সৃষ্টির ইতিহাসে এই প্রথম আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুদরত মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক বর্ণনা (৬)
, ২২ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
[قَدَّرَ فَـهَدٰى} [اَلْاَعْلَى: ৩}
‘ক্বদ্দারা’ মানি এখানে তাক্বদীর শব্দ দিয়ে হেদায়াত দিয়েছেন। অর্থাৎ সব নিয়ামত দিয়েই সৃষ্টি করেছি। অর্থাৎ নূর মুবারক উনার কোনো ছূরত মুবারক নেই। সরাসরি অজুদ মুবারক, নূর মুবারক এনে স্থাপন করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আর
{قَدَّرَهٗ تَــقْدِيْــرًا} [اَلْفُرْقَانُ: ২]
এটা একই কথা। এই আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে অনেক কিছু লেখে। আসলে এগুলো ওদের ভাষাগত দিক দিয়ে বর্ণনা। কিন্তু হাক্বীক্বত হলো- তাক্বদীরে সব ফায়ছালা করে দেয়া হয়েছে অর্থাৎ সমস্ত নেয়ামত মুবারক যা কিছু আছে সমস্ত কিছুর মালিকানা সব দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে স্থাপন করেছেন। তখন কিছুই ছিলো না, ফাঁকা। তারপর ওখান থেকে নূর মুবারক নিয়ে ধাপে ধাপে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এই সৃষ্টির যে বিষয়টা, এই বিষয়টাও সরাসরি মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে দেখিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা তো মানুষ বুঝবে না। এখন যদি বলো মানুষের ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। (না‘ঊযু বি মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাহলে সব বলাও মুশকিল। মহান আল্লাহ পাক উনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক করলেন, আনলেন, এটা আমাকে দেখালেন। কিভাবে দেখালেন? এটা তো মানুষ বুঝবে না। উনি তো দেখিয়েছেন আমাকে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এখন শুনো, ফিকির করো। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, পরে করলে আমি জওয়াব দিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ। কোনো অসুবিধা নেই। এখন এগুলো মানুষের বুঝের বাহিরে। এগুলো ভাষা দিয়ে সবটা প্রকাশ করা যায় না। এই যে আমি বলেছি। যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ লেখা আছে-
لَا اِلـٰــهَ اِلَّا اللهُ
এরপরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক-
مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ
পাশাপাশি। কিন্তু একজনের ভিতরে আরেকজন না। মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে উনি জুদাও না, আবার মহান আল্লাহ পাক উনার ভিতরেও না। কিন্তু পাশাপাশি।
এগুলো তো মানুষ বুঝবে না। এখন যারা শুনছে, এদের অনেকে হয়তো বুঝে নাই। বুঝবে না। এটা ফিকির করতে হবে। আর যদি তোমাদের কোনো প্রশ্ন থাকে, পরে জিজ্ঞাসা করলে আমি বলে দিবো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু ভাষা দিয়ে বুঝানো অত্যান্ত কঠিন।
এখন শেষ যে কথাগুলো, এগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার নিজের বক্তব্য। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যখন যাহির করা হলো উনি পাশে অবস্থান মুবারক করতেছেন। উনার অজুদ মুবারক, কুদরত মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
বিষয়টা মানুষের আক্বীদার সাথে সম্পৃক্ত। কেউ প্রশ্ন করতে পারে যে, আপনি দেখলেন কিভাবে? আমাকে দেখানো হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এখানে অনেক প্রশ্ন আছে। সব প্রশ্ন দরকার নেই। এখন ফিকির করো সবাই কতটুকু বুঝতে পেরেছো । বুঝতে পেরেছো? হ্যাঁ? এটা ফিকির করতে হবে। বার বার শুনতে হবে এটা। রেকর্ডটা শুনো বার বার। এরপর যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, প্রশ্ন করলে আমি জওয়াব দিবো। ইনশাআল্লাহ!
এখানে আগেই আমি একটা প্রশ্ন বলতে পারি এবং জওয়াবও দিতে পারি। সেটা হলো- অনেকে বলতে পারে- তখন কিছু ছিলো না, তাহলে আপনি ছিলেন কোথায়? আপনি দেখলেন কিভাবে?
এক গোলামের উক্তি: ‘মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন। ’
এটা আমি আগেই বলে দিলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এটা মহান আল্লাহ পাক তিনি দেখিয়েছেন। দেখা তো সম্ভব ছিলো না। এটা একটা কঠিন বিষয়। কুদরত তো আর মানুষ বুঝেনি। তবে শেষের বক্তব্য-কথাগুলি, হুবহু মহান আল্লাহ পাক উনার। উনি সরাসরি স্পষ্টভাবে বলেছেন। সমস্ত নেয়ামত মুবারকসহ যে নূর মুবারক যাহির করলেন, সেই বিষয়টা বা হাক্বীক্বতটা আমাকে স্পষ্ট দেখিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৭)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












