রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কোন জায়গা বা সম্পত্তি মসজিদের জন্য ওয়াক্ফ করার পর মসজিদ কর্তৃপক্ষ সেই জায়গাতে নামায আদায়ের জন্য ঘর নির্মাণ করে আযান-ইক্বামত দিয়ে নাম বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত মাযহাব কতটি ও কি কি?
ফিক্হী মাযহাব চারটি আর আক্বায়িদী মাযহাব দুটি। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
আহলুস্ সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার ফিক্হী মাযহাব:
‘আহলুস্ সুন্নত ওয়াল জামায়াত’ তথা ‘আল ফিরক্বাতুন্ নাজিয়াহ’ ফিক্হী মাসয়ালার দৃষ্টিতে ৪ ভাগে বিভক্ত।
১. মাযহাবুল হানাফী বা হানাফী মাযহাব:
ইমামে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, তাবিয়ী হযরত ইমাম নু’মান বিন ছাবিত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ: ৮০ হিজরী, ওফাত শরীফ: ১৫০ হিজরী) উনার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাযহাব হচ্ছে ‘হানাফী মাযহাব’। ইহাই সর্বশ্রেষ্ঠ মাযহাব। সারাবিশ্বে ৯০ শতাং বাকি অংশ পড়ুন...
(১৯৮-১৯৯)
ارتحل الى مذهب الشافعي يعزّر. سراجية.
অর্থ: যে ব্যক্তি (ব্যক্তিগত স্বার্থে সুযোগ সন্ধানীর মতো) নিজ মাযহাব পরিত্যাগ করে শাফিয়ী মাযহাব গ্রহণ করে সে শাস্তির উপযুক্ত। অনুরূপ ‘সিরাজিয়াহ’ কিতাবে উল্লেখ আছে। (আদ্ দুররুল্ মুখতার শরহে তানউয়ীরুল্ আবছার ফী ফিকহিল্ মাযহাবিল্ ইমাম আবী হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি: আল্লামা ফক্বীহ ইমাম মুহম্মদ আলাউদ্দীন বিন্ আলী হাছ্কাফী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ১০৮৮ হিজরী অধ্যায়: হুহূদ পরিচ্ছেদ: তা’যীর ৬ষ্ঠ খন্ড ১৩২ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল্ কুতুবিল্ ইলমিয়াহ বাইরূত লিব্নান, সিরাজিয়াহ, ফতয়া বাকি অংশ পড়ুন...
উনি প্রথম বাইয়াত হয়েছিলেন আহলে বাইতে রসূল হযরত ইমাম বাকের আলাইহিস সালাম উনার কাছে। হযরত ইমাম বাকের আলাইহিস সালাম উনার কাছ থেকে তিনি ইলমে তাছাওউফ অর্জন করেন। এবং উনার বিছালী শান মুবারকের (ইন্তিকালের) পর উনার ছেলে ইমামুল সাদিস মিন আহলে বাইতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম উনার কাছে হযরত ইমাম আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ইলমে তাছাওউফ শিক্ষা করেন।
কারণ তাকওয়া হাছিল করতে হলে ইলমে তাছাওউফ হাছিল করতে হলে ওস্তাদ ছাড়া, শায়েখ ছাড়া আপনার পক্ষে তাকওয়া অর্জন করা কখনও সম্ভব হবে না। ক বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রেরণ করেছেন কেন, জানেন?
চারটা পবিত্র আয়াত শরীফ আছে এক রকম। তার মধ্যে একটা পবিত্র আয়াত শরীফ হচ্ছে মূল। সেটা বললে বাকীগুলো হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
لَقَدْ مَنَّ اللهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
অর্থাৎ মু’মিনদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার ইহসান, তাদের মধ্য থেকে তাদের জন্য একজন রসূল ছ বাকি অংশ পড়ুন...
৬৬. হাফিযুল্ হাদীছ (حافظ الحديث):
(১৪০-১৪১)
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগের পর যিনি সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ এক লক্ষ হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে ‘হাফিযুল্ হাদীছ’ বলে। মুফতী হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল্ ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত ‘মীযানুল্ আখবার’ কিতাবের বর্ণনা মতে, যিনি সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ এক হাজার হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে ‘হাফিযুল্ হাদীছ’ বলে। তবে, কেউ কেউ হাফিযুল্ হাদীছ হওয়ার জন্য ইলমে লাদুন্নী বাকি অংশ পড়ুন...
তিনি বলে দিয়েছিলেন যে দেখ, এ কাপড়টা যখন বিক্রি করবে তখন বলে দিও যে, কাপড়ের মধ্যে দোষ আছে। কিন্তু সেই বিক্রেতা (উনার অবশ্য কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না, ভুলে গিয়েছিলেন) দোষযুক্ত কাপড়টা বিক্রি করে ফেললেন, দোষের কথা বলতে মনে ছিল না।
ঐদিন উনি বিক্রি করলেন ৩০ হাজার দিরহাম। হযরত ইমাম আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন আসলেন তখন বললেন- হে ব্যক্তি, তুমি কত মাল বিক্রি করলে? ৩০ হাজার দিরহাম, আচ্ছা। ঐ কাপড়টা কি বিক্রি হয়েছে? হ্যাঁ, হুযূর বিক্রি হয়েছে। দোষের কথা বলেছিলে লোকটাকে যখন বিক্রি করেছিলে?
