প্রত্যেক জিন-ইনসানই সুখ প্রিয়, শান্তি প্রিয়। আর এটাই সকলের লক্ষ্য কিভাবে একটু সুখে থাকা যায়, শান্তিতে থাকা যায়। আর এই সূখের জন্যই প্রত্যেকে সব কিছুকে বিসর্জন দেয়। কেউ টাকার পিছনে ছুটে, কেউ বা আবার ক্ষমতার দিকে। সবার উদ্দেশ্যই এক ও অভিন্ন। কিন্তু বাস্তবে কারোরই সুখের দেখা মিলে না। আর মিলবেই বা কি করে? যে পথে সুখের সন্ধান করার কথা সে পথ বাদ দিয়ে অন্য পথে কি করে সুখ মিলতে পারে?
প্রকৃত সুখ, শান্তি বা ইতমিনান লাভ করতে হলে অবশ্যই সেটা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশিত পথেই তালাশ করতে হবে। তবেই প্রকৃত সুখ মিলবে, মিলবে ইতমিনান। এখন প্রশ্ন বাকি অংশ পড়ুন...
“বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবূ হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছেন, তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদা একটি কবরস্থানের দিকে গেলেন। তিনি সেখানে পৌছার পর বললেন-
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَاحِقُونَ
অর্থ: তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, হে মু’মিন সম্প্রদায়ের বাসস্থানে (কবরস্থানে) বসবাসকারিগণ, আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব ইনশাআল্লাহ।” আমার আকাঙ্খা, যদি আমার ভাইদেরকে দেখতাম! হযরত ছাহাবা বাকি অংশ পড়ুন...
রহমত, বরকত, ছাকীনা এবং মাগফিরাতের মাস পবিত্র রমাদ্বান শরীফ। ইবাদত-বন্দেগীর পাশাপাশি ইতিহাসের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি, তবে মুসলিম উম্মাহর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস। এই পবিত্র মাসেই এমন অনেক বিজয় অভিযান সম্পন্ন হয়েছে যা মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসের গতিধারাকে পরিবর্তিত করেছে।
মহাপবিত্র বদর জিহাদ
সম্মানিত দ্বিতীয় হিজরী শরীফ উনার ১৭ই রমাদ্বান শরীফ পবিত্র মদীনা শরীফ উনার দক্ষিণ-পশ্চিমে বদর প্রান্তরে পবিত্র বদর জিহাদ সংঘঠিত হয়। সম্মানিত জিহাদ মুবারকে মুসলমান উনাদের সংখ্যা ছিলেন ৩১৩ জন। ব বাকি অংশ পড়ুন...
‘ইসলাম’ শান্তির দ্বীন। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অনুসরণে মুসলমান-ঈমানদারগণ শান্তিতে থাকেন ও শান্তিতে থাকতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অন্যতম উছুল হলো- ফিতনা-ফাসাদ হলো- খুন বা হত্যার চেয়েও বেশি ঘৃণিত ও ভয়ঙ্কর।
মুসলমান-ঈমানদারদের এই শান্তিপ্রিয়তা ও শান্তভাবকে অমুসলিম-বিধর্মীরা সুযোগ মনে করে দ্বীন ইসলাম ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে হিংসাত্মক ও ঘৃণাত্মক কথা-বার্তা বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
স্বাভাবিকভাবেই অমুসলিমদের ইসলাম অবমাননার এ বিষয়টি সকল মুসলমানদেরকেই পীড়িত করে, অন্তরকে ব্যথিত করে। যে কারণে মুসলমা বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশের আলো বাতাসে হৃষ্টপুষ্ট, কিন্তু বিদেশীদের উচ্ছিষ্টভোগী কিছু নাস্তিক মহল আছে যারা প্রচার করে থাকে, ‘মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য’। এই প্রচারণার ভিত্তিতেই তারা বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের কথা বলে থাকে। অথচ ১৯৭১ সালে সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি কখনোই ধর্মনিরপেক্ষতা ছিলো না; তখন ধর্মনিরপেক্ষতার নামগন্ধও ছিলো না। এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বক্তব্য শক্তিশালী দলিল হিসেবে পেশযোগ্য। ১৯৭১ সালে ৪ঠা জানুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ‘গণপ্রতিনিধিদের শপথ: শোষণমুক বাকি অংশ পড়ুন...
যত রকমের গযব দুনিয়ার যমীনে নাযিল হয় তার মূলত প্রধান দুটি কারণ। প্রথম কারনটি হচ্ছে সারা দুনিয়াব্যাপী সমস্ত বিধর্মীরা মুসলমানদের উপর মারাত্মক যুলুম-নির্যাতন চালিয়ে লক্ষ-লক্ষ মুসলমান উনাদের শহীদ করে মুসলমানদের মাল-সম্পদ লুট করে যাচ্ছে। বিধর্মীদের এই বদ আমলের কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি শাস্তিস্বরূপ বিভিন্ন রকমের গযবে বিধর্মীদের ধ্বংস করে দিচ্ছেন। আর দ্বিতীয় কারনটি হচ্ছে গান-বাজনা, ছবি, টিভি-চ্যানেল, বেহায়া-বেপর্দা, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন প্রকারের হারাম কাজে মুসলমানরা লিপ্ত হয়ে পড়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার প্রিয়তম হা বাকি অংশ পড়ুন...
