যুগে যুগে কাফিররা এবং তাদের অনুসারীরাই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তাদের মতো মনে করতো। শুধু তাই নয়, সর্বপ্রথম ইবলীস শয়তান হযরত আবুল বাশার আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে বাশার তথা মানুষ বলে সিজদা করতে অস্বীকার করে। শাস্তিস্বরূপ তাকে সম্মানিত জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয় এবং তাকে ক্বিয়ামত অবধি অভিশপ্ত ও লা’নতগ্রস্ত ঘোষণা করা হয়। নাউযুবিল্লাহ!
অতএব, যিনি সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও সম্মানিত নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
মানব জীবনে উৎসবের বিকল্প নেই। মানুষ নানা উৎসব পালন করে থাকে। আর যে কোনো উৎসব উদযাপনে খরচ হয় হাজার হাজার টাকা থেকে কোটি কোটি টাকা। কিন্তু মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্যই সমস্ত মাখলুকাত সৃষ্টি। উনার জন্যই আজকে আমাদের পৃথিবীতে আগমন ঘটেছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের জন্যই বিয়ে-শাদী, সুন্নতী খতনা, খাওয়া-দাওয়া, চাকরি-বাকরি, ঘর-সংসার তথা সমস্ত কিছুই মানুষ পেয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
المسلم من سلم المسلمون من لسانه ويده.
অর্থ: “মুসলমান হল ঐ ব্যক্তি যার হাত ও মুখের অনিষ্টতা ও কষ্ট দেয়া হতে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে।”
مسلم (মুসলিম) শব্দটি سلم ধাতু থেকে নির্গত, অর্থ: আত্মসমর্পন করা, বশ্যতা স্বীকার করা।
যে মু’মিন ব্যক্তি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সকল বিধি-বিধান তথা হালালকে হালাল, হারামকে হারাম, সুন্নাতকে সুন্নাত এবং বিদায়াতকে বিদায়াত হিসেবে জানেন এবং মানেন উনাকেই বলা হয় মুসলমান।
কিন্তু আজ বাংলাদেশে ৯৮% মুসলমান হলেও হাক্বীক্বী মুসলম বাকি অংশ পড়ুন...
প্রসিদ্ধ তারিখ ও সীরাত গ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ অবস্থান মুবারক করার সময় কতিপয় যুবক তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র মদীনা শরীফ হিজরত মুবারক করলেন তখন ঐ সমস্ত যুবকদেরকে তাদের বাপ-দাদা ও বংশের লোকেরা বন্দী করে রাখে এবং দ্বীন ইসলাম পরিত্যাগের জন্য তাদের উপর নির্যাতন চালায়। এতে তারা ঈমান ধরে রাখতে না পেরে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ত্যাগ করে। ন বাকি অংশ পড়ুন...
এই সর্ম্পকে ইমামুল আউয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলনে,
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ سَبَبًا لِّقِرَائَتِهٖ لَايَـخْرُجُ مِنَ الدُّنْيَا اِلَّا بِالْاِيْـمَانِ وَيَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِغَيْـرِ حِسَابٍ
র্অথ: “যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, র্মযাদা দিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদ শরীফ র্অথাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তজিাম মুবারক করবেন, তিনি অবশ্যই সম্মানিত ঈমান নিয়ে দুন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফে ঈরশাদ মুবারক করেন- “যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের নিয়ামত বাড়িয়ে দেবো, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আযাব বড় কঠিন।’’ (পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৭)
হাফিজুল হাদীছ আবুল ফয়েয হযরত আব্দুর রহমান ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন-
لَازَالَ اَهْلُ الْـحَرَمَيْنِ الشَّرِيْفَيْنِ وَالْـمِصْرِ وَالْيَمَنِ وَالشَّامِ وَسَائِرِ بِلَادِ الْعَرَبِ مِنَ الْـمَشْرِقِ وَالْـمَغْرِبِ يَـحْتَفِلُوْنَ بِـمَجْلِسِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْرَحُوْنَ بِقُدُوْمِ هِلَالِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ وَيَغْتَسِلُوْنَ وَيَلْبَسُوْنَ الثّيَابَ الْفَاخِ বাকি অংশ পড়ুন...
আমাদের দেশে আজকাল কেউ ইন্তেকাল করলে তার স্মরণে সে মানুষটির কর্মস্থলে বা তার তৈরি কোনো প্রতিষ্ঠানে বা সংগঠনে এক মিনিট ‘নিরবতা’ পালন করা হয়। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে- আজকাল মুসলমানদের জন্যেও পালিত হচ্ছে এসব বিজাতীয় অদ্ভুত অনুষ্ঠান। যারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, সমর্থন করে, পালন করে তারা নিজেরাও জানে না এই অনুষ্ঠানের নেপথ্য কথা। কোনো মুসলমান ইন্তেকাল করলে তার জন্য হতে পারে কোনো সওয়াব রেসানী বা মীলাদ শরীফের অনুষ্ঠান। কিন্তু তা না হয়ে পালন করা হচ্ছে ‘১ মিনিট নিরবতা’। এই অনুষ্ঠান পালনে নেই কোনো সওয়াব, নেই কোনো আখিরাতের কল্যাণ; ব বাকি অংশ পড়ুন...
