হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন:
দ্বীন ইসলাম উনার ফায়সালা সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিতে হবে
, ২৮ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১২ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) ফতওয়া বিভাগ
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মনিবের ইচ্ছা ও পছন্দনীয় বিষয় জানার পর গোলামের জন্যে তা মাথা পেতে নেয়া এবং সমস্ত বাতিল ও খোদাদ্রোহীদের সর্বপ্রকার যুক্তি-প্রমাণ ও নিজের কামনা-বাসনা পদদলিত করে মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুমকে সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করাই বাঞ্ছনীয়।
মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিশ্বাসী কোন মু’মিনের জন্যে এটা ক খনই সমীচীন নয় যে, সম্মানিত শরীয়ত উনার যে সমস্ত হুকুম তার মর্জি ও চাহিদা মোতাবেক হবে, সেগুলো সে মেনে চলবে আর যে সমস্ত হুকুম তার মর্জি ও ইচ্ছা বিরোধী হবে সেগুলো সে বর্জন করবে। তাই এদের পরিণাম সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি সতর্ক করে দিয়ে ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِاللهِ وَرُسُلِهِ وَيُرِيدُونَ أَن يُفَرِّقُوا بَيْنَ اللهِ وَرُسُلِهٖ وَيَقُوْلُوْنَ نُؤْمِنُ بِبَعْضٍ وَنَكْفُرُ بِبَعْضٍ وَيُرِيْدُوْنَ أَنْ يَّتَّخِذُوْا بَيْنَ ذٰلِكَ سَبِيْلًا . أُولٰئِكَ هُمُ الْكَافِرُوْنَ حَقًّا ۚ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِيْنَ عَذَابًا مُّهِيْنًا
অর্থাৎ যারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের হুকুমকে প্রত্যাখ্যান করে, মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি ঈমানের ব্যাপারে তারতম্য করতে চায় এবং তারা বলে, আমরা কতককে বিশ্বাস করি আর কতককে প্রত্যাখ্যান করি এবং এর মধ্যবর্তী কোন পথ অবলম্বন করতে চায়, প্রকৃতপক্ষে এরাই কাফির। আমি কাফিরদের জন্যে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫০, ১৫১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
مَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللهُ وَرَسُوْلُهٗ أَمْرًا أَنْ يَّكُوْنَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ ۗ وَمَنْ يَّعْصِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِيْنًا
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেসব বিষয়ে ফায়ছালা দিয়েছেন কোন মু’মিন পুরুষ কিংবা মু’মিন নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ফায়ছালা গ্রহণের অধিকার নেই। কেউ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাফরমানী করলে বা আদেশ-নিষেধ অমান্য করলে সেতো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
উপরে উল্লেখিত পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ থেকে স্পষ্ট জানা গেল যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম জানার পর তা মেনে নেয়া ছাড়া মু’মিনের কোন গত্যন্তর নেই। তাই কেউ যদি নিজস্ব দুর্বলতা, ভীরুতা কিংবা সামাজিক অসুবিধার কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুমসমূহ পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে না পারে, তাহলে সর্বদা নিজেকে অপরাধী মনে করবে এবং তওবা করতে থাকবে। সাথে সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে নেক আমলের আরজু ও শক্তি প্রার্থনা করবে। এটাই হলো সফলতা ও মুক্তির একমাত্র উপায়।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩১)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩০)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৯)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৮)
২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৭)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৬)
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৫)
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৪)
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৩)
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২২)
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২১)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২০)
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












