সাইয়্যিদাতুনা হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক:
হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বলেন, সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার একপর্যায়ে-
أَقْبَلَ الرَّجُلُ الَّذِي ضَرَبَ ابْنِي فَقَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا ضَارِبُ ابْنِكِ قَالَتْ فَأَعْتَرِضُ لَهُ فَأَضْرِبُ ساقه فبرك قالت فرأيت رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَبَسَّمُ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ
অর্থ: “আমার সন্তান উনাকে যেই কাট্টা কাফির আঘাত করেছে সে অগ্রসর হয়ে সামনে আসছিলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...
নাজাত (نجاة) আরবী শব্দ। শাব্দিক অর্থ মুক্তি লাভ করা, জান্নাত লাভ করা, রেযামন্দি মুবারক লাভ করা। যে নূর মুবারক লাভের মাধ্যমে মাখলুকাত জাহান্নাম হতে মুক্তি লাভ করে, জান্নাত লাভ করে, চিরস্থায়ী রেযামন্দি হাছিল করে, উনাকে নূরুন নাজাত মুবারক হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে যা দম বা রক্ত নামে অভিহিত হয়, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে তা ‘নূরুন নাজাত মুবারক’ নামে সম্বোধন করতে হবে। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن ابن عباس رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْه قال حجم النبي صلى الل বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বীন ইসলাম গ্রহণ:
অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র মদীনা শরীফে তাশরীফ মুবারক রাখলেন, আমি তখন বাগানে খেজুর পাড়ছিলাম, আর আমার ফুফু খালিদা বিনতুল হারিছ খেজুর কুড়াচ্ছিলেন। এই সময় ইয়াহুদী গোত্র বনু নাদ্বীরের এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলতে লাগলো, আরবের অধিকারী ব্যক্তি আজ এসে গেছেন। এ কথা শুনে আমি কাঁপতে শুরু করলাম এবং জোরে তাকবীর দিলাম। আমার বৃদ্ধা ফুফু আমার এ অবস্থা দেখে বললেন, ওরে খবীছ! তোমার যা হাল হয়েছে, হযরত মূসা ইবনে ইমরান আলাইহিস সালাম তিনিও যদি আসতেন, তা হলেও উনার চেয়ে বে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلْيَـوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْـنَكُمْ وَاَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْاِسْلَامَ دِيْـنًا
অর্থ: “আজকে তোমাদের জন্য এই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পূর্ণ করে দিয়েছি, আমার সমস্ত নিয়ামত মুবারক তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিয়েছি এবং আমি তোমাদের জন্য সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে মনোনীত করে সন্তুষ্ট হয়েছি।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: ০৩)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি এই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক দিয়েছেন এবং এই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম যে পালন করবে উনার প্রতি তিনি সন্ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের কত বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক তা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরাআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! প্রত্যেকটা পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উনাদের শান-মান, বুযূর্গী, সম্মান মুবারক স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উল্লেখ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
‘আমরা সে বিষয়গুলো সবসময় বলে থাকি।’ সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
ঝগড়া-বিবাদ খুবই ন্যাক্কারজনক ও খারাপ কাজ। নিজের হক্ব ও অধিকার রক্ষা ও লাভের জন্য ন্যায় পন্থায় বিবাদ করা দুরস্ত থাকলেও বিবাদ পরিহার করে চলা সর্বাবস্থায়ই উত্তম। ঝগড়া-বিবাদ করলে কথায় কথায় অশ্লীল, গালিগালাজ ও কটুবাক্য এসে যায় এবং মনের ভিতরে ঘৃণা বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়। যার কারণে ভয়াবহ পরিণামেরও সম্মুখীন হতে হয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ اقْتَتَلُوا فَاَصْلِحُوْا بَيْنَهُمَا ۖ فَاِنْ بَغَتْ اِحْدَاهُـمَا عَلَى الْاُخْرٰى فَقَاتِلُوا الَّتِيْ تَبْغِيْ حَتّٰى تَفِيْءَ اِلٰى اَمْرِ اللهِ ۚ فَاِنْ فَاءَتْ فَاَصْلِحُ বাকি অংশ পড়ুন...
মুনাফিকরা নিজেরা তো মহান আল্লাহ
পাক উনার রাস্তায়, এই জিহাদ মুবারকে কিছুই
দান করেনি; বরং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে যাঁরা সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী দান করতেন- উনাদেরকে নিয়ে
তারা কটাক্ষ করতো, ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করতো। নাঊযুবিল্লাহ! তারা বিদ্রƒপ করে বলতো যে, ‘উনারা কি এই দু’চারটি খেজুর দান করে তথাকথিত বিশ্ব
শক্তি রোম সাম্রাজ্যকে পরাজিত করবেন! এমন অল্প কিছু দিয়েই কি উনারা বিশাল সাম্রাজ্য
জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখছেন! নাঊযুবিল্লাহ!’
‘বুখারী শরীফ’-এ রয়েছে- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত খাব্বাব ইবনে আরত রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন, হযরত খাব্বাব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি পেশাগত দিক দিয়ে দা-বঠি, ছুরি-তরবারী ইত্যাদি তৈরিতে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। আস ইবনে ওয়াইল নামক কাট্টা মুশরিক একসময় উনার দ্বারা বাকীতে কিছু কাজ করালো। পরে যখন তিনি উনার প্রাপ্য পারিশ্রমিক চাইলেন, তখন উনাকে আস ইবনে ওয়াইল কঠোর ভাষায় বললো, ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যে আপনি সম্মানিত ঈমান এনেছেন যতক্ষণ তা অস্বীকার না করবেন; তত বাকি অংশ পড়ুন...
সীরাতগ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে যে-
وَتُـعْرَفُ بِالْفَاضِحَةِ لِاِفْـتِضَاحِ الْمُنَافِقِـيْـنَ فِـيْـهَا
অর্থ: “তাবুকের সম্মানিত জিহাদে মুনাফিকদের নিফাক্বীর মুখোশ উন্মোচিত হয়েছিলো বিধায়, এই সম্মানিত জিহাদ اَلْفَاضِحَةُ (আল ফাদ্বিহাহ্) নামে প্রসিদ্ধ।” (আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ্ ১/৪১৮, শারহুয যারক্বানী ২/৪০৪, ইমতা‘উল আসমা ৮/৩৯১, তারীখুল খমীস ২/১২২)
যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে সম্মানিত তাবুক জিহাদ মুবারকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি বাকি অংশ পড়ুন...












