ফতওয়া
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৯)
, ২৯ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) ফতওয়া বিভাগ
কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিব, আর এর চেয়ে কমে কাটা ও মু-ন করা হারাম হওয়ার অকাট্য দলীলসমূহ:
(১২-১৩)
وقد قام الدليل على وجوب اعفاء اللحية وقص الشارب وهو ما رواه احمد والنسائى والترمذى وقال حديث صحيح عن زيد بن ارقم رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم من لـم ياخذ شاربه فليس منا- وعن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلـم جزوا الشوارب وارخوا اللحى خالفوا الـمجوس رواه احمد ومسلـم وعن ابن عمر رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلـم خالفوا الـمشركين وفروا اللحى واحفوا الشوارب (متفق عليه) زاد البخارى وكان ابن عمر رضى الله عنه اذا حج اواعتمر قبض على الحيته فما فضل اخذ- وكذا فى النيل الاوطار-১-১১১ والامر للوجوب كما تقرر فى الاصول= (تفسير احكام القران للشفيع ج১ صفه৬৫)
অর্থ: দাড়ি লম্বা করা ওয়াজিব হওয়া ও মোঁছ ছোট করার দলীল এই যে, যা আহমদ শরীফ, নাসাঈ শরীফ, তিরমিযী শরীফ উনাদের মধ্যে হযরত যায়িদ ইবনে আরক্বাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে ছহীহ হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যে নিজ মোঁছ ছোট করে না, সে আমার দলভুক্ত নয়। আর হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “গোঁফ ছোট করো, দাড়ি লম্বা করো, মজুসীদের বিপরীত করো। ইহা আহমদ ও মুসলিম বর্ণনা করেন। হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, “মুশরিকদের বিরোধিতা করো, দাড়ি লম্বা করো, গোঁফ ছোট করো। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)
হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ইহা বাড়িয়ে বর্ণনা করেন যে, হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যখন পবিত্র হজ্জ ও উমরাহ্ পালন করতেন, তখন নিজ দাড়ি মুবারক মুষ্ঠিতে আবদ্ধ করে অতিরিক্তগুলো ছেটে ফেলতেন। অনুরূপ নাইলুল আওতার ১ম খ-ের ১১১ পৃষ্ঠাতে উল্লেখ আছে। আর (امر) আদেশটা ওয়াজিবের জন্যে ব্যবহৃত হয়। যা উছূলের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে। (তাফসীরে আহকামুল কুরআন লিশ শফী, ১ম খ-, পৃষ্ঠা-৬৫)
(১৪-১৬)
من تنقيح الفتاوى الحامدية ج১ صفه ৩৬৯- ولـما بعث باذان اليمن كتاب كسرى الى النبى صلى الله عليه وسلـم مع قهر مانه وبعث معه رجلا اخر من الفرس- فلـما قدما عليه صلى الله عليه وسلـم الـمدينة وكانا على ذى الفرس من الحاهم واعفاء شواربهم كره رسول الله صلى الله النظر اليهما- ثم قال لهما ويلكما من امر كما بهذا قالا امرنا ربنا يعينان كرى- فقال رسول الله صلى الله عليه وسلـم- ولكن امرنى ربى باعفاء لحيتى وقص شاربى= (كذا فى السيرة الحلبية ج৩ صفه৭= وفيه دلالة واى دلالة على انه صلى الله عليه وسلـم كره ذالك للكفار فضلا عن الـمسلـمين وكره النظر الى من حلق للحية ووفر الشوارب. (تفسير احكام القران للشفيع ج১ صفه৬৬)
অর্থ: ফতওয়ায়ে হামিদিয়াহ ১ম খ- ৩৬৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, যখন কিসরার শাসক ইয়েমেনের গভর্ণর বাজানেক অন্য একজন পারস্য লোকসহ চিঠি দিয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে পাঠালো। তারা উভয়ে যখন পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মুখে উপস্থিত হলো- মূলত তারা ছিল পারস্যের অধিবাসী, তাদের দাড়ি ছোট ছিল ও মোঁছ দীর্ঘ ছিল। (তাই) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের দিকে দৃষ্টি করতে অপছন্দ করলেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের সর্বনাশ হোক, তোমাদেরকে এ আকৃতি ধারণ করতে কে নির্দেশ দিয়েছে” তারা বললো, আমাদের প্রভু কিসরার শাসক আমাদেরকে এ আকৃতি ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছে। (একথা শুনে) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, কিন্তু আমার রব তায়ালা তিনি আমাকে দাড়ি লম্বা করার ও মোঁছ ছোট করার নির্দেশ দিয়েছেন। (অনুরূপ সীরাতে হালবিয়াতে উল্লেখ আছে) উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দাড়ি কেটে ফেলা ও মোঁছ লম্বা করাকে কাফিরের জন্যেও অপছন্দ করেছেন। যা মুসলমানদের জন্যে আরো বেশি অপছন্দের কারণ। (শুধু তাই নয়) যারা দাড়ি মু-ন করেছে ও মোঁছ লম্বা রেখেছে, তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করতেও অপছন্দ করেছেন। (তাফসীরে আহকামুল কুরআন লিশ শফী ১ম খ- ৬৬ পৃষ্ঠা)
(মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার ফতওয়া বিভাগ থেকে সংকলিত। )
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৬)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫)
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৩)
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৮)
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫)
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৪)
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩)
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩)
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩)
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২২)
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১)
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)