আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের বিশুদ্ধ আকীদাহ্ মুবারক
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
, ০৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আক্বায়িদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত
যিনি খ্বালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَتَقَلُّبَكَ فِى السّٰجِدِيْنَ
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টি ছিল সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা শুয়ারা শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯)
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَـمْ اَزَلْ اُنْقَلُ مِنْ اَصْلَابِ الطَّاهِرِيْنَ اِلـٰى اَرْحَامِ الطَّاهِرَاتِ
অর্থ: “আমি সবসময় পূত-পবিত্র পুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক অর্থাৎ উনাদের থেকে পূত-পবিত্রা মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রেহেম শরীফ-এ অর্থাৎ উনাদের নিকট স্থানান্তরিত হয়েছি। ” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ طَلْقِ بْنِ عَـلِــىٍّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لَوْ اَدْرَكْتُ وَالِدَىَّ اَوْ اَحَدَهُـمَا وَاَنَا فِىْ صَلَاةِ الْعِشَاءِ وَقَدْ قَرَاْتُ فِيْهَا بِفَاتـِحَـةِ الْكِتَابِ تُنَادِىْ يَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَاَجَبْتُهَا لَبَّيْكِ
অর্থ: “হযরত ত্বল্ক্ব ইবনে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি, যদি আমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে অথবা উনাদের দু’জনের একজনকে দুনিয়ার যমীনে পেতাম, আর আমি সম্মানিত ছলাতুল ইশা (ফরয নামায) মুবারক-এ দাঁড়িয়ে সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করতে থাকতাম। এমতাবস্থায় উনারা যদি আমাকে এই বলে সম্মানিত আহ্বান মুবারক করতেন, হে মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে অবশ্যই অবশ্যই ওই অবস্থায় থেকেও (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ বন্ধ করে দিয়ে এবং সম্মানিত ছলাত মুবারক ছেড়ে দিয়ে) আমি উনাদের সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে ইরশাদ মুবারক করতাম, লাব্বাইক! হে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম, হে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম, আমি উপস্থিত, হাযির। ” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (শুয়াবুল ঈমান ১০/২৮৪, দায়লামী শরীফ ৩/৩৪৫, জামিউল আহাদীছ ১৮/৭৪, আল হাওই ২/২৮১ ইত্যাদি)
কাজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল তা সমস্ত কায়িনাতের চিন্তা-কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় উনারা শুধু যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ! উনারা হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল, মালিক এবং উনাদের প্রথম স্তর মুবারক-এ। সুবহানাল্লাহ! উনারা শুধু জান্নাতীই নন; বরং উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত কায়িনাতের মালিক। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত জান্নাত মুবারক উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন কখন উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ দয়া করে প্রবেশ করবেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করলেই সম্মানিত জান্নাত মুবারক ধন্য হয়ে যাবেন এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার নামকরণের বিষয়টি স্বার্থক হবে। সুবহানাল্লাহ! মূলত মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক সৃষ্টিই করেছেন উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য। সুবহানাল্লাহ! উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক এবং হুসনে যন মুবারক পোষণ করা এবং উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া, উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করা সকাল-সন্ধ্যা, দায়িমীভাবেই ফরয অর্থাৎ অনন্তকাল যাবৎ ফরয। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিস মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আক্বাঈদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত
২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বাঈদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বাঈদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বাঈদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বাঈদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বাঈদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বাঈদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
০৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বাঈদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
০২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বাঈদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বাঈদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বাঈদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আক্বাঈদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত
২৮ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












