আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার, শান্তিকমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য, টাঙ্গাইলে রাজাকার, আল-শামস, আলবাদরে লোক নিয়োগের প্রধান ডাক্তার ক্যাপ্টেন (অব) আব্দুল বাছেত এখন ঢাকার রামপুরায় চারতলা বাড়ির মালিক। ক্যাপ্টেন আব্দুল বাছেত ঢাকায় জামাতের নেতাও। তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে মাঝে মধ্যেই টিভি’র পর্দায় তথাকথিত ইসলামী আলোচনায় অংশ নিয়ে থাকে। আবার কিছু বিশেষ পত্রিকায় তথাকথিত ইসলামী ভাবধারার লেখাও ছাপা হয় তার নামে। (অর্থাৎ পুরোদস্তুর ধর্মব্যবসায়ী ক্যাপ্টেন বাছেত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ছিল অবসরপ্রাপ্ত। পাকী সেনাদের পক বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
মালানা আব্দুল আজিজ মুক্তিযোদ্ধাদের ত্রাস ছিল। সে মুক্তিযোদ্ধাদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করত। এ কারণে পাক বাহিনী এই রাজাকার কমান্ডার আব্দুল আজিজকে পুরস্কার হিসেবে একটি পিস্তল দিয়েছিল। এই পিস্তল দিয়ে সে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। একদিন সন্ধ্যার দিকে মাঠেরহাটের পাশে কমান্ডার আব্দুল আজিজ কয়েকজন রাজাকার নিয়ে একটি ব্রিজ পাহারা দিচ্ছিল। কারণ এই ব্রিজটি ভাঙ্গার পরিকল্পনা করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। হঠাৎ কিছু দূরে খটখট শব্দ ও কিছু একটা এগিয়ে আসতে দেখতে পায় ওরা। সঙ্গে সঙ্গে রাজাকারদের পজিশন নিতে নির্দেশ দিয়ে গুল বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
‘একাত্তরের সেই রাজাকার আব্দুল খালেক ওরফে প্রফেসর খালেক শত শত স্বাধীনতাকামী, নিরীহ, নিরপরাধ মানুষের খুনে হাত রাঙিয়ে ছিল। বহু মা-বোনকে ধরে নিয়ে তুলে দিতো পাকী সেনাদের হাতে।
স্বাধীনতার পর রাজাকার আ. খালেক কিছু সময়ের জন্য গা-ঢাকা দিয়েছিল। এরপর বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে আবার রাজাকার আ. খালেক লোকসমক্ষে ফিরে আসে। ১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পরপরই রাজাকার আ. খালেক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তির তালিকাভুক্ত হয়। রাজাকার আ. খালেকের তখন উঠা-বসা ডিসি-এসপি থেকে শুরু করে সমাজের সব মহলেই। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন খুনি রাজাকা বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে শিবিরের আল-বাদর রাজাকাররা ইতোমধ্যে বহুবার তাদের মজ্জাগত নৃশংসতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। সাপ্তাহিক বিচিত্রার (১৪ বর্ষ ৪২ সংখ্যা, ১৪ মার্চ, ১৯৮৬, পৃ-২৩) প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের পর কোনো এক সময়ে গো’আযমের নেতৃত্বে এবং অন্যান্য জামাতী নেতার তত্ত্বাবধানে এই আর্মস ক্যাডার বাহিনী গঠিত হয়। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘মোমেনীন সালেহীন’। এই সালেহীনের ট্রেনিং দেয়া হয় ঝিনাইদহ ও নাটোর এলাকায়। নড়াইলের আল-বাদর কমান্ডার সোলায়মান নামে এক জামাতী পরিচালনা করে এই ট্রেনিং। ইতঃপূর্বে এই সশস্ত্র বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে শিবিরের আল-বাদর রাজাকাররা ইতোমধ্যে বহুবার তাদের মজ্জাগত নৃশংসতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। সাপ্তাহিক বিচিত্রার (১৪ বর্ষ ৪২ সংখ্যা, ১৪ মার্চ, ১৯৮৬, পৃ-২৩) প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের পর কোনো এক সময়ে গো’আযমের নেতৃত্বে এবং অন্যান্য জামাতী নেতার তত্ত্বাবধানে এই আর্মস ক্যাডার বাহিনী গঠিত হয়। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘মোমেনীন সালেহীন’। এই সালেহীনের ট্রেনিং দেয়া হয় ঝিনাইদহ ও নাটোর এলাকায়। নড়াইলের আল-বাদর কমান্ডার সোলায়মান নামে এক জামাতী পরিচালনা করে এই ট্রেনিং। ইতঃপূর্বে এই সশস্ত্র বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সউদী আরবে পুনর্বাসিত আল-বাদরদের দৃষ্টান্ত দেয়ার জন্য এখানে উপস্থাপন করা হবে আল-বাদর হাইকমান্ডের সদস্য আশরাফুজ্জামানের কথা। এই আশরাফুজ্জামান খান ছিল আল-বাদর বাহিনীর প্রধান ঘাতক। স্বহস্তে গুলি করে সে মিরপুর গোরস্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষককে হত্যা করে বলে সুনিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।
যে গাড়িতে করে অধ্যাপকদের গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার চালক মফিজুদ্দীন নামে জনৈক আল-বাদর সদস্য সে আশরাফুজ্জামানকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের ‘চীফ এক্সিকিউটর’ (প্রধান জাল্লাদ) হিসেবে উল্লেখ করেছিল।
