(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জ
রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ইসলাম উনার সকল বিষয়েই আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত তথা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস সম্মত আক্বীদা পোষণ করেন এবং আমল করে থাকেন। যারা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় এবং উনার আক্বীদা-আমল সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে থাকে তাদের প্রতি-
রাজারবাগ শরীফ-এর তরফ থেকে শর্ত সাপেক্ষে
প্রকাশ্য বাহাছ ও চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করা হচ্ছে
প্রাথমিক শর্তসমূহ : (১) বাহাছ প্রকাশ্য ও সুবিধাজনক স বাকি অংশ পড়ুন...
৭৬. প্রসঙ্গ : আযীযুল হককে ‘হদস’ আমীনীকে ‘কমিনী’ ও মুহিউদ্দীনকে ‘মাহিউদ্দীন’ বলা দলীলসম্মত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : তারা বলে থাকে যে, কারো নাম পরিবর্তন করে ‘খারাপ’ নামে সম্বোধন করা জায়িয নেই।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : সকলেরই জানা যে, আবূ জাহিলের প্রকৃত নাম ছিল আমর বিন হিশাম। তার দুনিয়াবী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার কারণে তাকে ‘আবুল হিকাম তথা জ্ঞানের পিতা’ উপাধি দেয়া হয়। কিন্তু সত্যকে প্রত্যাখান করায় আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তার উপাধি ‘আবূল হিকাম’কে পরিবর্তন করে নতুন উপাধি দিয়েছিলেন ‘আবূ জাহিল’ অর্থা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৭৩. প্রসঙ্গ : ধূমপান করা হারাম
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : ধূমপান করা মুবাহ।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : ধূমপানের মাসয়ালাটি মূলতঃ ক্বিয়াসী মাসয়ালা। ইমাম-মুজতাহিদগণ উনারা মূলতঃ কাঁচা পিয়াজ ও কাঁচা রসুন এর সাথে ক্বিয়াস করে ধূমপানের ফায়ছালা দিয়েছেন। হাদীছ শরীফ-এ কাঁচা পিয়াজ ও রসুন খেতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তাতে দুর্গন্ধ রয়েছে। তাই ফক্বীহগণ উনারা কাঁচা পিয়াজ ও কাঁচা রসুন খাওয়াকে মাকরূহ তানযীহী বলে ফতওয়া দিয়েছেন। ধূমপানের দূর্গন্ধ যেহেতু পিয়াজ-রসুনের চেয়েও বেশী, তাই ফক্বীহগণ ধূমপান করাকে মাকরূহ তাহরীমী বল বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৭০. প্রসঙ্গ : প্রচলিত ছয় উছূলী তাবলীগ করা ফরয নয়
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : প্রচলিত ছয় উছূলী তাবলীগ নবীওয়ালা কাজ। এটা সকলের উপর ফরয। চিল্লা না দিলে ঈমান ঠিক হবে না। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : ‘তাবলীগ’ অর্থ প্রচার করা। তাবলীগ দু’প্রকার- তাবলীগে আম ও তাবলীগে খাছ। তাবলীগে আম ফরযে কিফায়া আর তাবলীগে খাছ ফরযে আইন। তাবলীগে আম করবে মুবাল্লিগে খাছগণ, অর্থাৎ হক্কানী আলিম-উলামা বা পীর-মাশায়িখগণ উনারা। আর তাবলীগে খাছ মুবাল্লিগে আমের জন্যেই ফরয। অর্থাৎ প্রত্যেকের জন্যেই তার অধীনস্থদের মধ্যে তাবলীগ করা ফ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৬৭. প্রসঙ্গ- খাসি কুরবানী করা জায়িয ও সুন্নত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : তারা বলে থাকে যে, খাসি কুরবানী করা জায়িয নেই। তাই খাসি কুরবানী করলে কুরবানী হবে না। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : খাসি কুরবানী করা শুধু জায়িযই নয়, বরং সুন্নাতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার অন্তর্ভুক্ত। স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই খাসি কুরবানী করেছেন। যা ছিহাহ সিত্তার হাদীছ শরীফ দ্বারাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
অতএব, যা স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৬৪. প্রসঙ্গ : দোয়াল্লীনকে যোয়াল্লীন পড়লে নামায ফাসেদ হয়ে যায়
