ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক-
পর্দা পালন করা ফরয এবং ছবি তোলা হারাম
, ২৯ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) ফতওয়া বিভাগ
قَالَ حَدَّثَنَا حَضْرَتِ الْأَعْمَشُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ مُسْلِمٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ كُنَّا مَعَ حَضْرَتْ مَسْرُوْقٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِيْ دَارِ حَضْرَتْ يَسَارِ بْنِ نُمَيْرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَرَأٰى فِيْ صُفَّتِهٖ تَمَاثِيْلَ فَقَالَ سَمِعْتُ حَضْرَتْ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ: اِنَّ اَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا عِنْدَ اللهِ يَوْمَ القِيَامَةِ الْمُصَوِّرُوْنَ.
অর্থ: হযরত আ’মাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি হযরত মাসরুক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সঙ্গে হযরত ইয়াসার ইবনে নুমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ঘরে ছিলাম, তিনি উনার ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকট শুনেছি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তি দিবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।” (বুখারী শরীফ ২য় খ-, পৃষ্ঠা ৮৮০)
অনুরুপভাবে পর্দা তরক করা যে স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রকাশ্য নাফরমানীর অন্তর্ভুক্ত।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَن حَضْرَتْ بُرَيْدَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْاِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عَلِيٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا حَضْرَتْ عَلِيُّ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ فَإِنَّ لَكَ الْأُوْلٰى وَلَيْسَتْ لَكَ الْاٰخِرَةُ.
অর্থ: “হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম! দৃষ্টিকে অনুসরণ করবেন না। প্রথম দৃষ্টি (যা অনিচ্ছা সত্ত্বে পতিত হয় তা) ক্ষমা করা হবে; কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না।” অর্থাৎ প্রতি দৃষ্টিতে একটি কবীরা গুণাহ্ লেখা হয়ে থাকে। (আহমদ, তিরমিযী শরীফ, আবু দাঊদ শরীফ, দারিমী, মিশকাত শরীফ)
মুজাদ্দিদে আযম রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পর্দাহীনতা ও ছবির প্রচলন এটা মুসলমানের ঈমান-আমল নষ্ট করার ক্ষেত্রে ইহুদী-নাছারাদের একটা বড় ষড়যন্ত্র।
কাফির মুশরিকদের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ঘোষণা করে দেন যাতে মুসলমানরা সাবধান, সতর্ক হতে পারে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَدَّ كَثِيرٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّوْنَكُمْ مِّنْ بَعْدِ إِيْمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِّنْ عِنْدِ أَنفُسِهِمْ.
অর্থ: আহলে কিতাব তথা ইহুদী-নাছারাদের অনেকেই হিংসামূলক মনোভাবের কারণে আকাঙ্খা করে যে, ঈমান আনার পর আবার তোমরা কাফির হও। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৯)
তাই মুসলমানদেরকে জাহান্নামী করার জন্য কাফির-মুশরিকরা উল্লেখযোগ্য হাতিয়ার হিসেবে ছবি ও বেপর্দা এ বিষয় দু’টিকে বেছে নিয়েছে আর মুসলমানরা তাদের সেই ষড়যন্ত্রের জালে পা দিয়ে জাহান্নামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩১)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩০)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৯)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৮)
২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৭)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৬)
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৫)
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৪)
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৩)
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২২)
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২১)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২০)
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












