সম্মানিত মাযহাব কতটি ও কি কি?
ফিক্হী মাযহাব চারটি আর আক্বায়িদী মাযহাব দুটি। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
আহলুস্ সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার ফিক্হী মাযহাব:
‘আহলুস্ সুন্নত ওয়াল জামায়াত’ তথা ‘আল ফিরক্বাতুন্ নাজিয়াহ’ ফিক্হী মাসয়ালার দৃষ্টিতে ৪ ভাগে বিভক্ত।
১. মাযহাবুল হানাফী বা হানাফী মাযহাব:
ইমামে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, তাবিয়ী হযরত ইমাম নু’মান বিন ছাবিত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ: ৮০ হিজরী, ওফাত শরীফ: ১৫০ হিজরী) উনার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাযহাব হচ্ছে ‘হানাফী মাযহাব’। ইহাই সর্বশ্রেষ্ঠ মাযহাব। সারাবিশ্বে ৯০ শতাং বাকি অংশ পড়ুন...
মূলত: মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পবিত্র ওহী মুবারক উনার মাধ্যমে নাযিলকৃত পূর্ণাঙ্গ মনোনীত জীবন ব্যবস্থাকে পবিত্র ইসলাম বলা হয়। আর যিনি পবিত্র ইসলাম উনাকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে মেনে নেন উনাকে মুসলিম বলা হয়।
৬. دين (দ্বীন): শব্দটি একবচন, এর বহুবচন اديان আদইয়ান। দ্বীন শব্দটিও মাযহাব শব্দের সমার্থবোধক। মাযহাব শব্দটির মতোই দ্বীন উনার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- দ্বীন, আক্বীদাহ, ইসলাম, বিশ্বাস, ধার্ বাকি অংশ পড়ুন...
৬৬. হাফিযুল্ হাদীছ (حافظ الحديث):
(১৪০-১৪১)
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগের পর যিনি সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ এক লক্ষ হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে ‘হাফিযুল্ হাদীছ’ বলে। মুফতী হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল্ ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত ‘মীযানুল্ আখবার’ কিতাবের বর্ণনা মতে, যিনি সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ এক হাজার হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে ‘হাফিযুল্ হাদীছ’ বলে। তবে, কেউ কেউ হাফিযুল্ হাদীছ হওয়ার জন্য ইলমে লাদুন্নী বাকি অংশ পড়ুন...
৪৩. مكروه تنزيهى (মাকরূহ তানযীহী):
(১১৭)
الْمَكْرُوه تَنْزِيهًا: وَهُوَ مَا كَانَ تَرْكُهُ أَوْلَى مِنْ فِعْلِهِ، وَيُرَادِفُ خِلَافَ الْأَوْلَى.
অর্থ: যে কাজ করার চেয়ে তরক করাই উত্তম তাই মাকরূহ তানযীহী। একইভাবে যা উত্তমতার বিপরীত তাই মাকরূহ তানযীহী। (হাশিয়াতু রদ্দিল মুহতার আলাদ্ দুররিল্ মুখতার শরহে তানবীরুল আবছার-আল্লামা হযরত ইবনু আবিদীন মুহম্মদ আমীন বিন উমর শামী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ১২৫২ হিজরী পরিচ্ছেদ: উযুর সুন্নত অনুচ্ছেদ: মাকরূহ পরিচিতি)
৪৪. النفاق (নিফাক্ব বা মুনাফিক্বী):
(১১৮)
النفاق فى الدين: هو ستر الرجل كفره بقلبه و اظهاره ايمانه بلسانه فهو منافق.
অর্থ: পবি বাকি অংশ পড়ুন...
৩৭. الـمستحب (আল্ মুস্তাহাব):
(১০৯)
الـمستحب: اسم لـما شُرع زيادة على الفرائض والواجبات وقيل الـمستحب ما رغّب فيه الشارع ولـم يوجبه.
অর্থ: পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়- যা অবশ্য পালনীয় নয় এবং যা ফরজ ও ওয়াজিব থেকে অতিরিক্ত তাকেই মুস্তাহাব বলা হয়ে থাকে। কতক উলামায়ে কিরাম উনাদের মতে- শরীয়ত প্রণেতা যে বিষয় পালন করতে উৎসাহিত করেছেন এবং যা ফরজ-ওয়াজিব নয় তাকেই মুস্তাহাব বলা হয়ে থাকে। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব: ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ: মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ৪৮৩ প বাকি অংশ পড়ুন...
৩২. اَلْفِسْقُ (আল্ ফিস্ক্ব):
(৯৮)
الفسق: فى اللغة عدم اطاعة امر الله، وفى الشرع ارتكاب الـمسلم كبيرة قصدا اوصغيرة مع الاصرار عليها بلا تأويل.
অর্থ: (আল্ ফিস্ক্ব): আভিধানিক অর্থে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নির্দেশ মুবারক উনার আনুগত্যের বিপরীত কাজ করা ফিস্ক্ব। আর ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়- শরীয়ত উনার মুরতাকিব (শরীয়ত উনার নির্দেশ পালনে বাধ্য) মুসলিম ব্যক্তি কর্তৃক ইচ্ছাকৃত কবীরাহ গুনাহ এবং বারবার ছগীরাহ গুনাহ করাকে ফিস্ক্ব বা ফাসিক্বী বলা হয়। (আত্ তা’রীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ: মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ৪১২ প বাকি অংশ পড়ুন...
(৮৮)
الاستحسان ترك القياس والاخذ بما هو رفق للناس.
