পাকিস্তানের লাহোরে ঐতিহাসিক বাদশাহী মসজিদ (পর্ব-০৩)
, ১৪ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৭ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ২১ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) স্থাপত্য নিদর্শন
ইতিহাসের ভাঙ্গা-গড়ায় এই ঐতিহাসিক এই মসজিদ বহু বৈরী পরিবেশ ও শাসনের স্বীকার হয়েছে। কিন্তু সময়ের ধারাবাহিকতায় ও মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহমত মুবারকে আপতিত সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে ওঠে আজও এ মসজিদ সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে।
ইসলাম বিদ্ধেষীদের কর্তৃক মসজিদের মর্যাদা ক্ষুন্নের অপচেষ্টা:
১৭৯৯ থেকে ১৮৪৯ খৃ: শিখরা দখল করে নেয় এই বাদশাহী মসজিদ। ১৮৫৮ থেকে ১৯৪৭ খৃ: বৃটিশদের দখলে। এবং সর্বশেষ ১৯৪৭ খৃ: থেকে তা পূণঃরায় মুসলমানদের তথা পাকিস্তান সরকারের তত্ত্বাবধানে চলে আসে যা আজও অব্যাহত আছে। শিখ ও বৃটিশ শাসনাধিনে চলে যাওয়ার পর মুসলিম বিদ্বেষী শিখ দখলদাররা মুসলমানদের বাদশাহী মসজিদে নামায আদায় নিষিদ্ধ করে দেয়। নাউজুবিল্লাহ! এবং সেনা ছাউনি স্থাপন করে এর মর্যাদা ক্ষুন্ন করে। নাউজুবিল্লাহ! মুসলিম বিদ্ধেষী শিখদের পর বৃটিশ শাসকরাও একই ধারা অব্যাহত রাখে।
শিখ শাসনামলে:
১৭৯৯ খৃ: ৭ জুলাই রঞ্জিত সিংয়ের শিখ বাহিনী লাহোর দখলে নেয়। শহর দখলের পর সে মসজিদের বিশাল উঠোনকে তার সেনাবাহিনীর ঘোড়ার জন্য একটি আস্তাবল হিসেবে এবং উঠোনের চারপাশে ৮০ টি ছোট অধ্যয়ন কক্ষ, তার সৈন্যদের জন্য কোয়ার্টার এবং সামরিক দোকানের জন্য ম্যাগাজিন হিসাবে ব্যবহার করেছিল। নাউজুবিল্লাহ! ১৮১৮ খৃ: সে হাজুরি বাগের একটি মার্বেল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করে, যা মসজিদের দিকে মুখ করে অবস্থিত, যা হাজুরি বাগ বারাদারি নামে পরিচিত, যা সে তার সরকারী শ্রোতাদের আদালত হিসাবে ব্যবহার করেছিল। বারাদারির জন্য মার্বেল স্ল্যাবগুলি লাহোরের অন্যান্য দ্বীনী স্মৃতিস্তম্ভ গুলো থেকে শিখরা লুণ্ঠন করে এনেছিলো।
চিত্র ৬: ঐতিহাসিক বাদশাহী মসজিদের নামাজ অঙ্গন ।
১৮৪১ খৃ: প্রথম অ্যাংলো-শিখ যুদ্ধের সময় রঞ্জিত সিংয়ের ছেলে শের সিং মসজিদের বড় মিনারগুলো জাম্বুরা বা হালকা বন্দুক স্থাপনের জন্য ব্যবহার করতো, যা চাঁদ কৌরের সমর্থকদের উপর বোমা বর্ষণের জন্য ব্যবহৃত হত, যারা অবরুদ্ধ লাহোর দুর্গে আশ্রয় নিয়েছিল। এই বোমাবর্ষণের একটিতে দুর্গের দিওয়ান-ই-আম (হল অফ পাবলিক অডিয়েন্স) ধ্বংস হয়ে যায়, কিন্তু পরবর্তীতে ব্রিটিশ যুগে এটি পুনর্নিমাণ করা হয়। এই সময়ে শের সিংয়ের সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত হয় ফরাসি অশ্বারোহী কর্মকর্তা অঁরি দে লা রুচে, এছাড়াও অস্থায়ীভাবে বারুদ সংরক্ষণের জন্য বাদশাহি মসজিদকে লাহোর দুর্গের সাথে সংযুক্ত করে একটি সুড়ঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছিল। চলবে ইনশাআল্লাহ........
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুঘল আমলের নিরাপত্তা নিদর্শন হাজীগঞ্জ দুর্গ
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সারাদিন এসিতে থাকলে কি হয়?
০৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তাজ-উল-মসজিদ ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র মসজিদে জুমুয়াহ
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসলামী স্থাপত্য দূর্গ “কসর আল-খারানা”
০১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নওগাঁয় ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের সন্ধান
০৩ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ (২)
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ (১)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সীতাকুন্ডের পৌঁনে পাঁচশো বছরের ঐতিহাসিক হাম্মাদিয়া মসজিদ
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক বিবি বেগনি মসজিদ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঐতিহ্যবাহী সিংদহ আউলিয়া জামে মসজিদ
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাগেরহাটের রণবিজয়পুরে ঐতিহাসিক এক গম্বুজ মসজিদ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)