একাধিক হাদীছ শরীফ বিশারদগণ উনারা ‘আল ফাওয়াইদ’ কিতাবের উদ্ধৃতিতে এই হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করেছেন এবং সনদ নির্ভরযোগ্য বলেছেন। যেমন- হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘আশ শামায়িলুশ শরীফাহ’ কিতাবে উল্লেখ করেন-
وَاقْتصر عَلَيْهِ مَعَ وُرُوده من طَرِيق مَقْبُول فقد رَوَاهُ الخلعي رحمة الله عليه فِي فَوَائده من حَدِيث سيدنا حضرت كرم الله وَجهه عليه السلام قَالَ الْحَافِظ الزين الْعِرَاقِيّ رحمة الله عليه وَإِسْنَاده جيد
অর্থ: “এ কথার উপরই সন্তুষ্ট থাকা উচিত যখন এই হাদীছ শরীফখানা আরেকটি গ্রহণযোগ্য সনদে বর্ণিত হয়েছে। যেটা ইমাম খিলা‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘আল ফাওয়াই বাকি অংশ পড়ুন...
ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র মদীনা শরীফবাসী উনাদের ব্যাপারে বলে-
لَيْسَ لَـهُمْ اِلَّا هٰذَا الْغَشْمَةُ وَاللهِ لَاَقْـتُـلَـنَّـهُمْ
অর্থ: “উনাদের জন্য শুধু ঐ যালিমটিরই (ইবনে উক্ববা লা’নাতুল্লাহি আলাইহিরই) প্রয়োজন। নাঊযুবিল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আমি অবশ্যই অবশ্যই উনাদেরকে শহীদ করবো। ” নাঊযুবিল্লাহ! (বিদায়াহ্-নিহায়াহ্ ৮/২৩৯)
ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি ইবনে উক্ববা লা’নাতুল্লাহি আলাইহিকে বলে, ‘যদি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হও এবং বায়াত গ্রহণে পবিত্র মদীনা শরীফবাসী উনারা রাজি না হন, তাহলে তুমি ছোট-ব বাকি অংশ পড়ুন...
অষ্টম প্রমাণ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰی عَنْهُ قَالَ وَعَدَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ الْـهِنْدِ فَاِنْ اَدْرَكْتُهَا اُنْفِقْ فِيْهَا نَفْسِىْ وَمَالِىْ وَاِنْ قُتِلْتُ كُنْتُ اَفْضَلَ الشُّهَدَاءِ وَاِنْ رَجَعْتُ فَاَنَا حَضْرَتْ اَبُوْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰی عَنْهُ اَلْمُحَرَّرُ
অর্থ: “সর্বাধিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
অতঃপর হযরত আবূ উবাইদা ইবনে জাররাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘এমন কে আছেন যিনি শত্রু ছাওনির ভিতরে গিয়ে আমাদের জন্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের সংবাদ মুবারক নিয়ে আসবেন? যিনি এই কাজ করবেন, উনার প্রতিদান স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনিই দিবেন। ’ হযরত আবূ উবাইদা ইবনে জাররাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার এই সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সবার আগে সাড়া দেন হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। হযরত আবূ উবা বাকি অংশ পড়ুন...
ঘর ওয়ালার প্রশ্নের জবাবে অনুমতি প্রার্থনাকারী শুধু “আমি আমি” বলা নিষেধ হওয়া সংক্রান্ত :
‘খত্বীব’ উনার ‘জামে’তে হযরত আলী বিন আছিমিল্ ওয়াসিত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একদা আমি বছরায় আগমন করে হযরত শু’বাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাড়ীতে আসলাম এবং উনার ঘরের দরজায় খট্খটি দিলাম। তিনি বললেন, আপনি কে? আমি বললাম আমি। তিনি বললেন, হে আপনি! গর্বকারী বন্ধু সে তার বন্ধুর কাছে আমি বলছে। অতঃপর তিনি ঘর থেকে আমার দিকে বেড়িয়ে আসলেন এবং বললেন, আমার কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত মুহম্মদ ইবনুল মুনকাদির রহমতুল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
ঘর ওয়ালার প্রশ্নের জবাবে অনুমতি প্রার্থনাকারী শুধু “আমি আমি” বলা নিষেধ হওয়া সংক্রান্ত:
‘খত্বীব’ উনার ‘জামে’তে হযরত আলী বিন আছিমিল্ ওয়াসিত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একদা আমি বছরায় আগমন করে হযরত শু’বাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাড়ীতে আসলাম এবং উনার ঘরের দরজায় খটখটি দিলাম।
তিনি বললেন, আপনি কে?
আমি বললাম আমি।
তিনি বললেন, হে আপনি! গর্বকারী বন্ধু সে তার বন্ধুর কাছে ‘আমি’ বলছে।
অতঃপর তিনি ঘর থেকে আমার দিকে বেরিয়ে আসলেন এবং বললেন, আমার কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত মুহাম্মদ ইবনুল মুনকাদির রহমতুল্ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রথম পূর্বের লেখা থেকে প্রমাণ হয়েছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দায়েমী দীদার মুবারকে মশগুল আছেন। তারপরও সাধারণ মানুষকে বিষয়টা আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝানোর জন্য বলা হয় সম্মানিত মি’রাজ শরীফ হয়েছে ৩৪ বার, এর মধ্যে ১ বার সরাসরি সাক্ষাৎ ৩৩ বার রূহানীভাবে। এখন মহান আল্লাহ পাক উনার সরাসরি দীদার মুবারক বিষয়ে আমরা কিছু দলীল পেশ করবো। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে ছহীহ সনদে বর্ণিত আছে-
حدثنا عبد الله حدثني أبى ثنا عفان ثنا عبد বাকি অংশ পড়ুন...
মহিয়সী কন্যা:
একদা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি নাগরিকদের অবস্থা জানার জন্য পবিত্র নগরী মদীনা শরীফের রাস্তায় ঘুরছিলেন। হঠাৎ এক বাড়িতে এক বৃদ্ধা ও তার কন্যার কথোপকথন শুনে তিনি দাঁড়িয়ে যান।
বৃদ্ধা মহিলা তার মেয়েকে বলছেন, ‘মা, দুধে পানি মিশিয়ে বিক্রি করলে হয় না? তাহলে আমাদের অবস্থা আরো স্বচ্ছল হতো। ’
কন্যা তার মায়ের উত্তরে বললেন, “তা কি করে হয় মা! আমীরুল মু’মিনীন উনার হুকুম- কেউ দুধে পানি মেশাতে পারবে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম এটা পছন্দ করে না। ”
উত্তরে বৃদ্ধা বললেন, “খলীফা উনার আদেশ তাতে কি হয়েছে? কেউ তো আর দেখ বাকি অংশ পড়ুন...












