সৃষ্টির ইতিহাসে এই প্রথম আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুদরত মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক বর্ণনা (৩)
, ১৯ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২২ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
وَمَا يَـنْطِقُ عَنِ الْـهَوٰى. اِنْ هُوَ اِلَّا وَحْىٌ يُّـوْحـٰـى
‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক ছাড়া উনি কোনো কথা মুবারক বলেন না, কোনো কাজ মুবারক করেন না, কোনো সম্মতি মুবারক প্রকাশ করেন না।’
সেটা কি? সেটা হচ্ছে- ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ-
يَا حَبِيْبْ صَـلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا وَاَنْتَ وَمَا سِوَاكَ خَلَقْتُ لِاَجْلِكَ
“আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি এবং আপনি। আর আপনি ছাড়া যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছু আমি আপনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্যই সৃষ্টি করেছি।” সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন,
يَا رَبِّ اَنْتَ وَمَا اَنَا وَمَا سِوَاكَ تَـرَكْتُ لِاَجْلِكَ
‘আয় বারে এলাহী! শুধু আপনি, আমিও না। আপনি ছাড়া আর যা কিছু রয়েছে, সমস্ত কিছুই তরক করেছি আপনার রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার লক্ষ্যে। আমি তো আপনার মধ্যে ফানা-বাক্বা।’
এই পর্যন্ত আসলো। এরপরে যে বিষয়টা বুঝতে হবে- ঈমান রক্ষা করবে সবাই। ঈমানটা নষ্ট করো না কেউ। একটা কঠিন বিষয়। এরপর যেই জিনিসটা হলো, মহান আল্লাহ পাক উনি কিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করলেন, সেটা মহান আল্লাহ পাক উনি আমাকে দেখালেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) দেখলাম- মহান আল্লাহ পাক উনি উনার পাশে নূর মুবারক স্থাপন করলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) বললেন, প্রথম আয়াত শরীফ-
قَدَّرَ فَـهَدٰى
মহান আল্লাহ পাক উনি নিজে বললেন। এখানে কি এর অর্থ? মহান আল্লাহ পাক বললেন,
يَدُوْرُ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَـعَالـٰى
এখানে কুদরত নাই।
يَدُوْرُ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَـعَالـٰى
এর অর্থ হচ্ছে আসলে- ঘূর্ণীয়মান না, অবস্থান। ঠিক ঐ হাক্বীক্বতটা মহান আল্লাহ পাক উনি প্রকাশ করলেন, যেটা সরাসরি নূর মুবারক, যা উনার পাশে উনি বসালেন। এটা হলো-
يَدُوْرُ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَـعَالـٰى
সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
আর কুদরতটা কী? মহান আল্লাহ পাক উনি নিজের ভাষায় বললেন, বাংলায় এটা ‘নিয়ন্ত্রণ’। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মহান আল্লাহ পাক উনি নিজেই বললেন উনার ভাষায়। অর্থাৎ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
একটা হচ্ছে,
{ قَدَّرَ فَـهَدٰى} [اَلْاَعْلَى: ৩]
{قَدَّرَهٗ تَـقْدِيْـرًا} [اَلْفُرْقَانُ: ২]
দুই খানা আয়াত শরীফ। সমস্ত কিছু দিয়ে- আমরা যেটা বলি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কিছু দিয়েই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। ঐ জিনিসটাই মহান আল্লাহ পাক উনি সরাসরি আমাকে দেখিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
আর কুদরত মুবারক অর্থ- কুদরত উনার সরাসরি অর্থ হচ্ছে- (১) প্রথম অর্থ হচ্ছে- নিয়ন্ত্রণ। (২) দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে- ছোহ্বত। (৩) তৃতীয় অর্থ হচ্ছে- যিয়ারত। (৪) চতুর্থ অর্থ হচ্ছে- দীদার। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এই যে তারা বলে, মহান আল্লাহ পাক উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি দেখেননি। না‘ঊযুবিল্লাহ! একবার দেখেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! এটা শুদ্ধ না। উনি ২৪ ঘন্টাই যিয়ারত মুবারক-এ আছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৭)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












