يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্য ঘরে প্রবেশ করোনা, যে পর্যন্ত অনুমতি না নাও এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না করো। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা স্মরণ রাখ। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭)
উক্ত আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমভাবে সকলকেই যে কারো ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ কারো ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে ঘরওয়ালাদের অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের বিবাহ-শাদীতে মোহর নির্ধারণ করা ফরয। আর সে মোহর যথাযথভাবে পরিশোধ করে দেয়াটাও ফরয। কারণ এটা স্ত্রী বা আহলিয়ার হক। আজকাল বিয়েতে কে কত বেশি মোহর ধার্য করবে তার প্রতিযোগিতা লেগে যায়। দশ লাখ, বিশ লাখ, পঞ্চাশ লাখ। এমনকি কোটি কোটি টাকাও মোহর ধার্য করা হয়। কিন্তু এদের অনেকেই মোহর পরিশোধ করে না এবং করার চিন্তাও করে না। নাউযুবিল্লাহ! এতে করে তাদের গুনাহের বোঝাই ভারি হচ্ছে। কারণ ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে আহলিয়া বা স্ত্রীর মোহর পরিশোধের ফায়ছালা না হওয়া পর্যন্ত আহলিয়া বা স্ত্রীর সাথে অবস্থান আহাল বা স্বামীর জন্য হালাল হয় না।
হ বাকি অংশ পড়ুন...
মহিলাদের জন্য অলঙ্কার ব্যবহার করা সুন্নত। স্বয়ং হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা স্বর্ণ ও রৌপ্যের অলঙ্কার যেমন- গলার হার, কানের দুল, আংটি ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। যেমন হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে-
خرج النبى صلى الله عليه وسلم يوم عيد فصلى ركعتين لـم يصل قبل ولابعد ثم اتى النساء فامرهن بالصدقة فجعلت الـمراة تصدق بخرصها وسخابها.
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঈদের দিন বের হলেন এবং দুই রাকায়াত (ঈদের) নামায আদায় করলেন। এর আগে এবং পরে আর কোনো নফল নামায পড়েননি। অতঃপর মহিলাদের কাছে আসলেন এবং তাদেরকে ছদকা করতে আদে বাকি অংশ পড়ুন...
মহিলাদের হাত-পা, মাথা-মুখম-লসহ পুরো শরীর আবৃত করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি পোশাককে আরবীতে برقع ‘বুরকা’ বলা হয়।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যুগে এবং পরবর্তী যুগে মুসলমান মহিলারা পুরো শরীর আবৃত করার জন্য বোরকা পরিধান করতেন। গইরে মাহরাম সকল পুরুষের সামনে মহিলাদের পুরো শরীর আবৃত করা ফরয। বড় চাদর, জিলবাব, ওড়না ও নিকাব এসব দিয়েও পুরো শরীর আবৃত করার ফরয আদায় করা সম্ভব; তবে তা খুবই কষ্টকর এবং কাজকর্ম ও চলাচলের জন্য অনুপযোগী। এজন্য গৃহের বা বাকি অংশ পড়ুন...
অনুরূপ আরেকটি বর্ণনার সনদ হলো:
حدثنا عبد الله حدثني أبى ثنا أسود بن عامر قال ثنا حماد بن سلمة عن على بن زيد عن يوسف بن مهران عن حضرت بن عباس رضى الله تعالى عنه
অর্থ: আমাদের নিকট হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন আব্দুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমার নিকট হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন আমার পিতা, তিনি বলেন, আমাদের নিকট হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন আসওয়দ ইবনে আমির রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাদের নিকট হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন, হাম্মাদ ইবনে সালামা রহমতুল্লাহি আলাইহি, তিনি আলী ইবনে যায়েদ থেকে তিনি ইউছুফ ইবনে মেহরান থেকে তিনি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনা বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল-৪২: একজন লোক পাঁচটি বিবাহ করেছে এবং তার পাঁচজন আহলিয়াই বর্তমান রয়েছে। জানার বিষয় হলো ৫ম আহলিয়া তার জন্য বৈধ হবে কি? আর সেই আহলিয়ার ঘরে সন্তান হলে, তাদের কি ফায়সালা হবে?
