك فَقَالَ ذكرت أَنَّك سَتَمُوتُ وَنَمُوت فَترفع مَعَ النَّبِيين وَنحن إِذا دَخَلنَا الْجنَّة كُنَّا دُونك فَلم يُخبرهُ النَّبِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَيْء فَأنْزل বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দু‘আ বা মুনাজাত কবুলের সময়:
২. পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার প্রথম ১০ দিন ১০ রাত।
৩. বিশেষ করে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার ৯ তারিখ। অর্থাৎ পবিত্র আরাফাহ্র দিবসে।
৪. পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে।
৫. পবিত্র জুমুআহ বার দিনে ও রাতে।
৬. রাতের প্রথম তৃতীয়াংশে।
৭. রাতের শেষ তৃতীয়াংশে।
৮. রাতের বেলার দু‘আ। বিশেষতঃ মধ্য রাতের দু‘আ।
৯. শেষ রাতের এক ষষ্ঠাংশে।
১০. ছুবহে ছাদিকের সময়।
১১. মুয়াযযিন যখন আযান দিতে থাকে।
১২. পবিত্র আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়।
১৩. পবিত্র তাকবীর আরম্ভ হওয়ার সাথে সাথে।
১৪. জিহাদের ময়দানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর পর।
বাকি অংশ পড়ুন...
৮ম মাস হচ্ছে شعبان শা’বান: شعبان শব্দটিتشعب القبائل হতে উৎকলিত। شعبان অর্থ ছড়িয়ে পড়া। আরবরা এই মাসে নানা উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেন, এজন্যই এ মাসকে شعبان ‘শা’বান’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। شعبان শব্দের বহুবচন হচ্ছে شعابين ও شعبانات
৯ম মাস হচ্ছে رمضان রমাদ্বান: অর্থাৎ গ্রীষ্ম বা গরমের মাস। আরবদেশে এই মাসে অত্যধিক গরম পড়তো বলে এ মাসকে رمضان ‘রমাদ্বান’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। رمضت الفصال অর্থাৎ অতিশয় পিপাসার কারণে গবাদি পশুর বাছুর গরম হয়ে যাওয়া। رمضان শব্দের বহুবচন হচ্ছে رماضين- رمضانات ও ارمضة।
হযরত শায়েখ সাখাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি ত বাকি অংশ পড়ুন...












