সম্মানিত মাযহাব কতটি ও কি কি?
ফিক্হী মাযহাব চারটি আর আক্বায়িদী মাযহাব দুটি। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
আহলুস্ সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার ফিক্হী মাযহাব:
‘আহলুস্ সুন্নত ওয়াল জামায়াত’ তথা ‘আল ফিরক্বাতুন্ নাজিয়াহ’ ফিক্হী মাসয়ালার দৃষ্টিতে ৪ ভাগে বিভক্ত।
১. মাযহাবুল হানাফী বা হানাফী মাযহাব:
ইমামে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, তাবিয়ী হযরত ইমাম নু’মান বিন ছাবিত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ: ৮০ হিজরী, ওফাত শরীফ: ১৫০ হিজরী) উনার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাযহাব হচ্ছে ‘হানাফী মাযহাব’। ইহাই সর্বশ্রেষ্ঠ মাযহাব। সারাবিশ্বে ৯০ শতাং বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
এক মাসিক পত্রিকায় হজ্জের অজুহাতে ছবি তোলাকে বৈধ বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে দলীল হিসেবে পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ ১৭৩, পবিত্র সূরা আনআম শরীফ ১১৯ ও ১৪৫ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, তীব্র প্রয়োজন হারাম বস্তুকে সাময়িক হালাল করে দেয়। তাই হজ্জের ফরয আদায় করতে হারাম ছবি তোলা সাময়িক বৈধতা পাবে। নাউযুবিল্লাহ! এ বিষয়ে সঠিক জাওয়াব কি?
জাওয়াব:
একইভাবে পবিত্র সূরা আনআম শরীফ উনার ১৪৫ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قُلْ لَّا أَجِدُ فِيْ مَاۤ اُوحِيَ اِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلٰى طَاعِمٍ يَطْعَمُهٗ إِلَّاۤ اَنْ يَّكُوْنَ مَيْـتَةً اَوْ دَمًا مَّسْفُوْحًا বাকি অংশ পড়ুন...
মূলত: মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পবিত্র ওহী মুবারক উনার মাধ্যমে নাযিলকৃত পূর্ণাঙ্গ মনোনীত জীবন ব্যবস্থাকে পবিত্র ইসলাম বলা হয়। আর যিনি পবিত্র ইসলাম উনাকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে মেনে নেন উনাকে মুসলিম বলা হয়।
৬. دين (দ্বীন): শব্দটি একবচন, এর বহুবচন اديان আদইয়ান। দ্বীন শব্দটিও মাযহাব শব্দের সমার্থবোধক। মাযহাব শব্দটির মতোই দ্বীন উনার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- দ্বীন, আক্বীদাহ, ইসলাম, বিশ্বাস, ধার্ বাকি অংশ পড়ুন...
حِزْبُ اللهِ (হিয্বুল্লাহ) অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত দল, মত, পথ, পদ্ধতি, শরীয়ত, পন্থা, নিয়ম-নীতি ইত্যাদি।
মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি উনার পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
(২২৫)
إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ. وَمَنْ يَتَوَلَّ اللهَ وَرَسُولَهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا فَإِنَّ حِزْبَ اللهِ هُمُ الْغَالِبُونَ.
অর্থ: তোমাদের বন্ধুতো মহান আল্লাহ পাক তিনি, উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মু’মিনগণ। মু’মিন উনারা ছলাত কায়িম করেন, যাকাত দেন এবং বিনয়-নম্রতা সম্পন্ন। আর যাঁ বাকি অংশ পড়ুন...
২. سَبِيْل (সাবীল): শব্দটি মাযহাব শব্দের সমার্থবোধক। মাযহাব শব্দটির মতোই সাবীল শব্দ উনার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- পথ, চলার পথ, পন্থা, রাস্তা, মাযহাব, পদ্ধতি, শরীয়ত, নিয়ম-নীতি, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ ইত্যাদি। আর পারিভাষিক দৃষ্টিতেও সাবীল শব্দটি মাযহাব শব্দের মতোই অর্থ প্রদান করে।
মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
(২১৩)
وَإِنْ تُطِعْ أَكْثَرَ مَنْ فِي الْأَرْضِ يُضِلُّوكَ عَنْ سَبِيلِ اللهِ.
অর্থ: আর যদি আপনি যমীনের অধিকাংশ লোকের অনুসরণ করেন, তাহলে তারা আপনাকে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পথ থেকে বিপথগামী করে দিবে। (পবিত্র সূরা আনয়াম শরীফ: পবিত্র আয়াত বাকি অংশ পড়ুন...
