যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের বিশেষ একটি মাধ্যম হচ্ছেন পবিত্র কুরবানী। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু পবিত্র কুরবানীর পশু যবেহ করার সময় দেখা যায় অনেকেই সেই পশুর ছবি তুলে, আবার কেউ পশুর সাথে সেলফিও তুলে এবং সেটাকে অনলাইনে প্রচার করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! যারা এই কাজ করবে তাদের কুরবানী ক্ববূলতো হবেইনা বরং তারা কঠিন শাস্তির যোগ্য হবে। কেননা সম্মানিত দ্বীন ইসলামে সমস্ত প্ বাকি অংশ পড়ুন...
আজ এক দুই দিন থেকে নয়, যখন থেকে সরকার কুরবানীর হাট কমানো ও হাটগুলোকে শহরের বাইরে নেয়ার পরিকল্পনা করছে, তখন থেকেই দেশের সকল শ্রেণীর মুসলমানরাই এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তারা বিভিন্নভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করে আসছেন। কিন্তু এ রকম একটি গণদাবিকে সরকারি আমলারা অগ্রাহ্য করেই আসছে। এ পর্যন্ত তারা কুরবানীর হাট বৃদ্ধি করা তো দূরের কথা, বরং আরো কমিয়ে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছে। সিটি কর্পোরেশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জনগণের এ দাবিকে বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের ক্ষমতায় আসার অন্যতম প্রতিশ্রুতি হচ্ছে, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাশ হবে না।
কিন্তু উক্ত সরকার স্বীয় প্রতিশ্রুতি আদৌ রক্ষা করতে পারেনি। নাউযুবিল্লাহ! আর উক্ত প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা তারা রক্ষা করতে পারবে না; এটাই শতভাগ ঠিক। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন, হারামের দ্বারা হারাম ব্যতীত কিছু বের হয় না। মানবরচিত তন্ত্র-মন্ত্র অনুসরণ করে কখনোই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার হুকুম পালন করা যায় না। তাই তারা স্বীয় ওয়াদা বা প্র বাকি অংশ পড়ুন...
এতদিন হয়েছে অমুসলিমদের দেশে। এখন মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলোতেও শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশের মতো ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে এটা সত্যিই বিস্ময়কর।
হ্যাঁ! কুরবানীর পশু জবাই নিয়েই বলছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অমুসলিম দেশ, যেমন- নেপালসহ ভারতে বেশ কয়েকটি প্রদেশে কুরবানীতে গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর অন্যান্য দেশগুলোও সরাসরি জবাই নিষিদ্ধ না করলেও সেখানে কেউ প্রকাশ্যে নিজের সুবিধামত কুরবানী করতে পারে না। সেখানে শহরের বাইরে নির্জনে জঙ্গলের মধ্যে বা মরুভূমিতে কুরবানী করতে হয়।
একইভাবে এইসব অমুসলিম বিধর্মীদের মতো করে আমাদের দেশেও বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরবানীর চেতনা মূলত পুঁজিবাদী চেতনার বিপরীত। কারণ পুঁজিবাদীরা শুধু নিতে চায়, দিতে চায় না। অর্থাৎ দেশের সবাইকে নিঃস্ব করে নিজেরা ফুলে- ফেঁপে কলা গাছ হয়ে যাবে। এজন্য পরিবেশ দূষণ, যানজট ও অন্যান্য কারণ দেখিয়ে পুঁজিবাদী ও পুঁজিপতিরা পবিত্র কুরবনির বিরোধিতা করতে চায়। কারণ কুরবানীর মাধ্যমে শুধু পুঁজিপতিরা নয়, দেশের ধনী-গরিব সবাই উপকৃত হয় যার বিবরণ এই লেখার মধ্যে পাবেন। ঠিক একইভাবে সম্মানিত যাকাত ব্যবস্থাও পুঁজিবাদী চেতনার প্রতিকূলে। এজন্য পুঁজিবাদীরা বর্তমান বিশ্বের ভঙ্গুর ও অসমতাভিত্তিক অর্থব্যবস্থার সংকট জানার পরে বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
تَـعَاوَنُـوْا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّـقْوٰى ۖ وَلَا تَـعَاوَنُـوْا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّـقُوا اللهَ ۖ إِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ
অর্থ: “তোমরা নেকি এবং পরহেজগারির কাজে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো, পাপ এবং শত্রুতার মধ্যে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো না। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, নিশ্চয় মহান আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তিদাতা। ” (পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ০ ২)
আলোচ্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি নেকি এবং পরহেজগারির কাজে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য কর বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৯৮ ভাগই হচ্ছে মুসলমান। এ কারণে এদেশের সংবিধানে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে রাষ্ট্রদ্বীন হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে। সংখ্যালঘুরা সবমিলে রয়েছে মাত্র ১.৫ ভাগ। ওদের যে কোনো কল্পিত ধর্মীয় উৎসবের সময় দেখা যায় সরকার স¦য়ং পৃষ্ঠপোষকতা করে। ওদের ২৫শে ডিসেম্বর, বৌদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা ইত্যাদি উৎসবে টাকা পয়সা নিরাপত্তা সবই দিচ্ছে সরকার। আর মিডিয়াগুলো তো একেবারে কোমর বেঁধে নামে সে সমস্ত বিধর্মী বিজাতীয় উৎসবকে সার্বজনীন হিসেবে চালিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য।
কিন্তু যখনই মুসলমানদের প্রামাণ্য দ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরবানীতে সরকারের অসহযোগিতা ও অবহেলা বহুল সমালোচিত একটি বিষয়। কুরবানীদাতাদের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে সরকারের অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও পশু সঙ্কট সৃষ্টির সমালোচনা। মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ কুরবানীর হাটে কৃত্রিমভাবে পশু সঙ্কট ও আকাশচুম্বী দাম। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার পশুর উচ্চমূল্যের ফলে কুরবানী করতে কষ্ট হয়। কষ্ট করে অনেকে দিলেও কুরবানী করে কেউ তৃপ্ত হতে পারেনি; বরং মানুষ রীতিমত ক্ষুব্ধ। এসব কিছুর পেছনে একটিই কারণ- সরকারের উদাসীনতা, অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও কুরবানীবিদ্বেষীদের স্বাধীন স্বেচ্ছাচারিতার কুপ্রভাব।
পক্ বাকি অংশ পড়ুন...
১। ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডসহ সারা দেশের মহল্লায় মহল্লায় পবিত্র কুরবানীর পশুর হাট বসানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাতে মুসলমানরা সহজে, স্বল্প খরচে চাহিদা অনুযায়ী পবিত্র কুরবানীর পশু সংগ্রহ করতে পারে।
২। ঢাকা শহর থেকে দূরবর্তী স্থানে পবিত্র কুরবানীর পশুর হাট বসানোর জঘন্য সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করতে হবে। কারণ পশুর হাট সরানো হলে কিংবা কোন হাট বন্ধ করে দিলে জনদুর্ভোগ আরো বহুগুণে বাড়বে। মানুষকে দূরদূরান্ত থেকে পশু কিনে আনতে হলে ক্রেতাদের, পথচারীদের ও গাড়ি চলাচলে বিঘœ ঘটবে।
৩। পশু যবাইয়ের স্থান নির্দ্দিষ্ট করা যাবে ন বাকি অংশ পড়ুন...
প্রকৃত হিসাব মতে, ১ কোটিরও বেশি শুধু গরুই কুরবানী হয়ে থাকে প্রতিবছর। প্রশ্ন হলো, এত বিপুল পরিমাণ কুরবানীর জন্য যতবেশি আয়োজন, প্রস্তুতি ও সময় প্রয়োজন সেটা কি আমাদের দেশের গরু-ছাগল ব্যবসায়ী ও এর ক্রেতারা পেয়ে থাকেন? যারা গরু ব্যবসার সাথে জড়িত ও যারা প্রতিবছর গরু কুরবানী দিয়ে থাকেন, তারাই জানেন- তারা যে এর জন্য কতবেশি বিড়ম্বনা, হয়রানি ও চাপ সহ্য করে থাকেন।
এরই মধ্যে অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকার এবার কুরবানীর গরু-ছাগল ইত্যাদি কেনাবেচার জন্য মাত্র ৩ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে। শুধু এতটুকু নয়, বিভিন্ন ভুয়া অজুহাত তুলে কুরবানীর পশুর হা বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এদেশের শতকরা ৯৮ ভাগই মুসলমান হলেও এই জনগোষ্ঠী বিভিন্নভাবে স্বদেশী-বিদেশী মুশরিক, মজুসী, খ্রিস্টীয় চেলা-চামুন্ডাদের দ্বারা নিজ সমাজেই অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। এই মুসলিম দেশে যখনই কোনো ইসলামী অনুষ্ঠান যেমন, পবিত্র ঈদুল ফিতর, পত্রি ঈদুল আযহা অর্থাৎ পবিত্র কুরবানীর ঈদ আসে, তখনই মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের নানামুখী ষড়ন্ত্র শুরু হয়ে যায়। সামনে পবিত্র কুরবানীর ঈদ। পবিত্র কুরবানীর ঈদে পশু কুরবানী নিয়ে কত কুফরীমূলক কার্যকলাপ কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। নাউযু বাকি অংশ পড়ুন...
এদেশের মুসলমানরা বছরে একবার কুরবানী করবে- এর জন্য কুরবানীর পশুর হাট বসবে। আর এই পশুর হাটের জায়গা থেকে সরকার ভাড়া আদায় করে থাকে। ইজারা দিয়ে থাকে। অথচ সারাবছর এই জায়গাগুলো ফাঁকা পতিত পড়ে থাকে।
কিন্তু এ দেশেই আবার সংখ্যালঘু বিধর্মীরা বিভিন্ন মাঠ ও রাস্তা দখল করে প্রকাশ্যে পূজা করে থাকে বিনামূল্যে। তখন কেন সরকার ওইসব মাঠ ও জায়গাগুলোর জন্য কোন ভাড়া নেয় না? কেন ওইসব জায়গাগুলো ইজারা দেয় না?
এটা কি বৈষম্য নয়? এটাতো স্পষ্ট জুলুম, মুসলমানদের প্রতি প্রকাশ্য জুলুম। সরকারকে বলা হচ্ছে- হয় সরকার কোরবানীর হাটগুলোকে ফ্রী করে দিবে অথবা প্রত্য বাকি অংশ পড়ুন...












