মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “শরাব ও জুয়ার মধ্যে কিছুটা ফায়দা থাকলেও গুনাহে কবীরাও রয়েছে।”
ছবির মাধ্যমে আইডি কার্ড করার মধ্যে কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই বেশি অর্থাৎ যতটুকু ফায়দা হবে তার চেয়ে বেশি গুনাহ হবে।
ক) ছবি তোলার অর্থ হচ্ছে প্রকাশ্য পবিত্র কুরআন শরীফ উনার নির্দেশ অমান্য করা অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার আদেশ মুবারক অমান্য করা।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “কোনো মুসলমান পুরুষ ও মহিলার জন্য জায়িয নেই- মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর বাকি অংশ পড়ুন...
আমাদের দেশের সরকারী আমলারা দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় চলে। কিন্তু তারা এসব টাকা কোথায় খরচ করে? আমাদের মৌলিক যে ৬টি চাহিদা- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, বিবাহ, চিকিৎসা, এসবের প্রতি তারা কতটুকু খেয়াল রাখে? অথচ আমাদের দেশে সবকিছুর দাম অর্থাৎ চাল, ডাল, বস্ত্র, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামে আগুন। এ কারণে আমাদের দেশে সবকিছু থাকার পরেও দেশে অভাব বিরাজ করছে। চিকিৎসা উচ্চ মূল্য হওয়ায় চিকিৎসার অভাবে অসংখ্য মানুষ মৃত্যুবরণ করছে।
অথচ বর্তমান সরকারী অর্থ নানা শরীয়বিরোধী কাজেও খরচ হচ্ছে। আবার দুর্নীতিবাজরাও লুটেপুটে খাচ্ছে। বঞ্চ বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَلَا تُزَكُّوْا أَنْفُسَكُمْ ۖ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اتَّقَى
অর্থ: “তোমরা নিজেরা নিজেদের পবিত্রতা বর্ণনা করোনা। মহান আল্লাহ পাক তিনি জানেন, কে সবচেয়ে বেশি মুত্তাক্বী”। (পবিত্র সূরা নজম শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২) অর্থাৎ তোমরা মনে করোনা যে, তোমরা ইছলাহকৃত হয়ে গেছো, তোমাদের আর আ’মল করার প্রয়োজন নেই। না‘উযুবিল্লাহ! বরং তোমরা সর্বদা বিনয় অবলম্বন করো। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশি মুত্তাক্বী। কাজেই এ বিষয়ে সতর্ক থাকো। আর ফখর হচ্ছে, খলিক্ব মালিক রব মহান আল্ বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে মসজিদ কমিটিগুলোতে দেখা যায়, যে যতবেশি মসজিদে টাকা-পয়সা দেয় বা এলাকায় যে যত প্রভাবশালী তাদেরকেই কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারী করা হয়। এ কারণে দেখা যায়, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাতো বটেই পাড়ার বড় বড় সন্ত্রাসীদেরকেও অনেক সময় কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়। নাউযুবিল্লাহ! আর এ সকল ফাসিক-ফুজ্জার কমিটি সদস্যদের তোয়াজ করেই মসজিদের ইমামতীর দায়িত্ব নিয়ে থাকে উলামায়ে সূ’রা। আর ওই কমিটিকেই রাজি-খুশি করার প্রতিযোগিতায় থাকে ওই সকল কথিত ইমাম-খতীব উলামায়ে ছুরা। কারণ কমিটিকে যে যত সন্তুষ্ট রাখতে পারবে সে ইমাম-খতীব ততবেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন “মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি সন্তুষ্ট। ” সুবহানাল্লাহ!
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “আমার সকল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আকাশের তারকা সাদৃশ্য, উনাদের যে কাউকে কোনো ব্যক্তি উত্ততমভাবে অনুসরণ করবেন উনারা সকলেই হিদায়েত লাভ করবেন। ” সুবহনাল্লাহ!
অর্থাৎ এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, হযরত ছাহাবায়ে বাকি অংশ পড়ুন...
একটা কুরবানীর পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় কত টাকা লাগে? বড়জোর লাখখানেক টাকা। সামান্য এই টাকা কি সরকার ভর্তুকি দিতে পারে না?
অথচ এই কুরবানীর হাটকে সরকার এখন ব্যবসা আর চাঁদাবাজির কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছে। প্রথমত এই কুরবানীর পশুর হাটকে ইজারা দিয়ে সরকার কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে। এরপর এই হাটগুলোকে নিজেদের দলীয় নেতা-কর্মীদের ভাড়া দিয়ে বিরাট চাঁদাবাজির কারখানা বানিয়ে ফেলে। তারা কুরবানীর হাটগুলোকে ‘হাসিলের’ ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
তথ্যমতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কুরবানীর পশুর হাটের ইজারা বাবদ আয় ধরেছ বাকি অংশ পড়ুন...
সনটি ছিলো ১৩৪৪ খ্রি.। সিলেটের তৎকালীন হিন্দু শাসক গৌর গোবিন্দের রাজ্যের এক মহল্লায় ১৩টি মুসলিম পরিবার বাস করতেন। উনাদেরই একজন ছিলেন শেখ বুরহান উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি হিন্দু জালিম শাসক গৌর গোবিন্দের কারণে গোপনে সম্মানিত ইবাদত-বন্দেগী করতেন। কারণ, সেখানে প্রকাশ্যে মুসলমানদের জন্য সম্মানিত ইবাদত-বন্দেগী করা নিষিদ্ধ ছিলো। কেউই গরু জবেহ ও পবিত্র কুরবানী করতে পারতো না।
শেখ বুরহান উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কোনো আওলাদ ছিলেন না। সন্তানের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করে তিনি নিয়ত করলেন, যদি উনার একটি সন্তা বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের বিশেষ একটি মাধ্যম হচ্ছেন পবিত্র কুরবানী। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু পবিত্র কুরবানীর পশু যবেহ করার সময় দেখা যায় অনেকেই সেই পশুর ছবি তুলে, আবার কেউ পশুর সাথে সেলফিও তুলে এবং সেটাকে অনলাইনে প্রচার করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! যারা এই কাজ করবে তাদের কুরবানী ক্ববূলতো হবেইনা বরং তারা কঠিন শাস্তির যোগ্য হবে। কেননা সম্মানিত দ্বীন ইসলামে সমস্ত প্ বাকি অংশ পড়ুন...
আজ এক দুই দিন থেকে নয়, যখন থেকে সরকার কুরবানীর হাট কমানো ও হাটগুলোকে শহরের বাইরে নেয়ার পরিকল্পনা করছে, তখন থেকেই দেশের সকল শ্রেণীর মুসলমানরাই এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তারা বিভিন্নভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করে আসছেন। কিন্তু এ রকম একটি গণদাবিকে সরকারি আমলারা অগ্রাহ্য করেই আসছে। এ পর্যন্ত তারা কুরবানীর হাট বৃদ্ধি করা তো দূরের কথা, বরং আরো কমিয়ে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছে। সিটি কর্পোরেশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জনগণের এ দাবিকে বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের ক্ষমতায় আসার অন্যতম প্রতিশ্রুতি হচ্ছে, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাশ হবে না।
কিন্তু উক্ত সরকার স্বীয় প্রতিশ্রুতি আদৌ রক্ষা করতে পারেনি। নাউযুবিল্লাহ! আর উক্ত প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা তারা রক্ষা করতে পারবে না; এটাই শতভাগ ঠিক। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন, হারামের দ্বারা হারাম ব্যতীত কিছু বের হয় না। মানবরচিত তন্ত্র-মন্ত্র অনুসরণ করে কখনোই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার হুকুম পালন করা যায় না। তাই তারা স্বীয় ওয়াদা বা প্র বাকি অংশ পড়ুন...
এতদিন হয়েছে অমুসলিমদের দেশে। এখন মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলোতেও শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশের মতো ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে এটা সত্যিই বিস্ময়কর।
হ্যাঁ! কুরবানীর পশু জবাই নিয়েই বলছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অমুসলিম দেশ, যেমন- নেপালসহ ভারতে বেশ কয়েকটি প্রদেশে কুরবানীতে গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর অন্যান্য দেশগুলোও সরাসরি জবাই নিষিদ্ধ না করলেও সেখানে কেউ প্রকাশ্যে নিজের সুবিধামত কুরবানী করতে পারে না। সেখানে শহরের বাইরে নির্জনে জঙ্গলের মধ্যে বা মরুভূমিতে কুরবানী করতে হয়।
একইভাবে এইসব অমুসলিম বিধর্মীদের মতো করে আমাদের দেশেও বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরবানীর চেতনা মূলত পুঁজিবাদী চেতনার বিপরীত। কারণ পুঁজিবাদীরা শুধু নিতে চায়, দিতে চায় না। অর্থাৎ দেশের সবাইকে নিঃস্ব করে নিজেরা ফুলে- ফেঁপে কলা গাছ হয়ে যাবে। এজন্য পরিবেশ দূষণ, যানজট ও অন্যান্য কারণ দেখিয়ে পুঁজিবাদী ও পুঁজিপতিরা পবিত্র কুরবনির বিরোধিতা করতে চায়। কারণ কুরবানীর মাধ্যমে শুধু পুঁজিপতিরা নয়, দেশের ধনী-গরিব সবাই উপকৃত হয় যার বিবরণ এই লেখার মধ্যে পাবেন। ঠিক একইভাবে সম্মানিত যাকাত ব্যবস্থাও পুঁজিবাদী চেতনার প্রতিকূলে। এজন্য পুঁজিবাদীরা বর্তমান বিশ্বের ভঙ্গুর ও অসমতাভিত্তিক অর্থব্যবস্থার সংকট জানার পরে বাকি অংশ পড়ুন...












