পবিত্র কুরআন শরীফে ঈরশাদ মুবারক করেন- “যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের নিয়ামত বাড়িয়ে দেবো, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আযাব বড় কঠিন।’’ (পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৭)
হাফিজুল হাদীছ আবুল ফয়েয হযরত আব্দুর রহমান ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন-
لَازَالَ اَهْلُ الْـحَرَمَيْنِ الشَّرِيْفَيْنِ وَالْـمِصْرِ وَالْيَمَنِ وَالشَّامِ وَسَائِرِ بِلَادِ الْعَرَبِ مِنَ الْـمَشْرِقِ وَالْـمَغْرِبِ يَـحْتَفِلُوْنَ بِـمَجْلِسِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْرَحُوْنَ بِقُدُوْمِ هِلَالِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ وَيَغْتَسِلُوْنَ وَيَلْبَسُوْنَ الثّيَابَ الْفَاخِ বাকি অংশ পড়ুন...
আমাদের দেশে আজকাল কেউ ইন্তেকাল করলে তার স্মরণে সে মানুষটির কর্মস্থলে বা তার তৈরি কোনো প্রতিষ্ঠানে বা সংগঠনে এক মিনিট ‘নিরবতা’ পালন করা হয়। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে- আজকাল মুসলমানদের জন্যেও পালিত হচ্ছে এসব বিজাতীয় অদ্ভুত অনুষ্ঠান। যারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, সমর্থন করে, পালন করে তারা নিজেরাও জানে না এই অনুষ্ঠানের নেপথ্য কথা। কোনো মুসলমান ইন্তেকাল করলে তার জন্য হতে পারে কোনো সওয়াব রেসানী বা মীলাদ শরীফের অনুষ্ঠান। কিন্তু তা না হয়ে পালন করা হচ্ছে ‘১ মিনিট নিরবতা’। এই অনুষ্ঠান পালনে নেই কোনো সওয়াব, নেই কোনো আখিরাতের কল্যাণ; ব বাকি অংশ পড়ুন...
কিছুদিন আগে ঢাকার একটি মসজিদে নামাযের জন্য যাওয়া হলো। মসজিদে প্রবেশ করতেই আমি অত্যন্ত বিস্মিত হয়ে থমকে দাঁড়ালাম। কিন্তু মসজিদে আসা যাওয়া করা বহু মানুষের কারো মধ্যেই সামান্যতম অস্বাভাবিকতা দেখলাম না। এমনকি মসজিদে দাঁড়ি টুপি এবং লম্বা জামা পরিধান করা লোকদেরও নির্বিঘেœ ও নিশ্চিন্ত মনে আসা-যাওয়া দেখলাম।
হ্যাঁ পাঠক! সবার স্বাভাবিক চলাচলের মাঝেও আমার থমকে যাওয়ার কারণ ছিলো- মসজিদের প্রবেশমুখেই বসানো সিসি ক্যামেরা। কিছুুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছিলাম- প্রশাসন কথিত সন্ত্রাসবাদ ঠেকানোর অজুহাতে মসজিদে মসজিদে সিসি বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনি অবশ্যই দেখতে পাবেন যে, মু’মিনদের জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ইহুদী, অতঃপর মুশরিক। (পবিত্র সূরা আল মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৮২)
মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ইহুদী, অতঃপর মুশরিকরা অর্থাৎ সমস্ত কাফিররা। এদেশে ৯৮ ভাগ মুসলমান। এখানে মুসলমান উনাদের পরিপূর্ণ অধিকার থাকবে। এখানে রাষ্ট্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র কোনো কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন করতে পারে না বা করার সাহস পাবার কথা নয়। যে সাহস করবে, তাকে আইনের আওতায় এনে শ বাকি অংশ পড়ুন...
টিভির মূল হচ্ছে হারাম ছবি। এই টিভি দেখার কারণে এ দুনিয়াতে শুধু মানুষের শরীরে ৯টি মারাত্মক রোগ হয়। আর পরকালে কি হবে? সেই চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়টি রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি যে, প্রাণীর ছবি তোলানেওয়ালা, আঁকনেওয়ালা বা দেখানোওয়ালা প্রত্যেক ব্যক্তিই জাহান্নামে যাবে। নাঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র মুসলিম শরীফ)
শুধু তাই নয়, যে ছবিগুলো তোলা হয়েছে কিংবা আঁকা হয়েছে সেগুলোকে প্রাণ দেয়া হবে এবং সেগ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন,নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার নাম মুবারক শুনে দুরূদ শরীফ পাঠ করা ফরয। আম ফতওয়া হলো একই মজলিসে একাধিকবার নাম মুবারক উচ্চারিত হলে একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করা ওয়াজিব, আর প্রতিবারই দুরূদ শরীফ পাঠ করা মুস্তাহাব। আর খাছ ফতওয়া হলো একই মজলিসে যতবার নাম মুবারক উচ্চারিত হবে তত বার দুরূদ শরীফ পাঠ করা ওয়াজিব।
তদ্রুপ শরীয়তের হুকুম হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম বাকি অংশ পড়ুন...
