মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ বিষয়ে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল এবং অপপ্রচারের দলীলভিত্তিক দাঁতভাঙ্গা জবাব (১৭)
, ২৩শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৭ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ০২ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
বহু সর্বজনমান্য ও নির্ভরযোগ্য ইমাম মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম কর্তৃক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ তারীখ উনাকে ‘ঈদ, ঈদে আকবর ও ঈদে আ’যম’ হিসেবে গ্রহণ করার দলীল:
(৮) হাফিয মুহম্মদ ইবনে ইঊসুফ ছালিহী শামী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ৯৪২ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ পাঠকের উপর রহম করুন! যিনি পাঠ করেছেন,
يا مولد المختار أنت ربيعنا * * بك راحة الأرواح والأجساد
يا مولدا فاق الموالد كلها * * شرفا وساد بسيد الأسياد
لا زال نورك في البرية ساطعا * * يعتاد في ذا الشهر كالأعياد
في كل عام للقلوب مسرة * * بسماع ما نرويه في الميلاد
অর্থ: “হে মহাসম্মানিত বরকতময় ওযূদ পাক মুবারক! আপনি আমাদের বসন্তকাল, আপনার মাধ্যমে সমস্ত রূহ এবং জিসিম প্রশান্তি লাভ করে। হে মহাসম্মানিত বরকতময় ওযূদ পাক মুবারক! আপনার মর্যাদা সমস্ত সৃষ্টির উর্ধ্বে। আপনার কর্তৃত্ব মুবারক সমস্ত সৃষ্টির উপরে। আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে সুস্পষ্টভাবে বিদ্যমান। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সেই মাসে প্রত্যেক অন্তর প্রতি বছর ঈদসমূহের ন্যায় হামদ, না’ত, ক্বাছীদাহ্, কবিতার মাধ্যমে খুশি প্রকাশে অভ্যস্ত হয়। যা আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদ শরীফ সম্পর্কে বর্ণনা করি।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/৩৬৮)
(৯) হযরত ইমাম কুতুবুদ্দীন মুহম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে মাহমূদ নাহ্রাওয়ানী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৯১৭ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৯৯০ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
في سنة إحدى وسبعين وستمائة أمر السلطان يوسف بن يعقوب بن عبد الحق رحمة الله عليه بعمل المولد النبوي وتعظيمه والاحتفال به وصيره عيداً من الأعياد في جميع بلاده وذلك في شهر ربيع الأول من السنة المذكورة
অর্থ: “সুলত্বান ইঊসুফ ইবনে ইয়া’কূব ইবনে আব্দুল হক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৬৭১ হিজরী শরীফ-এ ‘মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ (সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ) পালন করার, উনাকে তা’যীম-তাকরীম করার এবং উনার সম্মানার্থে সম্মানিত মাহফিল মুবারক করার নির্দেশ মুবারক দেন। আর তিনি উনার সারা দেশে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিবস মুবারক উনাকে ঈদসমূহ উনাদের মধ্য থেকে (বিশেষ) ঈদ হিসেবে পালন করেন। এটা ছিলো উল্লেখিত বছর (৬৭১ হিজরী শরীফ) উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাসে।” সুবহানাল্লাহ! (আল ইস্তিক্বছা’ লি আখবারি দুওয়ালিল মাগরিবিল আক্বছা ২/৪৩)
(১০) আল্লামা হযরত ইমাম মুহম্মদ ইবনে উমর ইবনে মুবারক বাহ্রক্ব হাদ্বরামী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৯৩০ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
فحقيق بيوم كان فيه وجود المصطفى صلى الله عليه وسلم أن يتّخذ عيدا
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন, তাই এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন মুবারক উনার যথাযথ হক হচ্ছেন, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন উনাকে ‘ঈদ হিসেবে গ্রহণ করা’।” সুবহানাল্লাহ! (হাদাইকুল আনওয়ার ওয়া মাত্বালিউল আসরার ফী সীরাতিন নাবিয়্যিল মুখতার ৫৪ পৃষ্ঠা)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ ‘মুত্বহ্হার’ (পূত-পবিত্র) এবং ‘মুত্বহহির’ (পূত-পবিত্রতাদানকারী) বলতে হবে।
২১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বিষয়ে সম্মানিত ও পবিত্র বিশেষ আয়াত শরীফ
২১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত রওযা শরীফ ও মদীনা শরীফে দূরভিসন্ধিকারীদের ধ্বংস অত্যাবশ্যকীয় (১)
২১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুয়াল্লিমীন, মুত্ত্বালা’ আলাল গইব, ছাহিবুল ক্বলম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক হিদায়েত ও তা’লীমের পদ্ধতি (১)
২১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে দেশের সরকার ও যে দেশের মানুষ- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাপবিত্র ১২ই শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি যথাযথ সম্মান ও তা’যীম-তাকরীম করবে,
২১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার আখাছছুল খাছ তাওয়াল্লুক নিসবত ব্যতীত হাক্বীক্বী ইলিম অর্জন করা কখনোই সম্ভব নয় (১)
২১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই যিলক্বদ শরীফ
২০ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক হাদিয়া
২০ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আখাছ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত মুহব্বত মুবারক এবং বিশেষ নৈকট্য মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে, উনার মাহবূব, মুরাদ ও সমগ্র কায়িনাতের মালিক হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন (৪)
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
১৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)