পাকিস্তানের লাহোরে ঐতিহাসিক বাদশাহী মসজিদ
এডমিন, ২১ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) স্থাপত্য নিদর্শন

১৯৪৭ খৃ: এর ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৬০ খৃ: পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার বাদশাহী মসজিদের সংস্কার ও সৌন্দর্য বর্ধনে পাঁচ মিলিয়ন রূপী ব্যয় করে।
মসজিদের মূল আকর্ষন:
পাকিস্তান স্বাধীনতা পাওয়ার সময় মসজিদ সংলগ্ন মূল প্রবেশ দ্বারের বাইরে একটি ছোট মিউজিয়াম তৈরী করা হয়, যাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল ফাতাহ বা পবিত্র চুল মুবারক, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজাহু আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র নূরুল ফাতাহ বা পবিত্র চুল মুবারক ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নুরুর রবি’য়াহ যাহারা আলাইহাস সালাম উনাদের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত দুর্লভ কিছু মহামূল্যবান বস্তু সংরক্ষণ করা হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার মুসলমান এই মহামূল্যবান স্মৃতিচিহ্ন দেখতে আসেন। ২০০৮ খৃ: ভারতের রাজস্থান রাজ্যের জয়পুরের কাছে মূল মুঘল উৎস থেকে আমদানি করা লাল বালিপাথর ব্যবহার করে মসজিদের বড় উঠোনে লাল বালিপাথরের টাইলসের প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়।
মসজিদে ৩০ রাষ্ট্রপ্রধানদের নামাজ আদায়:
১৯৭৪ খৃ ২২ ফেব্রুয়ারী লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলন সংস্থার ২য় সামিটে অংশগ্রহণকারী ত্রিশ জন মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান একত্রে এই মসজিদে পবিত্র জুমুয়াহ্র নামাজ আদায় করেন।
তৎকালীন খতীব আব্দুল কাদীর আহমদ এর ইমামতিতে যে সকল রাষ্ট্রপ্রধান সেদিন নামায আদায় করেন তাঁদের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো, সৌদির শাসক ফায়সাল বিন আব্দুল আজিজ। লিবিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান মুয়াম্মার আল গাদ্দাফী, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান, ইয়েমেনের রাষ্ট্রপ্রধান আলী আব্দুল্লাহ, কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল সালিম আল সাবাহ সহ প্রায় সকল মুসলিম দেশপ্রধান। বাদশাহী মসজিদের অপরূপ নির্মাণশৈলী দেখে তাঁরা সকলেই মুগ্ধ হন। পরিদর্শন বইতে তাঁরা যে মন্তব্য লেখেন, তাতে প্রত্যেকেই এর অভিনব স্থাপত্যশৈলীর ভূয়শী প্রশংসা করেন। (চলবে ইনশাআল্লাহ)