অর্থ: জাহির বা প্রকাশ্য বিষয় গ্রহণ না করে আভ্যন্তরীণ বা হাক্বীক্বতকে গ্রহণ করে জনগণের কল্যাণের সাথে সাদৃশ্যশীল পন্থা গ্রহণকেই ইস্তিহ্সান বলা হয়। (আহসানুল মানার ফী হাল্লে নূরিল আনওয়ার ৩৭০)
(৮৯-৯০)
الاستحسان هو ترك القياس والاخذ بما هو ارفق للناس قال السيد هو فى اللغة عد الشىء واعتقاده حسنا واصطلاحا هو اسم لدليل من الادلة الاربعة يعارض القياس الجلى ويعمل به اذا كان اقوى منه وسموه بذلك لانه فى الاغلب يكون اقوى من القياس الجلى فيكون قياسا مستحسنا قال الله تعالى "فبشر عبادى الذين يستمعون القول فيتبعون احسنه" قال البزدوى هو احد القياسين والمراد بالاستحسان فى كتاب الاستحسان استخراج المسائل الحسان.
অর্থ: জাহির বা প্রকাশ বাকি অংশ পড়ুন...
২৫. اَلْاِمَامُ (আল্ ইমাম):
(৭৬)
الامام هو الذى له الرياسة العامة فى الدين والدنيا جميعا فى الامامة الكبرى والخليفة عند الـمتكلمين ومن يقتدى به فى الصلوة فى الامامة الصغرى.
অর্থ: যিনি দ্বীনি ও দুনিয়াবী ব্যাপারে ব্যাপকভাবে নেতৃত্ব দেন উনাকে ইমাম বলা হয়। উনাকে ইমামাতুল কুবরাও বলা হয়। আক্বায়িদ বিশারদগণের মতে এমন ইমাম উনাকে খলীফাও বলা হয়ে থাকে। আর ছলাত বা নামাযে যাঁর ইক্তিদা করা হয় এমন ইমামতকে ইমামতে ছুগরা বলা হয়ে থাকে। (আত্ তা’রীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ-মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহ্সান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১৯০ পৃষ্ঠা)
২৬. اَلْمُجْتَهِدُ(আল্ মুজতাহ বাকি অংশ পড়ুন...
১৯. عبادة (ইবাদত): শব্দটির শাব্দিক অর্থ গোলামী, উপাসনা, বন্দেগী, ইবাদত, বিনয়ের সাথে আনুগত্য ইত্যাদি।
ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় ইবাদত উনার পরিচিতি:
(৫৪)
العبادة وهى نهاية التعظيم لله تعالى.
অর্থ: শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনাকে সর্বোচ্চ সম্মান দেখানোর আনুগত্যকে ইবাদত বলা হয়। (আফরাতুল মাওয়ারিদ ফী ফুছাহিল আরাবিয়াহ ওয়াশ শাওয়ারিদ সাঈদুল খাওরী শারতূনী লেবাননী ২য় খ- ৭৩৬ পৃষ্ঠা)
عبادة ইবাদত শব্দটি মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য উনার ব্যাপারে খাছ। যিনি ইবাদত করেন তিনি আব্দ। আর যাঁর ইবাদত করা হয় তিনি معبود মা’বূদ। মহান আল্লাহ পাক তিনি একমাত্রই মা’বূদ বাকি অংশ পড়ুন...
(৪৯)
الاسلام هو الدين الذى نزله الله على محمد صلى الله عليه وسلم.
অর্থ: মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যে পরিপূর্ণ পবিত্র দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) নাযিল করেছেন, তাকেই পবিত্র ইসলাম বলা হয়। (আল মু’জামুল ওয়াজিয ৩১৯ পৃষ্ঠা)
মূলত: মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট ওহী মুবারকের মাধ্যমে নাযিলকৃত পূর্ণাঙ্গ মনোনীত জীবন ব্যবস্থাকে পবিত্র ইসলাম বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য বর্ণনা:
হযরত খাজা নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সম্মানিত পীর ছাহিব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নির্দেশিত কোন কাজ যদি মুরীদের জন্য কঠিন মনে হয়, কিংবা মনে সন্দেহের উদ্রেক করে, তা হলে সে মুরীদ সবর করবে এবং ভক্তি ও বিশ্বাস নষ্ট করবে না। হয়ত এর রহস্য পরে তার নিকট প্রকাশ হয়ে পড়বে। আর যদি মুরীদের প্রাথমিক অবস্থায় এরূপ ঘটে এবং তার সবর করার শক্তি না থাকে, তাহলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট তা জিজ্ঞাসা করা উচিত। এইরূপ জিজ্ঞাসা হালাল অর্থাৎ যুক্তিসঙ্গত। তবে যদি সালিকের মা’রিফাত হাছিলের মধ্যপথে এইরূপ ঘট বাকি অংশ পড়ুন...
(২৩)
الفقه فى علم الشريعة الاسلامية اصول الدين.
অর্থ: ইসলামী শরীয়ত উনার (পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও পবিত্র ক্বিয়াস উনাদের) পূর্ণ জ্ঞান অর্জনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতিকে ফিক্বহ বলা হয়। (আল মু’জামুল ওয়াজীয- ডক্টর ইবরাহীম মাদকূর ৪৭৮ পৃষ্ঠা)
(২৪)
وقد يطلق الفقه على علم النفس بما لها وما عليها، فيشتمل جميع العلوم الدينية، ولذا سمى ابو حنيفة رحمه الله الكلام بالفقه الاكبر.
অর্থ: মূলতঃ কল্যাণময় ও ক্ষতিকর বিষয়ের ব্যাপারে অন্তরের উপলব্ধিকে ফিক্বহ বলা হয়। এক্ষেত্রে সকল প্রকার পবিত্র দ্বীনী শিক্ষা ফিক্বহের অন্তর্ভুক্ত। এজন্যই হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা বাকি অংশ পড়ুন...












