স্থাপত্যর নান্দনিক নিদর্শন ঝাউদিয়ায় ঐতিহাসিক জাফরি ইটের মসজিদ
এডমিন, ২২ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১১ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ১০ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) স্থাপত্য নিদর্শন

সুদৃশ্য পাঁচটি গম্বুজ। চার কোনায় চারটি নান্দনিক মিনার। প্রবেশপথে দুটি মিনার। উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে একটি করে খিলানপথও ছিল। এখন সেগুলো ইট দিয়ে তৈরি জালি নকশায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মিহরাব ও পূর্ব দেয়ালের প্রবেশপথের বাইরের দিকে রয়েছে ক্ষুদ্রাকৃতির মিনার শোভিত আয়তাকার প্রক্ষেপণ। মিনারগুলি ছাদের প্রাচীর ছাড়িয়ে সোজা উপরে উঠে গেছে। এ ছাড়া গম্বুজগুলোর শীর্ষেও রয়েছে পদ্মকলস নকশার দৃষ্টিনন্দন চূড়া।
সম্পূর্ণ ইটের তৈরি মসজিদটির ইমারতের কিছু অংশ ধনুক, বাঁকা কার্নিশ, টেরাকোটা ও খোদাই নকশায় শিল্পীদের নিপুণ হাতে সুসজ্জিত। ভেতরের চমৎকার ‘ফুলের নকশা।
মসজিদের বাইরের সৌন্দর্য রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিছুটা ম্লান হলেও ভেতরের চোখ ধাঁধানো নকশা অক্ষত আছে। সূক্ষ¥ নকশার কারুকাজ মসজিদের ভেতর এনে দিয়েছে অন্য এক আবহ। মিহরাব, দেয়াল এবং গম্বুজের ভেতরের অংশে জ্যামিতিক নকশার সঙ্গে লতাপাতার নকশাও আছে।
মসজিদটি আয়তাকার। ভেতরে তিন সারিতে একসঙ্গে প্রায় ১০০ জন মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারে। আরও বেশি মানুষের জন্য মসজিদটির বাইরে তেরপল দেওয়া আছে।
নিপুণ কারুকাজের ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই শত শত দর্শনার্থী আসেন নিভৃতপল্লী ঝাউদিয়ায়। শত শত দর্শক আর ভ্রমণ পিপাসুদের আগমনে মুখর থাকে এর প্রাঙ্গন। জুময়ার দিন উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়াতে মসজিদটি ক্রমে জীর্ণ হচ্ছে।