স্থাপত্য ইতিহাসে অনন্য এক নিদর্শন মুবারক : হযরত খাঁন জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাযার শরীফ।
, ২২ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৩ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১২ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ৩০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) স্থাপত্য নিদর্শন

৩য় পর্বের পর....
ভবিষ্যত অনুসন্ধানে যদি উল্লিখিত ভূগর্ভস্থ কুঠুরিটি উন্মোচিত হয় এবং শিলালেখাযুক্ত দেয়াল আবিষ্কৃত হয় তাহলে হযরত খাঁন জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রকৃত নাম, পরিচয় ও উনার অবদান এবং আনুপূর্বিক ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য উদ্ঘাটিত হতে পারে বলে অনেক ঐতিহাসিকই মনে করে। হযরত খাঁন জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফে উৎকীর্ণ পর্যাপ্ত শিলালেখের মধ্যে যে কয়টির পাঠোদ্ধার হয়েছে তার মূল্যও যথেষ্ট। এগুলির মধ্যে তিনটি শিলালিপি উল্লেখযোগ্য; দুটি হযরত খাঁন জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইন্তেকালের তারিখ সংবলিত আরবি ভাষায় লেখা অন্যটি একটি চার পংক্তির ফারসি কবিতা। এই শিলালিপিতে দ্বীনি অনুভূতি সবার উপরে স্থান পেয়েছে যাতে মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক, এ দুনিয়ার অনিত্যতা এবং মানব দেহের পরিণাম উল্লেখ করা হয়েছে। “প্রস্তর মাজার শরীফের দক্ষিণদিকে একটি ত্রিকোণের মধ্যে লিখিত আছে যে সুমহান হযরত খাঁন জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফটি নন্দন কাননের অংশ।
উল্লিখিত প্রথম শিলালিপিতে প্রথমে কিছু কথার পরে উল্লেখ আছে যে 'উলুখ খানজাহান, এ পৃথিবীর বাসস্থান ছেড়ে চিরদিনের বাসস্থানে চলে গেছেন যিলহজ্ব মাসের ২৬ তারিখ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার); এবং ঐ মাসের ২৭ তারিখ ইয়াওমুল খ্বমিস (বৃহস্পতিবার) উনাকে দাফন করা হয় ৮৬৩ হিজরি খৃ: (২৬ শে অক্টোবর, ১৪৫৯ খৃ:) দ্বিতীয় শিলালিপিতে উদ্ধৃত আছে “খান-ই-আযম খান-ই-জাহান' রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র মাজার শরীফ বেহেশতের উদ্যানের অংশবিশেষ। মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত ও উনার করুণাময়ের দৃষ্টি উনার ওপর পতিত হোক ৮৬৩ হিজরি ২৬শে যিলহজ্ব এটি লিপিবদ্ধ হয়েছে (২৫ অক্টোবর, ১৪৫৯ খৃ:)।
মাজার শরীফে উৎকীর্ণ ফারসি কবিতাটির অনুবাদ;
“হে বন্ধুগণ স্মরণ রেখো, মৃত্যু অনিবার্য!
কাননে কণ্টক আছে, মৃত্যু অনিবার্য, ইন্তেকালের অনিবার্য!
সকল সৃষ্টির প্রবল শত্রু মৃত্যু এবং (সে আছে দৃঢ়) প্রত্যয় নিয়ে
(সে) অন্য শত্রুদের মত নয়, মৃত্যু অনিবার্য, ইন্তেকালের অনিবার্য”
এ শিলালিপি দৃষ্টে অনুমিত হয় যে, হযরত খাঁন জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ইন্তেকালের পূর্বেই এই মাজার শরীফের স্থান নির্ধারিত করে গিয়েছিলেন। এবং নির্ধারিত স্থানে একটি ভবন নির্মান করে গিয়েছিলেন। উনার ইন্তেকালের পর এই শিলালিপিতে তারিখ যুক্ত করা হয়। মাজারলিপি অনুসারে হযরত খাঁন জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফটি ১৪৫৯ খৃ: নির্মিত হয়েছে বলে গ্রহণ করতে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।
চলবে ইনশাল্লাহ....
সূত্র:
ইন্টারনেট অবলম্বানে সংকলিত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ঐতিহ্যবাহী গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দান
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক বদর আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরগাহ (২)
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক বদর আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরগাহ (১)
০৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
২০০ বছরের প্রাণ ৪০০ মণ আম!
০১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বন্দরের ঐতিহাসিক নিদর্শন বাবা সালেহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ
৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আরবের লিপিশিল্প: আরবি লিপিশিল্পে ব্যবহৃত উপকরণ, কলাকৌশল ও বৈশিষ্ট্য
২১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মুঘল আমলের নিরাপত্তা নিদর্শন হাজীগঞ্জ দুর্গ
০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রাচীন মসজিদের অজানা ইতিহাস
০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তাজ-উল-মসজিদ ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায় আশুলিয়ার জেবুন নেসা মসজিদ
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক চুনাখোলা মসজিদ
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (১৪)
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)