১৬ ডিসেম্বরে বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
বহির্বিশ্বে জামাতের দুটি ঘাঁটি হচ্ছে যুক্তরাজ্য (ব্রিটেন) এবং সউদী আরব। খুনি আল-বাদরদের মধ্যে যারা ১৬ ডিসেম্বরের আগে পরে পালাতে সক্ষম হয়েছিল তারা এই যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডন মসজিদ, বার্মিংহাম সিটি মসজিদ, ম্যানচেস্টার মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে ইমামের চাকরি পর্যন্ত নিয়ে, বিশেষতঃ সিলেট জেলার খুনি আল-বাদররা জামাতী সংগঠন ‘দাওয়াতুল ইসলামের’ মাধ্যমে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দু’জায়গায় অবস্থানরত আল-বাদর খুনিদের পরিচয় দেয়ার জন্য দু’টি দৃষ্টান্ত দেয়া হবে।
বুদ্ধিজীবী হত্যা পরিকল্পনার অপারেশন ইনচার্জ চৌধুরী বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামের মৃত মালানা আব্দুর রহমানের দু’পুত্র ও চার কন্যার মধ্যে সোলায়মান ছিলো সবার বড়। সোলায়মানের পিতা আব্দুর রহমান কলকাতা একটি মাদরাসায় পড়াশোনার পর সেখানে একটি মাদরাসায় চাকরি করতো সোলায়মানকে সেখানেই ভর্তি করে। সেখান থেকে টাইটেল পাশের পর সোলায়মান দেশে ফিরে মাগুরা সদর উপজেলার বেরোইল হাইস্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়। ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশের পর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক করে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে স্নøাতকোত্তর বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নরসিংদীতে গণহত্যা, লুটপাট আর অগ্নিসংযোগের নারকীয় মহোৎসব চালাতো রাজাকার কমান্ডার জামাত নেতা মতিউরের সিকদার। একাত্তরে নরসিংদীসহ আশপাশের শতাধিক গ্রামকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছিলো কুখ্যাত এ রাজাকার মতিউর রহমান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ কয়েকটি অভিযোগে মামলা হলেও গ্রেফতার এড়িয়ে এখন সে ব্যবসায়ী ও জামাতের একনিষ্ঠ কর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, কাউকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী হিসেবে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলেই রাজ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
১৩ নভেম্বর কুড়িগ্রামের হাতিয়া গণহত্যা দিবস। ব্রহ্মপুত্রপাড়ের ৭টি গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনী কাপুরুষের মতো নিরহ নিরস্ত্র নিরপরাধ সাধারণ মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যাযজ্ঞ চালায়। হত্যা করা হয় ৬শ’ ৯৭ জন মানুষকে।
কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ৩৫ কি.মি. দূরে উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম রাতের অন্ধকারে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে পাকী বাহিনী। গ্রামের অধিকাংশ মানুষজন সাহরী খেয়ে ফজরের নামাযের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গুলি আর আহাজারির শব্দে ঘর থেকে মানুষ বেরিয়ে এসেছিল। কিন্তু দরজার বাইরে দানবের মতো দাঁড়িয়ে থাকা পাকী ব বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত মৌলভীবাজার রাজনগর উপজেলার আকমল আলী তালুকদারসহ চার রাজাকার। জানা গেছে, আকমল আলীসহ অন্যান্য রাজাকাররা ৭০ জন পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। তারা এলাকার মা ও বোনদেরকে বেইজ্জতি করেছিল। রাজকাররা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসব অপরাধের জন্য চেয়ারম্যান বিচারক শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাদের বিচার চলছে।
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৩ ব বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরে জুন মাসে বন্দরের উত্তর প্রান্তের মদনমোহনের বৃহৎ ও সুদৃশ্য বাড়িটি লুটপাটের পর ভেঙ্গে সাঈদী সেটি নিজ বাড়িতেই নিয়ে আসে। আগস্ট মাসের গোড়ার দিকে এক মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করে তাকে সে পাকী বাহিনীর হাতে তুলে দেয়।
এছাড়া রাজাকার সাঈদী বন্দরের ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা, বিপদ সাহা, মাখন সাহাসহ আরো কয়েক বণিকের দোকান লুট করে। লুণ্ঠনের পাশাপাশি বহু ঘরবাড়ি পোড়ানো, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে পাকী বাহিনীকে দেয়া ও তাদের মাতাপিতাসহ আত্মীয়স্বজনকে হয়রানি, নির্যাতন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অনেক অভিযোগ রয়েছে- যা সরকার তদন্ত ক বাকি অংশ পড়ুন...












