প্রতিক্ষেত্রে মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ করা যেমন ফরয; অনুরূপভাবে প্রতিক্ষেত্রেই কাফির- মুশরিকদের খিলাফ করাও ফরয-১
, ১৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২০ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বক্ষেত্রে, সবসময় কাফির-মুশরিকদের খিলাফ বা বিপরীত আমল মুবারক করেছেন এবং উম্মতকে সেভাবে আমল করতে মহাসম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا.
অর্থ: যারা আমাদেরকে বাদ দিয়ে অন্য কারো সাথে সাদৃশ্য রাখে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (তিরমিযী শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لاَ تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودِ وَلاَ بِالنَّصَارَى.
অর্থ: তোমরা ইহুদী-নাছারা অর্থাৎ কাফির-মুশরিকদের সাথে মিল রাখবে না। অর্থাৎ কোন অবস্থাতেই কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারা,বেদ্বীন-বদদ্বীনদের সাথে মিল রাখা যাবে না।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنِ حَضْرَتْ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ الله تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ.
অর্থ: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে তাশাব্বুহ বা সাদৃশ্যতা রাখবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। (আবূ দাউদ শরীফ)
উদাহরণ স্বরূপ কয়েকটি বর্ণনা দেয়া হলোঃ
সালাম আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কাফির-মুশরিকদের খিলাফ করার নির্দেশ মুবারক: সালাম আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে তাদের খিলাফ করার নির্দেশ মুবারক দেয়া হয়েছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন -
لاَ تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودِ وَلاَ بِالنَّصَارَى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُودِ الإِشَارَةُ بِالأَصَابِعِ وَتَسْلِيمَ النَّصَارَى الإِشَارَةُ بِالأَكُفِّ.
অর্থ: তোমরা ইহুদী ও নাছারাদের সাথে কোন ব্যাপারে সাদৃশ্য রাখবে না। ইহুদীদের সালাম হলো অঙ্গুলীর ইশারায় আর খ্রিস্টানদের সালাম হলো হাতের তালুর ইশারায়। কাজেই তোমরা সেভাবে সালাম দিও না। (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
রোযার ক্ষেত্রে কাফির-মুশরিকদের খিলাফ করার নির্দেশ মুবারক: রোযার ক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইহুদী-নাছারাদের সাথে সাদৃশ্যতা না রাখার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক করে পবিত্র মদীনা শরীফ-এ মহাসম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন, তখন উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারকে আরজী পেশ করা হলো- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ইহুদীরাও পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে একটি রোযা রেখে থাকে। এ কথা শুনে তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন-
لَئِنْ بَقِيتُ إِلَى قَابِلٍ لأَصُومَنَّ التَّاسِعَ.
অর্থ: যদি আমি আগামী বছর দুনিয়াতে মহাসম্মানিত অবস্থান মুবারক করি তাহলে ৯ তারিখেও পবিত্র রোযা মুবারক রাখবো। অর্থাৎ আমরা তাদের খিলাফ করণার্থে দু’দিন পবিত্র রোযা মুবারক রাখবো। (মিশকাত শরীফ)
পবিত্র সাহরী ও পবিত্র ইফতারীতে কাফির-মুশরিকদের খিলাফ করার নির্দেশ মুবারক: সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রতিটি বিষয়ে কাফির- মুশরিক, ইহুদী-নাছারাদের খিলাফ আমল করার নির্দেশ মুবারক দেয়া হয়েছে। সেটা যতো ছোট বা ক্ষুদ্র বিষয়ই হোক না কেনো। কারণ কাফির- মুশরিক, ইহুদী-নাছারা এরা সবাই লা’নতগ্রস্ত বা অভিশপ্ত। কাজেই, তাদের সাথে যারা সাদৃশ্যতা রাখবে তারাও তাদের সেই লা’নতের শামিল হবে।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক - ২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক -১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেসব দিনে গোসল করা ও গোসলে কি কি ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