জওয়াব মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ছেলেদের জন্য বিবাহ করার ক্ষেত্রে সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَىٰ فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ.
অর্থ মুবারক: আর যদি তোমরা আশঙ্কা করো যে তোমরা ইয়াতীমদের মধ্যে ইনসাফ করতে পা বাকি অংশ পড়ুন...
(গত ০৯ রজবুল হারাম শরীফ ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উনার পর)
যার প্রমাণস্বরূপ এই আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালের একটি ঘটনা নিম্নে তুলে ধরা হল- একজন সন্তান সম্ভাবনা মা ডেলিভারীর দিন এই হাসপাতালে ভর্তি হন। আল্ট্রা করে দেখা যায়, পেটের ভিতরে পানির পরিমাণ কমে গেছে। তখন ডাক্তাররা বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাচ্চা পানিশূণ্য হয়ে পড়বে এবং বাচ্চা বের করা কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু এদিকে বাচ্চা হওয়ার তেমন কোন আলামত তখনও প্রকাশ পাচ্ছিলনা। এর মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে যায় কিন্তু তখনও বাচ্চা হওয়ার তেমন কোন আলামত প্রকাশ পাচ্ছিলনা। সন্ধ্যার পরে ডাক্তার এসে ব বাকি অংশ পড়ুন...
পশ্চিমা ইউরোপীয় দেশগুলো প্রায়ই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আযীমী শান মুবারক উনার উপর আঘাত করে থাকে। কখনো বোরকা নিষিদ্ধ করে, কখনো মসজিদের মিনার নিষিদ্ধ করে, আবার কখনো বাক স্বাধীনতার নামে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। এক্ষেত্রে ফ্রান্স, জার্মানী, ডেনমার্কসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলো অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিধিবিধানেও তারা হস্তক্ষেপ করে। মুসলমানদের দ্বীনি স্বাধীনতা বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা প্রত্যেকেই কাউকে না কাউকে অনুসরণ করে থাকি। তবে বাজার দরে সবাইকে অনুসরণ করা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম, সম্মানিত শরীয়ত উনার সম্পূর্ণ খিলাফ ও গুনাহের কাজ। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সম্মানিত কালাম পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক করেন- যিনি আমার এবং আমার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে রুজু হয়েছেন উনার অনুসরণ করো।
বিপরীতে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যার বা যাদের ক্বলব আমার সম্মানিত যিকির মুবারক থেকে গাফিল বাকি অংশ পড়ুন...
মহিলাদের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। অথচ মহিলাদেরকে মহিমান্বিত কে করেছে তা এখনো অনেক মহিলা নিজেরাই অবগত নন। ফলে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে ভয়াবহ বিপদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। পৃথিবীতে মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম সর্বপ্রথম মহিলাদের যথাযোগ্য সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। দ্বীন ইসলাম পূর্বযুগে মহিলাদেরকে মানুষ হিসেবে গন্য করা হতো না। আহলিয়া বা স্ত্রী হিসেবে তারা ছিল চরম অবহেলার শিকার। কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণকে সামাজিক কলঙ্কের বোঝা মনে করে জীবন্ত কবর দেয়া হতো। সমাজে মেয়ে হিসেবে জন্ম নে বাকি অংশ পড়ুন...
‘আমরা মুসলমান’। আমাদের সংস্কৃতি বা কালচার হবে সম্মানিত ইসলামী নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা অনুযায়ী। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি আমাদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে সম্মানিত দ্বীন হিসেবে মনোনীত করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ‘পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ’ উনার ৩ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে কামিল করে দিলাম। তোমাদের উপর আমার নিয়ামত তামাম করলাম এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকেই তোমাদের পবিত্র দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।” খালিক্ব বাকি অংশ পড়ুন...












