ফতওয়া
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (১৩)
, ৩রা রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৯ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৮ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ১৩ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) ফতওয়া বিভাগ
২৫. اَلْاِمَامُ (আল্ ইমাম):
(৭৬)
الامام هو الذى له الرياسة العامة فى الدين والدنيا جميعا فى الامامة الكبرى والخليفة عند الـمتكلمين ومن يقتدى به فى الصلوة فى الامامة الصغرى.
অর্থ: যিনি দ্বীনি ও দুনিয়াবী ব্যাপারে ব্যাপকভাবে নেতৃত্ব দেন উনাকে ইমাম বলা হয়। উনাকে ইমামাতুল কুবরাও বলা হয়। আক্বায়িদ বিশারদগণের মতে এমন ইমাম উনাকে খলীফাও বলা হয়ে থাকে। আর ছলাত বা নামাযে যাঁর ইক্তিদা করা হয় এমন ইমামতকে ইমামতে ছুগরা বলা হয়ে থাকে। (আত্ তা’রীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ-মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহ্সান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১৯০ পৃষ্ঠা)
২৬. اَلْمُجْتَهِدُ(আল্ মুজতাহিদ):
(৭৭-৭৮)
من يحوى علم الكتاب ووجوه معانيه و علم السنة بطرقها و متونها ووجوه معانيها ويكون مصيبا فى القياس عالما بعرف الناس.
অর্থ: কিতাবুল্লাহ তথা পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার থেকে এবং পবিত্র সুন্নাহ শরীফ তথা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মতন থেকে নিগুঢ় অর্থসহ যিনি ইলিম অর্জন করেন অর্থাৎ মাসয়ালা বের করেন উনাকে মুজতাহিদ বলা হয়। আর উনার ক্বিয়াসটি বিশুদ্ধ হয়, এর ভিত্তিতে তিনি আলিম হিসেবে প্রসিদ্ধ হন। (আত্ তা’রীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ-মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহ্সান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ৪৬৫ পৃষ্ঠা, কানযুল উছূল্ ইলা মা’রিফাতিল উছূল তথা উছূলুল্ বায্দুবী- ইমাম ফখরুল ইসলাম আলী বিন্ মুহম্মদ বায্দুবী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ৪৮২ হিজরী ২৭৮ পৃষ্ঠা)
(৭৯-৮০)
الـمجتهد: هو الفقيه الـمستفرغ لوسعه لتحصيل ظن بحكم شرعىّ.
অর্থ: মুজতাহিদ এমন ফক্বীহ যিনি পবিত্র কুরআন মাজীদ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের থেকে ফিকির করে শরয়ী বিধি-বিধান বের করেন। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব- ডক্টর ইবরাহীম মাদ্কূর ১৪২ পৃষ্ঠা, আল্ মু’জামুল্ ওয়াজীয- ডক্টর ইবরাহীম মাদ্কূর ১২২ পৃষ্ঠা)
২৭. اَلْاِجْتِهَادُ (আল্ ইজতিহাদ):
(৮১)
الاجتهاد ان يحوى علم الكتاب بمعانيه.
অর্থ: কিতাবুল্লাহ তথা পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার থেকে নিগুঢ় অর্থসহ ইলিম অর্জন করাকে ইজতিহাদ বলা হয়। (আল্ মানার-আল্লামা আব্দুল্লাহ বিন্ আহমদ বিন্ মুহম্মদ আবুল বারাকাত নাসাফী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ২৪৬ পৃষ্ঠা)
(৮২)
الاجتهاد ان يحوى علم الكتاب بمعانيه اللغوية واللشرعية.
অর্থ: কিতাবুল্লাহ তথা পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার থেকে লুগাবী ও শরয়ী নিগুঢ় অর্থসহ ইলিম অর্জন করাকে ইজতিহাদ বলা হয়। (নূরুল আনওয়ার আলাল্ মানার-আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ২৪৬ পৃষ্ঠা)
(৮৩)
الاجتهاد: فى اللغة بذل الوسع و فى الاصطلاح استفراغ الفقيه الوسع ليحصل له الظن بحكم شرعىّ.
অর্থ: ইজতিহাদ শব্দের লুগাতী অর্থ- চেষ্টা করা। আর শরীয়তের পরিভাষায় ফক্বীহ কর্তৃক পবিত্র কুরআন মাজীদ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের থেকে ফিকির করে শরয়ী বিধি-বিধান বের করাকে ইজতিহাদ বলা হয়। (আত্ তা’রীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ-মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহ্সান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১৬০ পৃষ্ঠা)
(৮৪-৮৫)
الاجتهاد فى الاصطلاح الفقهى: استفراغ الفقيه الوسع ليحصل له ظن بحكم شرعىّ.
অর্থ: ফিক্হী পরিভাষায় ফক্বীহ কর্তৃক পবিত্র কুরআন মাজীদ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের থেকে ফিকির করে শরয়ী বিধি-বিধান বের করাকে ইজতিহাদ বলা হয়। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব- ডক্টর ইবরাহীম মাদ্কূর ১৪২ পৃষ্ঠা, আল্ মু’জামুল্ ওয়াজীয- ডক্টর ইবরাহীম মাদ্কূর ১২২ পৃষ্ঠা)
২৮. اَلْاِسْتِحْسَانُ (আল্ ইস্তিহ্সান):
(৮৬)
وانما الاستحسان عندنا احد القياسين.
অর্থ: দু’প্রকার ক্বিয়াসের একপ্রকার (ক্বিয়াসে খফী)কে ইসতিহসান বলা হয়। (কানযুল উছূল্ ইলা মা’রিফাতিল উছূল তথা উছূলুল্ বায্দুবী- ইমাম ফখরুল ইসলাম আলী বিন্ মুহম্মদ বায্দুবী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ৪৮২ হিজরী ২৭৬ পৃষ্ঠা)
(৮৭)
الاستحسان طلب السهولة فى الاحكام فيما يبتلى فيه الخاص و العام.
অর্থ: বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে বিশেষ ও সর্বসাধারণ জড়িত তাতে সহজতা গ্রহণ করাই হলো ইস্তিহ্সান। (আল্ মাব্সূত ১ম খন্ড ১৪৫ পৃষ্ঠা, আহসানুল মানার ফী হাল্লে নূরিল আনওয়ার) (মাসিক আল বাইয়্যিনাত থেকে সংকলিত। ) (চলবে)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩১)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩০)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৯)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৮)
২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৭)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৬)
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৫)
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৪)
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৩)
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২২)
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২১)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২০)
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