‘মাযহাব’ শব্দের সমার্থবোধক লাফ্য বা শব্দ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের অনেক স্থানেই রয়েছে:
الـمذهب (আল মাযহাব) শব্দটি একবচন। এর বহুচন مذاهب ‘মাযাহিব’। এর আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- পথ, পদ্ধতি, দ্বীন, জীবন ব্যবস্থা, মত, আদর্শ, বিশ্বাস, কর্মপন্থা, চলার পথ, মূল, ছিরাত, সাবীল, হিয্ব, হাব্ল, মাযহাব, মুসলমানগণের চলার পথ, আহলুস সুন্নত ওয়াল জামায়াত ইত্যাদি। পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়-
(২০৪-২০৭)
الـمذهب: الدين، الـمعتقد الذى يذهب اليه.
অর্থ: সঠিক হিসেবে বিশ্বাস রেখে যে পবিত্র দ্বীনী পথে চলা হয়, সে পথকেই মাযহাব বলে। (আত তা’রীফাতুল ফিক বাকি অংশ পড়ুন...
(১৯৮-১৯৯)
ارتحل الى مذهب الشافعي يعزّر. سراجية.
অর্থ: যে ব্যক্তি (ব্যক্তিগত স্বার্থে সুযোগ সন্ধানীর মতো) নিজ মাযহাব পরিত্যাগ করে শাফিয়ী মাযহাব গ্রহণ করে সে শাস্তির উপযুক্ত। অনুরূপ ‘সিরাজিয়াহ’ কিতাবে উল্লেখ আছে। (আদ্ দুররুল্ মুখতার শরহে তানউয়ীরুল্ আবছার ফী ফিকহিল্ মাযহাবিল্ ইমাম আবী হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি: আল্লামা ফক্বীহ ইমাম মুহম্মদ আলাউদ্দীন বিন্ আলী হাছ্কাফী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ১০৮৮ হিজরী অধ্যায়: হুহূদ পরিচ্ছেদ: তা’যীর ৬ষ্ঠ খন্ড ১৩২ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল্ কুতুবিল্ ইলমিয়াহ বাইরূত লিব্নান, সিরাজিয়াহ, ফতয়া বাকি অংশ পড়ুন...
(১৯২-১৯৪)
قَالَ الْعَارِفُ الشَّعْرَانِيُّ: فَإِنْ قُلْت فَهَلْ يَجِبُ عَلَى الْمَحْجُوبِ عَن الِاطِّلَاعِ عَلَى الْعَيْنِ الْأُولَى التَّقَيُّدُ بِمَذْهَبٍ مُعَيَّنٍ؟
فَالْجَوَابُ: نَعَمْ يَجِبُ عَلَيْهِ ذَلِكَ لِئَلَّا يَضِلَّ فِي نَفْسِهِ وَيُضِلَّ غَيْرَهُ.
অর্থ: হযরত ইমাম আরিফ শা’রানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যদি আপনি প্রশ্ন করেন, যে লোক শরীয়ত উনার প্রথম ঝরণা (কুরআন মাজীদ ও সুন্নাহ শরীফ) উনার প্রকৃত মর্মার্থ সম্পর্কে না জানে, তার জন্য কি (মাযহাব চতুষ্ঠয়ের মধ্যে) এক নির্দিষ্ট মাযহাবের অনুসরণ করা ওয়াজিব হবে? এ প্রশ্নের জবাবে আমি বলবো- হ্যাঁ, সে লোকের জন্য (মাযহাব চতুষ্ঠয়ের মধ্যে) এক নির্দিষ্ট ম বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
ওহাবী ফিরকার মুখপত্র ‘সত্যবাণী’ নামক একটি অখ্যাত বুলেটিনে “ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উৎসব ইসলামে নেই।” নামক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। যাতে তাদের কথিত আলিমরা পবিত্র “ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে যে সকল বক্তব্য প্রদান করেছে। তা হলো-
(২) কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফের কোথাও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত প্রদর্শনের জন্য জন্মবার্ষিকী পালনের কথা উল্লেখ নেই।
(৩) হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বি বাকি অংশ পড়ুন...
(১৮৩)
وكذا للعامى الانتقال من مذهب الى مذهب فى زماننا لا يجوز لظهور الخيانة.
অর্থ: বর্তমান যুগে সর্বসাধারণের জন্য এক মাযহাব ছেড়ে অন্য মাযহাব গ্রহণ করা নাজায়িয। কেননা, এমনটি করার দ্বারা দ্বীন ইসলাম উনার সাথে খিয়ানত বা ইহানত করা প্রকাশ পায়। (আত্ তাহরীর-হযরত আল্লামা মাওলানা বাহরুল উলূম রহমতুল্লাহি আলাইহি)
(১৮৪)
کہ مخالفت صاحب مذھب خود کردن نزد ھیچ کس روا نبود
অর্থ: আপন ইমাম উনার মাযহাবের খিলাফ করা কারো মতেই জায়িয নেই। এ কারণে সে পাপী হবে এবং এমনটি করা হারাম হবে। (কিমিয়ায়ে সায়াদাত- হযরত ইমাম গাযালী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি ২৩৫ পৃষ্ঠা)
(১৮৫)
اتفاق محصلات امت کہ ہو کہ بخلاف اجت বাকি অংশ পড়ুন...












