আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আযম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারককালের উল্লেখযোগ্য কিছু বিজয়গাঁথা
এডমিন, ২৫ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৮ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৮ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) ইতিহাস

আজনাদাইনের যুদ্ধে মুসলমানগণ বিজয় লাভ করেন এবং ফিলিস্তিন ও সিরিয়া বিজয়ের পর উন্মুক্ত হয়। তখন আমিরুল মুমিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম তিনি মুসলিম সেনাবাহিনী এবং উনার নেতৃত্বভারে থাকা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ফিলিস্তিনের পাশ্ববর্তী এলাকাগুলোতে থাকার নির্দেশ মুবারক প্রদান করেন এবং হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে সিরিয়া বিজয়ের জন্য নির্দেশনা মুবারক প্রদান করেন।
দামেস্ক বিজয়: ইতিপূর্বে পরপর কয়েকবার পরাজিত হয়ে রোমান শাসক হিরাক্লিয়াস রোমানদের এন্টিওক শহরে পলায়ন করে আত্মগোপন করে। এ সময় হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি দামেস্ক অবরোধ করেন। শহরটি ৬ মাস অবরুদ্ধ থাকার পর উক্ত নগরী মুসলমানদের দ্বারা বিজিত হয়।
ফিহলের যুদ্ধ: দামেস্ক নগরী মুসলমানরা বিজয়ের পর সেটি উদ্ধারে জন্য বাইজেন্টাইন সেনাবাহিনী জর্ডানে এসে অবস্থান করতে থাকে। পরবর্তীতে রোমানদের সাথে যুদ্ধ হয় দামেস্ক বিজয়ী মুসলিম ফৌজের। প্রায় ৫০ হাজার বাইজেন্টাইন সেনা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় এবং পলায়ন করে। ফলে সমগ্র জর্ডান বিজয় হয় মুসলমানদের। জর্ডান বিজয়ের পর যুদ্ধের মাধ্যমে হিমসও মুসলমানরা বিজয় করেন।