সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (৭)
, ১৭ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৩ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১২ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
রঈসুল মুহাদ্দিছীন, হযরত শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وحیات حضرت انبیاء کرام عیلھم السلام متفق علیہ است ہیچ کسر اور خلافے نیست حیات جسمانی و دنیا حقیقی نہ حیات معنوی روحانی. انبیاء کرام علیہم السلام کبھی معزول نہیں ہو تے، اللہ تعالی جو مراتب درجات رسالت انہیں عطافرما ئے ہیں وہ ان سے کبھی نہیں چینتا، رسالت موت کے بعد بھی قائم وجاری رہتی ہے، ہم تو یہانتک کہی گے کہ انبیاء کرام کو موت ںہیں آتی زندہ جاوید اور باقی ہیں.
অর্থ: হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা হায়াত মুবারকে (জীবিত) থাকার উপর সবাই একমত, এতে কারো দ্বিমত নেই। উনাদের এ হায়াতে জিসমানী পার্থিব এবং যথার্থ, আধ্যাত্মিক এবং গোপনীয় নয়। হযরত আম্বিয়ায়ে কিরাম আলাইহিমুস সালাম উনারা কখনও বরখাস্ত হন না। উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি পয়গাম্বরত্বের যে পদ-মর্যাদা হাদিয়া করেছেন তা তিনি কখনও ছিনিয়ে নেন না। পয়গাম্বরত্ব পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরও স্থায়ীভাবে চালু থাকে। বরং আমরা তো এ পর্যন্ত বলবো যে, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের মৃত্যু আসেনি বরং উনারা যিন্দা এবং চির জীবিত। (তাকমীলুল ঈমান, ১১৬ পৃষ্ঠা)
আল্লামা ডাক্তার ইকবাল বলেন-
میرا عقیدیہ ہے کہ نبی اکرم صلی اللہ علیہ وسلم زندہ ہیں، اس زمانے کے لوگوں بھی انکی صحبت سے اسی طرح مستفیض ہو سکتے ہیں جس طرح صحابہ کرام ہوا کرتے تھے. لیکن اس زمانے میں تو اس قسم کے عقائد کا اظہار بھی اکثر دماغوں پرنا گوار ہو گا اس واسطے خاموش رہتا ہوں.
অর্থ: আমার আক্বীদা বিশ্বাস এই যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জীবিত আছেন। এ যামানার মানুষও উনার সাহচর্যে এরূপ উপকৃত হতে পারেন। যেরূপ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উপকৃত হতেন। কিন্তু এ যামানায় তো এ ধরনের বিশ্বাসসমূহের প্রকাশও অধিকাংশ মস্তিষ্কের কাছে অমনোরম বা বিস্বাদ হবে। তাই আমি নীরব থাকি। (ফতরাকে রসূল, ৭০ পৃষ্ঠা)
হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্বন্ধে একটি ঐতিহাসিক সত্য ঘটনা:
ওলীকুল শিরোমণি, হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ আহমদ কবীর রিফায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন ৫৫৫ হিজরীতে পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে তাশরীফ নিয়ে যান তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারতের জন্যও তাশরীফ নেন। পবিত্র রওযা শরীফ উনার নিকটে পৌঁছে তিনি উচ্চস্বরে বললেন, “আসসালামু আলাইকা ইয়া জাদ্দী।” সাথে সাথে পবিত্র রওযা শরীফ থেকে আওয়াজ মুবারক আসলো- “ওয়া আলাইকুমুস সালাম ইয়া ওয়ালাদী।” এ মুবারক আওয়াজ শুনে উনার উপর তন্দ্রাভাব এসে গেলো। তিনি ব্যতীত যত লোক সেখানে উপস্থিত ছিলেন সবাই এ পবিত্র আওয়াজ মুবারক শুনতে পান। কিছুক্ষণ পর তিনি দু’টি কাছীদা শরীফ পাঠ করলেন যার অনুবাদ এই-
“বিচ্ছেদ এবং দূরত্বের অবস্থায় স্বীয় রূহকে দস্ত বুছীর মর্যাদা লাভের জন্য পবিত্র রওযা মুবারকে প্রেরণ করতাম। বর্তমানে প্রকৃত প্রস্তাবে যখন আমার পবিত্র দীদার মুবারক নছীব হয়েছে। তাই দয়া বিতরণে আপনার পবিত্র দস্ত মুবারক দান করুন। তাহলে উহাতে চুম্বন করে সম্মানিত হবো।” সুবহানাল্লাহ!
তৎক্ষণাৎ রওযায়ে আত্বহার শরীফ থেকে পবিত্র হাত মুবারক নূর চমকিয়ে বের হলে তিনি উহাতে চুম্বন দিলেন তখন রওযায়ে আক্বদাস উনার পার্শ্বে প্রায় ৯০,০০০ হাজার আশিক্বানে জামালে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরানী হাত মুবারক উনার পবিত্র যিয়ারত মুবারক দ্বারা মর্যাদাবান হলেন। তন্মধ্যে গাউছুল আ’যম, বড়পীর হযরত শায়েখ আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত শায়েখ আদভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং হযরত শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক হুসাইনী ওয়াসিতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের ন্যায় মহান বুযূর্গানে দ্বীন উনারা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাকে এত প্রচুর পরিমাণ উলামায়ে কিরাম বর্ণনা করেছেন যে, তাতে ভুল ভ্রান্তি হওয়ার কোন অবকাশ নেই। (বুরহানুল মুয়াইয়্যাদের অনুবাদ বুনইয়ানুল মুশাইয়্যাদ ৩৫ পৃষ্ঠা, আরকানে ইসলাম ৩২৬ পৃষ্ঠা)
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত ঘটনা দ্বারা চাক্ষুষভাবে হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রমাণিত হলো। কারণ পবিত্র রওযা শরীফ হতে উচ্চস্বরে সালাম উনার জবাব দেয়া এবং পবিত্র হাত মুবারক বের করে দেয়া পবিত্র হায়াত মুবারকে থাকার পূর্ণ নিদর্শন, পবিত্র হায়াত মুবারকে না হলে সালামের জবাব দেয়া এবং পবিত্র হাত মুবারক বের করা সম্ভব নয়। (চলবে)
-আল্লামা আবু আহমদ হুসাইন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৭)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