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : আরবী ‘দোয়াদ’ অক্ষরটিকে ‘যোয়াদ’ উচ্চারণ করতে হবে। সূরা ফাতিহা-এর ‘দোয়াল্লীন’কে ‘যোয়াল্লীন’ পড়তে হবে। নচেৎ নামায হবে না। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : আমাদের হানাফী ক্বারী এবং রাবীগণ উনাদের মতে এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মতে ‘দোয়াদ’কে ‘যোয়াদ’ আর ‘দোয়াল্লীন’কে ‘যোয়াল্লীন’ পড়া নাজায়িয ও হারাম এবং নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ। এটার উপরই ফতওয়া। এর বিপরীত মত পোষণকারীরা বাতিল ও গোমরাহ্।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৬১. প্রসঙ্গ : নিয়ত করে মাযার শরীফ যিয়ারত করা সুন্নত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : নিয়ত করে রওজা শরীফ ও কোন ওলীর মাযার শরীফ যিয়ারত করা নাজায়িয ও বিদায়াত। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : নিয়ত করে নবীয়ে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওজা শরীফ ও ওলীগণ উনার মাযার শরীফ যিয়ারত করা জায়িয তো অবশ্যই বরং খাছ সুন্নত। এটাকে বিদ্য়াত বলা কুফরী। কেননা, স্বয়ং আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রতি বছর উহুদ এবং বদরে অবস্থানরত শহীদগণ উনাদের মাযার শরীফ নিয়ত করে যিয়ারত করতেন বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৫৮. প্রসঙ্গ : এক মুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয, গোঁফ ছোট করে রাখা সুন্নত, মু-ন করা বিদয়াত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : দাড়ি রাখা জরুরী নয় বরং সুন্নত। দূর থেকে বুঝা যায়, এতটুকু পরিমাণ দাড়ি রাখলেই চলে। একমুষ্টি পরিমাণ রাখা শর্ত নয়। আর গোঁফ মু-ন করাই সুন্নত।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : দাড়ি কমপক্ষে একমুষ্টি পরিমাণ লম্বা করা ফরয-ওয়াজিব। অর্থাৎ একমুষ্টি হওয়ার পূর্বে দাড়ি কাটা বা ছাঁটা হারাম। চার মাযহাবের ইমামগণ উনারা এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। আর গোঁফ মু-ন করা ফতওয়াগ্রাহ্য মতে মাকরূহ্ তাহরীমী ও বিদ্য়াত। গোঁফ কাঁচি বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৫৫. প্রসঙ্গ : কোনা ফাঁড়া কোর্তা সুন্নত নয়
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সব ধরনের অর্থাৎ গোল, কোণা বন্ধ, কোণা ফাঁড়া সব ধরনের কোর্তাই পরিধান করেছেন। তাই কোণা ফাঁড়া কোর্তাও সুন্নত। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এ বহুবার প্রমাণ করা হয়েছে যে, বাতিলপন্থীদের উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণই ভুল। কারণ, তারা একটি দুর্বল প্রমাণও পেশ করতে পারবেনা যে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৫২. প্রসঙ্গ : ইমামাহ্ বা পাগড়ী পরিধান করা দায়েমী সুন্নত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: পাগড়ী পরিধান করা দায়িমী সুন্নত নয়। তাই তারা অন্যান্য সময় তো দূরের কথা, নামাযের সময়ও পাগড়ী পরিধান করেনা।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: ইমামাহ্ বা পাগড়ী পরিধান করা দায়িমী বা সার্বক্ষণিক সুন্নত। কেননা, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে বা সর্বদা পাগড়ী পরিধান করেছেন। নামাযের ভিতর পাগড়ী পরিধান করা যেরূপ সুন্নত, তদ্রুপ নামাযের বাইরেও সুন্নত। পাগড়ীসহ এক রাক্য়াত নামায আদা বাকি অংশ পড়ুন...
৪৯. প্রসঙ্গ : রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনসুলিন, ইনহেলার নিলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : রোযা অবস্থায় ইনজেকশন নেয়া জায়িয। তাতে রোযা ভঙ্গ হয়না। কারণ ইনজেকশন মগজ ও পাকস্থলীতে পৌঁছেনা। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার বক্তব্য : এ কথাটি সম্পূর্ণ ভুল ও দলীলবিহীন। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে ইনজেকশন অবশ্যই ব্রেইন বা মগজে ক্রিয়া করে। সুতরাং ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনসুলিন, ইনহেলার নিলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ২১, ২২, ২৩, ২৬, ৪০, ৪১, ৪৩, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৫৩ ও ৬৪তম সং বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৪৬. প্রসঙ্গ : আযানের সময় অঙ্গুলী চুম্বন করা মুস্তাহাব সুন্নত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : আযানের সময় নবীজি উনার নাম মুবারক শুনে অঙ্গুলী চুম্বন করে চোখে লাগানো বিদয়াত ও নাজায়িয। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : মারফূ ছহীহ্ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম তিনি স্বয়ং নিজে আযানে হাবীবে খোদা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শুনে অঙ্গুলী চুম্বন করে চোখে লাগিয়েছেন। তাই এটা খাছ সুন্নতে ছাহাবা। মাসিক আ বাকি অংশ পড়ুন...