অমুসলিম তথা ইসলামবিদ্বেষীদের একটা বড় ধরনের কুট-কৌশল হলো পবিত্র ইসলামের বিভিন্ন বিষয়গুলোকে বিকৃত করা কটাক্ষ করা ও হেয় করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখির মাধ্যমে প্রকাশ করা। তারই একটা ঘৃণ্য উদাহরণ হলো- উগ্র সন্ত্রাসীদের বইগুলোকে ‘সন্ত্রাসী বই’ বলে না বলে ‘জিহাদী বই’ বলে অপপ্রচার করা।
তাদের এহেন অপপ্রচারের কাারণে সূক্ষ্মভাবে মানুষ পবিত্র ইসলামের অন্যতম বুনিয়াদ জিহাদকে হেয় বা কটাক্ষ করে যাচ্ছে। অথচ খোদ পবিত্র কুরআন শরীফেই অসংখ্য পবিত্র আয়াত শরীফেই জিহাদ করার আদেশ-নির্দেশসমূহ বর্ণিত হয়েছে। তাহলে তো বলতে হয় পবিত্র কুরআন বাকি অংশ পড়ুন...
প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ঈমান রক্ষার জন্য ফান্ড তৈরি করা উচিত। যার যার আয় থেকে ৩০% অথবা ৪০% জমা করা উচিত। এটা প্রত্যেক মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব। এই ফান্ডের টাকা দিয়ে পবিত্র ঈমান রক্ষার জন্য যা যা করার প্রয়োজন সেই বিষয়গুলোতে খরচ করতে হবে এবং সাথে সাথে কাফিরগুলোকে মুসলমান বানানোর চেষ্টা করতে হবে।
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার খিদমতের আঞ্জাম দেয়ার জন্য, কাফিরগুলোকে মুসলমান বানানোর জন্য, কাফিরের দেশগুলো জয় করার জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা সকলেই আল্লাহওয়ালা হও।’
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা উনাদের সকলের জন্যেই আল্লাহওয়ালা, আল্লাহওয়ালী হওয়া ফরয। আল্লাহওয়ালা হওয়ার জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের ইলিম অর্জন করতে হয়। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন যে, ‘আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাদের ইলিম বৃদ্ধি করে দিন। (পবিত্র সূরা ত্ব-হা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৪)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক ক বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চন্দ্র ও সূর্যের ঘূর্ণন বা আবর্তনের সাথে রাত-দিনের বা তারিখের পরিবর্তনের বিষয়টি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যার কারণে চন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী-প্রবর্তন করা হয়েছে হিজরী সন ও ক্যালেন্ডার। আর সূর্যের হিসাব অনুযায়ী প্রবর্তন করা হয়েছে শামসী সন ও ক্যালেন্ডার। এ দুটি সন ও ক্যালেন্ডারই মুসলমানদের দ্বারা প্রবর্তিত।
কাজেই, মুসলমানদের জন্য মুসলমানদের প্রবর্তিত সন ব্যতীত কাফির-মুশরিকদের প্রবর্তিত কোনো সন ও ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা জায়িয নেই।
অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমাদের এই দেশে শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলম বাকি অংশ পড়ুন...
একদিন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ২য় খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি হযরত যিয়াদ বিন হুদাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বললেন, আপনি কি জানেন কোন্ ব্যক্তি বা কারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ক্ষতিসাধন করে থাকে। তখন তিনি বললেন, আমার সেটা জানা নেই। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, প্রথমতঃ উলামায়ে সূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ী আলিম, দ্বিতীয়তঃ যারা কিতাবের অপব্যাখ্যা করে, তাদের মুনাফিকী, তৃতীয়তঃ গুমরাহ শাসক, তাদের গুমরাহীমূলক শাসন ব্যবস্থা। এরা যুগ যুগ ধরে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ক্ষতিসাধন করে য বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে সারাবিশ্বে সবার নিকট বোধগম্য ভাষা বলতে ইংরেজিকেই বোঝানো হয়। অন্যান্য ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষায় বিভিন্ন প্রবন্ধ ও আর্টিকেল লিখে ছড়ানো হয়, যেন তা অন্যান্য ভাষাভাষীর নিকট পৌঁছানো যায়। তবে এখানে একটি সমস্যা রয়েছে, তা হচ্ছে প্রচলিত ইংরেজি ভাষায় আদব, শরাফত, ভদ্রতা ও শিষ্টাচারের অনুপস্থিতি।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কিত আর্টিকেলে ‘ইউ’ (ণড়ঁ) বা ‘হি/শি’(ঐব/ঝযব)-এর ন্যায় সম্বোধনগুলো প্রায়ই ঘুরেফিরে আসে। অনেকের দৃষ্টিতেই এই বাকি অংশ পড়ুন...












