ইলমে তাছাউফ
সম্মানিত শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা যেদিকে আছেন, সেদিকে কখনোই পা বিস্তার করবেনা বা থুথু ফেলবেনা
এডমিন, ০৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৭ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

স্মতর্ব্য যে, নামাযের ক্বিবলা বা কা’বা শরীফের দিকে থুথু নিক্ষেপ করা আদবের খিলাফ, যা তাছাওউফ বা মহান আল্লাহ পাক উনাকে পাওয়ার পথে অন্তরায়। তাই একদা কুতুবুল আলম, সুলত্বানুল আরেফীন, হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শুনতে পেলেন যে, অমুক স্থানে একজন কামিল শায়েখ আছেন, যিনি একজন বিশিষ্ট বুযুর্গ ব্যক্তি। সুলত্বানুল আরেফীন, হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সেই কামিল শায়েখ উনার সাথে সাক্ষাত করার জন্য রওয়ানা হলেন। তিনি উক্ত শায়েখের দরবারে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, উক্ত ব্যক্তি “ক্বিবলার” দিকে ফিরে থুথু নিক্ষেপ করছে। এটা দেখে সুলত্বানুল আরেফীন, হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “হায়! যার আদব রক্ষার প্রতি এতটুকু লক্ষ্য নেই, তার কাছে এসে আমি কি হাছিল করবো? একথা বলে তখনই তিনি বিদায় হলেন।
বর্ণিত আছে যে, আউলিয়াকুল শিরোমণি হযরত সাহাল ইবনে আব্দুল্লাহ্ তাস্তারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শায়েখ হযরত যুন নূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার জীবদ্দশায় কখনও কোন দেয়ালের সাথে পিঠ লাগিয়ে পা বিস্তার করে বসতেন না। কারো কোন প্রশ্নের জাওয়াব দিতেন না এবং কখনও মিম্বরে আরোহণ করেননি।
কিন্তু একদা হঠাৎ তাস্তার নগরে পা দু’খানি বিস্তার করে দেয়ালের সঙ্গে পিঠ লাগিয়ে হেলান দিয়ে বসলেন এবং সবাইকে লক্ষ্য করে বললেন- “এখন তোমাদের যা ইচ্ছা আমাকে জিজ্ঞাসা করো।” উপস্থিত লোকেরা বললেন, হুযূর! বেয়াদবী মাফ করবেন, আপনিতো ইতিপূর্বে কখনও এরূপভাবে পা ছড়িয়ে বসেননি? উত্তরে তিনি বললেন, নিজ শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা যতদিন দুনিয়াতে অবস্থান করেন মুরীদকে ততদিন তার আদবের প্রতি সর্তক দৃষ্টি রাখতে হয়। যা প্রত্যেক মুরীদের জন্যই আবশ্যক, দায়িত্ব কর্তব্য। পরে জানা গেল যে, ঠিক সে সময়ই হযরত যুন নূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দিদার মুবারকে চলে গেছেন। (রদ্দুল মুহতার, ইরশাদুত্ ত্বলেবীন, তাযকিরাতুল আউলিয়া)
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম