ফতওয়া
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (১৪)
, ২০ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৬ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) ফতওয়া বিভাগ
(৮৮)
الاستحسان ترك القياس والاخذ بما هو رفق للناس.
অর্থ: জাহির বা প্রকাশ্য বিষয় গ্রহণ না করে আভ্যন্তরীণ বা হাক্বীক্বতকে গ্রহণ করে জনগণের কল্যাণের সাথে সাদৃশ্যশীল পন্থা গ্রহণকেই ইস্তিহ্সান বলা হয়। (আহসানুল মানার ফী হাল্লে নূরিল আনওয়ার ৩৭০)
(৮৯-৯০)
الاستحسان هو ترك القياس والاخذ بما هو ارفق للناس قال السيد هو فى اللغة عد الشىء واعتقاده حسنا واصطلاحا هو اسم لدليل من الادلة الاربعة يعارض القياس الجلى ويعمل به اذا كان اقوى منه وسموه بذلك لانه فى الاغلب يكون اقوى من القياس الجلى فيكون قياسا مستحسنا قال الله تعالى "فبشر عبادى الذين يستمعون القول فيتبعون احسنه" قال البزدوى هو احد القياسين والمراد بالاستحسان فى كتاب الاستحسان استخراج المسائل الحسان.
অর্থ: জাহির বা প্রকাশ্য বিষয় গ্রহণ না করে আভ্যন্তরীণ বা হাক্বীক্বতকে গ্রহণ করে জনগণের কল্যাণের সাথে সাদৃশ্যশীল পন্থা গ্রহণকেই ইস্তিহ্সান বলা হয়। সাইয়্যিদ বলেছেন, আভিধানিক অর্থে কোন বিষয়কে উত্তম-ভালো মনে করাই ইস্তিহ্সান। আর ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়, জাহির বা প্রকাশ্য বিষয় গ্রহণ না করে আভ্যন্তরীণ বা হাক্বীক্বতকে গ্রহণ করে উৎকৃষ্ট ভেবে যার উপর আমল করা হয় তাকে ইস্তিহ্সান বলে। ইহা ক্বিয়াসে জলী থেকে অগ্রগন্য ও শক্তিশালী বলেই একে ইস্তিহ্সান বলে নামকরণ করা হয়েছে। তাই তা মুস্তাহ্সান বা উৎকৃষ্ট ক্বিয়াস হিসেবে পরিণত হয়েছে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনি ঐ সমস্ত বান্দাদেরকে উপদেশ দিন যারা উপদেশ শ্রবণ করে এবং তা উত্তমভাবে অনুসরণ করে। ” হযরত ইমাম বায্দুবী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, দু’প্রকার ক্বিয়াসের একপ্রকার (ক্বিয়াসে খফী)কে ইস্তিহ্সান বলা হয়। ‘কিতাবুল্ ইস্তিহ্সান’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে, সর্বসাধারণের কল্যাণমূলক সহজ মাসয়ালা নির্ণয় করাকে ইস্তিহ্সান বলা হয়। (আত্ তা’রীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ-মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহ্সান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১৭১ পৃষ্ঠা)
২৯. التوحيد (আত্ তাওহীদ):
(৯১-৯৩)
(التوحيد): الايمان بالله تعالى وحده لا شريك له. والتوحيد (فى اصطلاح اهل الحقيقة): تجريد الذات الالـهية عن كل ما يُتَصَوَّرُ فى الافهام ويُتَخَيَّلُ فى الاوهام والاذهان.
অর্থ: (তাওহীদ): মহান আল্লাহ পাক তিনি এক উনার কোন শরীক নেই, এ কথার প্রতি বিশ্বাস করাকেই তাওহীদ বলা হয়। আক্বায়িদ বিশারদ উনাদের পরিভাষায় তাওহীদ হচ্ছে: আফহাম (বুঝসমূহ) উনার কল্পনা এবং চিন্তা চেতনা ও মেধাশক্তি উনার খেয়াল থেকে একমাত্র ইলাহ আল্লাহ তায়ালা উনাকে পবিত্র জানাকেই তাওহীদ বলে। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব: ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ১০১৬ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ: মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ২৪০ পৃষ্ঠা, আল্ মু’জামুল ওয়াজীয: ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৬২ পৃষ্ঠা)
৩০. الشرك (আশ্ শিরক):
(৯৪-৯৫)
الشرك: اعتقاد تعدد الالـهة.
অর্থ: মহান রব্বুল আলামীন তিনি ব্যতীত আরো এক বা একাধিক ইলাহ বা মা’বূদ আছে বলে বিশ্বাস করাকে শিরক তথা অংশীদারিত্ব বলে। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব ৪৮০ পৃষ্ঠা ও আল্ মু’জামুল ওয়াজীয ৩৪২ পৃষ্ঠা: ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর)
৩১. الايمان (আল্ ঈমান):
(৯৬)
الايمان: بكسر فى اللغة التصديق بالقلب، وفى الشرع هو الاعتقاد بالقلب والاقرار باللسان، قيل من شهد وعمل ولـم يعتقد فهو منافق ومن شهد ولـم يعمل واعتقد فهو فاسق ومن اخل من الشهادة فهو كافر.
অর্থ: (ঈমান): শব্দটির শুরুর বর্ণে যের দিয়ে পড়তে হবে। আভিধানিক দৃষ্টিতে শুধু অন্তরের বিশ্বাসই ঈমান। আর পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়- আক্বায়িদের বিষয়সমূহকে অন্তরে বিশ্বাস করা ও তা জবানে স্বীকৃতি দেয়াকে ঈমান বলা হয়। ফতওয়া দেয়া হয়েছে যে- যেই ব্যক্তি মুখে সাক্ষ্য দেয় ও আমল করে কিন্তু অন্তরে কুফরী পোষণ করে সে মুনাফিক। যে মৌখিক সাক্ষ্য দেয় আমল করে না কিন্তু অন্তরে বিশ্বাস করে, সে ফাসিক। আর যে অন্তরে ও মৌখিকভাবে সাক্ষ্য দেয় না, সে ব্যক্তি কাফির। (আত্ তা’রীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ: মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ২০০ পৃষ্ঠা)
৩১. الكفر (আল্ কুফর):
(৯৭)
الكفر: لغة الستر ويقابله الشكر، و شرعا هو تكذيب النبى صلى الله عليه وسلم (نعوذ بالله) فى شئ مما جاء به من الدين ضرورة.
অর্থ: (আল্ কুফর): শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো- গোপন করা, ঢেকে ফেলা, অস্বীকার করা ইত্যাদি। আর কুফর বা অস্বীকৃতির বিপরীত হচ্ছে শোকর বা কৃতজ্ঞতা। পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিকট থেকে জরুরী যে দ্বীন ইসলাম নিয়ে এসেছেন উনাকে মিথ্যা মনে করাকে কুফর বলে। (আত্ তা’রীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ: মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ৪৪৫ পৃষ্ঠা) (মাসিক আল বাইয়্যিনাত থেকে সংকলিত। ) (চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩১)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩০)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৯)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৮)
২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৭)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৬)
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৫)
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৪)
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৩)
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২২)
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২১)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২০)
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