কিছুদিন আগে ঢাকার একটি মসজিদে নামাযের জন্য যাওয়া হলো। মসজিদে প্রবেশ করতেই অত্যন্ত বিস্মিত হয়ে থমকে দাঁড়ালাম। কিন্তু মসজিদে আসা যাওয়া করা বহু মানুষের কারো মধ্যেই সামান্যতম অস্বাভাবিকতা দেখলাম না। এমনকি মসজিদে দাঁড়ি টুপি এবং লম্বা জামা পরিধান করা লোকদেরও নির্বিঘেœ ও নিশ্চিন্ত মনে আসা-যাওয়া দেখলাম।
হ্যাঁ পাঠক! সবার স্বাভাবিক চলাচলের মাঝেও আমার থমকে যাওয়ার কারণ ছিলো- মসজিদের প্রবেশমুখেই বসানো সিসি ক্যামেরা। কিছতুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছিলাম- প্রশাসন কথিত সন্ত্রাসবাদ ঠেকানোর অজুহাতে মসজিদে মসজিদে সিসি ক্য বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা সকলেই জানি যে, বাংলাদেশের বর্তমান পাঠ্যপুস্তকের প্রায় প্রতি পৃষ্ঠাই প্রাণীর ছবি সম্বলিত। আমরা আগেই জেনেছি যে, প্রাণীর ছবি থাকলে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার করুণা তথা রহমত বর্ষিত হয় না। আর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া, করুণা বা রহমত ব্যতীত কারো পক্ষে শিক্ষার বিষয়ের মূলভাব উপলব্ধি করা, এটার মাধ্যমে ফায়দা নেয়া কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। আর এজন্যই মূলতঃ মুসলমানগণ হাক্বীক্বী ঈমানী চেতনা, দ্বীনি শিক্ষা, ইসলামের জীবন্ত ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হয়ে পাশ্চাত্যের গুমরাহী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেদের অস্তিত্বকে বাত বাকি অংশ পড়ুন...
প্রচলিত তন্ত্র-মন্ত্রের কারণে সরকারের নীতি নির্ধারণকারী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে নিম্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী পর্যন্ত প্রায় সকলেই প্রতিযোগিতামূলকভাবে চুরি ডাকাতি, ছিনতাই, রাহজানী, খুনখারাবি ইত্যাদি অপরাধ অপকর্মে লিপ্ত। নাউযুবিল্লাহ!
অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন, প্রশাসন ইত্যাদি কোন কাজই আসছে না। যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে সে সেই দায়িত্বের অবহেলা, খেয়ানত ও অবমাননা করছে। দায়িত্বশীল নিজেই অপরাধে জড়িত হচ্ছে। এটার একমাত্র কারণ যিনি সত্যিকার আইন বা বিধান দানকারী খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বাকি অংশ পড়ুন...
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি গোষ্ঠীগুলোদের মুলো দেখানো হয়- ‘তাদের জন্য আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে দেয়া হবে’। কিন্তু বাস্তবে উপজাতিদের স্বার্থ এখানে মুখ্য নয়। মূল স্বার্থ পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের, যারা উপজাতি গোষ্ঠীগুলোকে শুধু ব্যবহার করছে তিন পার্বত্য জেলাকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে। এ প্রক্রিয়া চলে চার প্রকারে-
১. মগজ ধোলাই সম্পর্কিত পুশিং: বিদেশী গোষ্ঠীগুলো উপজাতিদের কাছে গিয়ে সর্বদা কানপড়া দিতে থাকে- “তোমাদের বাংলাদেশের সাথে থেকে কি লাভ আছে? তোমরা নিজেরাই একটা দেশের জন্য চিন্তা করো, সেটা হবে তোমাদের রাজত্ব। সে বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চন্দ্র ও সূর্যের ঘূর্ণন বা আবর্তনের সাথে রাত-দিনের বা তারিখের পরিবর্তনের বিষয়টি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যার কারণে চন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী-প্রবর্তন করা হয়েছে হিজরী সন ও ক্যালেন্ডার। আর সূর্যের হিসাব অনুযায়ী প্রবর্তন করা হয়েছে শামসী সন ও ক্যালেন্ডার। এ দুটি সন ও ক্যালেন্ডারই মুসলমানদের দ্বারা প্রবর্তিত।
কাজেই, মুসলমানদের জন্য মুসলমানদের প্রবর্তিত সন ব্যতীত কাফির-মুশরিকদের প্রবর্তিত কোনো সন ও ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা জায়িয নেই।
অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমাদের এই দেশে শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান বাকি অংশ পড়ুন...
বুখারী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী যিন্দেগীতে কা’ব বিন আশরাফ এবং আবু রাফে নামে দুই ব্যক্তি সমালোচনা ও কটুক্তি করলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলে সাথে সাথে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা গিয়ে ঐ দুই নালায়েককে মৃত্যুদ- দিয়ে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেন। যার কারণে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের ফতওয়া বা মাসয়ালা হচ্ছে, কেউ যদি নূরে মুজাসসাম হাবীব বাকি অংশ পড়ুন...












