ফতওয়া
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (২২)
, ২৪ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৪ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ২৩ মে, ২০২৫ খ্রি:, ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) ফতওয়া বিভাগ
কুরবানী সংক্রান্ত সমস্ত হাদীছ শরীফই ছহীহ
উছূলে হাদীছ শরীফ সম্পর্কে যাদের প্রাথমিক ধারণা আছে তারাও জানে যে, কোনো দুর্বল হাদীছ শরীফ উনার সমর্থনে যদি ছহীহ হাদীছ শরীফ পাওয়া যায়, তাহলে সেই হাদীছ শরীফও ছহীহর আওতাভুক্ত হয়ে যায়, আর দুর্বল থাকেনা। সেই হিসেবেও পবিত্র ওছিয়ত কুরবানী সম্পর্কিত সমস্ত পবিত্র হাদীছ শরীফই ছহীহ। কেননা এই সংক্রান্ত পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ উনাদের সমর্থনে ছহীহ হাদীছ শরীফ বিদ্যমান রয়েছে।
১ম দলীল
ইমামুল মুহাদ্দিছীন, হাফিযুল হাদীছ হযরত ইমাম হাকিম নিশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৪০৫ হিজরী) তিনি যেই পবিত্র হাদীছ শরীফ খানা উনাকে ছহীহ বলেছেন। হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মিশকাত শরীফের বিখ্যাত শরাহগ্রন্থ ‘মিরক্বাতুল মাফাতীহ’ উনার মধ্যে তা বর্ণনা করেছেন। হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وَفِىْ رِوَايَةٍ صَحَّحَهَا الْحَاكِمُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّهٗ كَانَ يُضَحِّىْ بِكَبْشَيْنِ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِكَبْشَيْنِ عَنْ نَـفْسِهٖ وَقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَمَرَنِىْ اَنْ اُضَحِّىَ عَنْهُ اَبَدًا فَاَنَا اُضَحِّىْ عَنْهُ اَبَدًا
“অন্য বর্ণনায় রয়েছে, হযরত ইমাম হাকিম নিশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যাকে ছহীহ বলেছেন। তাহলো নিশ্চয়ই ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে দু’টি কুরবানী মুবারক করতেন এবং উনার নিজের পক্ষ থেকে দু’টি কুরবানী মুবারক করতেন। আর তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে সম্মানিত আদেশ মুবারক করেছেন, আমি যেন সব সময়, অনন্তকাল উনার পক্ষ থেকে কুরবানী মুবারক করি। তাই আমি সব সময় উনার পক্ষ থেকে কুরবানী মুবারক করি।” সুবহানাল্লাহ! (মিরকাতুল মাফাতীহ ৩/১০৮৪)
২য় দলীল
ছিহাহ সিত্তার অন্যতম কিতাব আবূ দাঊদ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘আউনুল মা’বূদে’ উল্লেখ আছে-
قَالَ حَضْرَتْ اَلْقَارِىُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِى الْمِرْقَاةِ وَفِىْ رِوَايَةٍ صَحَّحَهَا الْحَاكِمُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّهٗ كَانَ يُضَحِّىْ بِكَبْشَيْنِ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِكَبْشَيْنِ عَنْ نَـفْسِهٖ وَقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَمَرَنِىْ اَنْ اُضَحِّىَ عَنْهُ اَبَدًا فَاَنَا اُضَحِّىْ عَنْهُ اَبَدًا
“হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মিরক্বাত কিতাবে উল্লেখ করেছেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে। হযরত ইমাম হাকিম নিশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যাকে ছহীহ বলেছেন। তা হলো নিশ্চয়ই ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে দু’টি কুরবানী মুবারক করতেন এবং উনার নিজের পক্ষ থেকে দু’টি কুরবানী মুবারক করতেন। আর তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে সম্মানিত আদেশ মুবারক করেছেন, আমি যেন সব সময়, অনন্তকাল উনার পক্ষ থেকে কুরবানী মুবারক করি। তাই আমি সব সময় উনার পক্ষ থেকে কুরবানী মুবারক করি।” সুবহানাল্লাহ! (আউনুল মা’বূদ ৭/৩৪৪)
(অপেক্ষায় থাকুন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩১)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩০)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৯)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৮)
২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৭)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৬)
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৫)
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৪)
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২৩)
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২২)
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২১)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২০)
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