কিছুদিন আগে ঢাকার একটি মসজিদে নামাযের জন্য যাওয়া হলো। মসজিদে প্রবেশ করতেই আমি অত্যন্ত বিস্মিত হয়ে থমকে দাঁড়ালাম। কিন্তু মসজিদে আসা যাওয়া করা বহু মানুষের কারো মধ্যেই সামান্যতম অস্বাভাবিকতা দেখলাম না। এমনকি মসজিদে দাঁড়ি টুপি এবং লম্বা জামা পরিধান করা লোকদেরও নির্বিঘেœ ও নিশ্চিন্ত মনে আসা-যাওয়া দেখলাম।
হ্যাঁ পাঠক! সবার স্বাভাবিক চলাচলের মাঝেও আমার থমকে যাওয়ার কারণ ছিলো- মসজিদের প্রবেশমুখেই বসানো সিসি ক্যামেরা। কিছুুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছিলাম- প্রশাসন কথিত সন্ত্রাসবাদ ঠেকানোর অজুহাতে মসজিদে মসজিদে সিসি বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনি অবশ্যই দেখতে পাবেন যে, মু’মিনদের জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ইহুদী, অতঃপর মুশরিক। (পবিত্র সূরা আল মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৮২)
মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ইহুদী, অতঃপর মুশরিকরা অর্থাৎ সমস্ত কাফিররা। এদেশে ৯৮ ভাগ মুসলমান। এখানে মুসলমান উনাদের পরিপূর্ণ অধিকার থাকবে। এখানে রাষ্ট্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র কোনো কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন করতে পারে না বা করার সাহস পাবার কথা নয়। যে সাহস করবে, তাকে আইনের আওতায় এনে শ বাকি অংশ পড়ুন...
টিভির মূল হচ্ছে হারাম ছবি। এই টিভি দেখার কারণে এ দুনিয়াতে শুধু মানুষের শরীরে ৯টি মারাত্মক রোগ হয়। আর পরকালে কি হবে? সেই চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়টি রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি যে, প্রাণীর ছবি তোলানেওয়ালা, আঁকনেওয়ালা বা দেখানোওয়ালা প্রত্যেক ব্যক্তিই জাহান্নামে যাবে। নাঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র মুসলিম শরীফ)
শুধু তাই নয়, যে ছবিগুলো তোলা হয়েছে কিংবা আঁকা হয়েছে সেগুলোকে প্রাণ দেয়া হবে এবং সেগ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন,নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার নাম মুবারক শুনে দুরূদ শরীফ পাঠ করা ফরয। আম ফতওয়া হলো একই মজলিসে একাধিকবার নাম মুবারক উচ্চারিত হলে একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করা ওয়াজিব, আর প্রতিবারই দুরূদ শরীফ পাঠ করা মুস্তাহাব। আর খাছ ফতওয়া হলো একই মজলিসে যতবার নাম মুবারক উচ্চারিত হবে তত বার দুরূদ শরীফ পাঠ করা ওয়াজিব।
তদ্রুপ শরীয়তের হুকুম হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম বাকি অংশ পড়ুন...
অমুসলিম তথা ইসলামবিদ্বেষীদের একটা বড় ধরনের কুট-কৌশল হলো পবিত্র ইসলামের বিভিন্ন বিষয়গুলোকে বিকৃত করা কটাক্ষ করা ও হেয় করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখির মাধ্যমে প্রকাশ করা। তারই একটা ঘৃণ্য উদাহরণ হলো- উগ্র সন্ত্রাসীদের বইগুলোকে ‘সন্ত্রাসী বই’ বলে না বলে ‘জিহাদী বই’ বলে অপপ্রচার করা।
তাদের এহেন অপপ্রচারের কাারণে সূক্ষ্মভাবে মানুষ পবিত্র ইসলামের অন্যতম বুনিয়াদ জিহাদকে হেয় বা কটাক্ষ করে যাচ্ছে। অথচ খোদ পবিত্র কুরআন শরীফেই অসংখ্য পবিত্র আয়াত শরীফেই জিহাদ করার আদেশ-নির্দেশসমূহ বর্ণিত হয়েছে। তাহলে তো বলতে হয় পবিত্র কুরআন বাকি অংশ পড়ুন...