উনি বললেন যে, হুযূর! আমার তো মনে নেই, আমি বাকি অংশ পড়ুন...
মূলতঃ তার তাকওয়ার কেন্দ্রবিন্দু কি?
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
اَلتَّقْوَى ههُنَا، وَأَشَارَ إِلَى صَدْرِهِ
তাকওয়া হলো সিনার মধ্যে অর্থাৎ ক্বলবের মধ্যে তাকওয়া। যেমন একটা মেছাল ধরেন, একটা লোক যদি বয়স্ক হয়, তার দাড়ি ওঠে। আঠার, বিশ বছর, বাইশ বছরে তার দাড়ি উঠে যায়। সে যদি দাড়ি কাটেও যদিও এটা গুনাহের কাজ, তবুও তার আবার দাড়ি উঠে যায়। একটা গাছ বড় হচ্ছে- ফুল গাছ, গোলাপ ফুল। প্রত্যেকদিন মানুষ গোলাপ ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়। কিন্তু পরের দিন আবার তার মধ্যে ফুল হয়। কারণ তার এটা উপযু বাকি অংশ পড়ুন...
৫২. আল্ আইম্মাতুল্ আরবায়াহ্ (الائمة الاربعة):
(১২৬)
মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের প্রতিষ্ঠাতা উনাদেরকে আইম্মাহ আরবায়াহ্ বলা হয়। উনারা হলেন- (১) হানাফী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আ’যম হযরত ইমাম নু’মান বিন ছাবিত বিন যাওতী হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, (২) মালিকী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম মালিক বিন আনাস রহমতুল্লাহি আলাইহি, (৩) শাফিয়ী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪) হাম্বলী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম আহমদ বিন মুহম্মদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি।
৫৩. আইম্মাতুনাছ্ ছালাছাহ্ (ائمتنا الثلاثة):
বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৬১. প্রসঙ্গ : নিয়ত করে মাযার শরীফ যিয়ারত করা সুন্নত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : নিয়ত করে রওজা শরীফ ও কোন ওলীর মাযার শরীফ যিয়ারত করা নাজায়িয ও বিদায়াত। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : নিয়ত করে নবীয়ে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওজা শরীফ ও ওলীগণ উনার মাযার শরীফ যিয়ারত করা জায়িয তো অবশ্যই বরং খাছ সুন্নত। এটাকে বিদ্য়াত বলা কুফরী। কেননা, স্বয়ং আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রতি বছর উহুদ এবং বদরে অবস্থানরত শহীদগণ উনাদের মাযার শরীফ নিয়ত করে যিয়ারত করতেন বাকি অংশ পড়ুন...
৪৩. مكروه تنزيهى (মাকরূহ তানযীহী):
(১১৭)
الْمَكْرُوه تَنْزِيهًا: وَهُوَ مَا كَانَ تَرْكُهُ أَوْلَى مِنْ فِعْلِهِ، وَيُرَادِفُ خِلَافَ الْأَوْلَى.
অর্থ: যে কাজ করার চেয়ে তরক করাই উত্তম তাই মাকরূহ তানযীহী। একইভাবে যা উত্তমতার বিপরীত তাই মাকরূহ তানযীহী। (হাশিয়াতু রদ্দিল মুহতার আলাদ্ দুররিল্ মুখতার শরহে তানবীরুল আবছার-আল্লামা হযরত ইবনু আবিদীন মুহম্মদ আমীন বিন উমর শামী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ১২৫২ হিজরী পরিচ্ছেদ: উযুর সুন্নত অনুচ্ছেদ: মাকরূহ পরিচিতি)
৪৪. النفاق (নিফাক্ব বা মুনাফিক্বী):
(১১৮)
النفاق فى الدين: هو ستر الرجل كفره بقلبه و اظهاره ايمانه بلسانه فهو منافق.
অর্থ: পবি বাকি অংশ পড়ুন...
আরশে ইস্তাওয়া হওয়া:
২। মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফতসমূহ থেকে আরো একটি ছিফত হচ্ছে- ‘মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র আরশে ইস্তাওয়া হওয়া। পবিত্র আরশে ইস্তাওয়া হওয়ার বিষয়টি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে। এক্ষেত্রে সে যুগের প্রকৃত সালাফীদের আক্বীদা ছিলো-
الاستواء معلوم والكيف مجهول والايمان به واجب
অর্থাৎ, “আরশে ইস্তাওয়া হওয়া তো নসুসের মধ্যে উল্লেখ আছে, যা সকলেরই জানা-শোনা। কিন্তু ইস্তাওয়া হওয়ার পদ্ধতি কারও জানা নেই। তবে এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যেরূপ বলা হয়েছে, সেভাবে ঈমান আনা ওয়াজিব। ” এই ছিলো ইস্তাওয়া সম্পর্কে উলামায়ে সাল বাকি অংশ পড়ুন...












