ফতওয়া-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (১)
, ০৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০১ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ৩১ মে, ২০২৫ খ্রি:, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) ফতওয়া বিভাগ

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:
نَـحْمَدُهٗ وَنُصَلِّـىْ وَنُسَلِّـمُ عَلـٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْـمِ وَعَلـٰى وَالِدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْـمُؤْمِنِيْـنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. اَمَّا بَـعْدُ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَاَيْتُ اِمَامَ الْاَوَّلِ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُضَحِّىْ بِكَبْشَيْـنِ فَـقُلْتُ لَهٗ مَا هٰذَا فَـقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصَانِـىْ اَنْ اُضَحِّىَ عَنْهُ فَاَنَا اُضَحِّىْ عَنْهُ
“বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত হানাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে আমি দুটি দুম্বা সম্মানিত কুরবানী মুবারক করতে দেখে জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কি? (দুটি কেন্?) জবাবে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে সম্মানিত ওছিয়ত মুবারক করেছেন যে, আমি যেন উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক করি। তাই আমি উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক করছি। ” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)
এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, সাধারণ একজন উম্মত যদি তার সন্তানকে ওছিয়ত করে, তাহলে সন্তানের জন্য সেই ওছিয়ত পূর্ণ করা ফরয-ওয়াজিব হয়ে যায়। সন্তান যদি সামর্থ থাকা সত্ত্বেও সেই ওছিয়ত পূর্ণ না করে, তাহলে সে গুনাহগার হবে।
একজন পিতার ওছিয়ত পালন না করলে সন্তান যদি গুনাহগার হয়, তাহলে যিনি সমস্ত সৃষ্টির মালিক, যিনি না হলে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রবূবিয়াত মুবারকই প্রকাশ করতেন না। তাহলে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ওছিয়ত মুবারক পালনের গুরুত্ব কত বেশি? আর তা পালন না করলে কত বড় গুনাহগার হবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার পক্ষ থেকে আবাদুল আবাদ বা অনন্তকাল যাবৎ কুরবানী করার জন্য উম্মতের প্রতি আদেশ মুবারক করেছেন। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ اَمَرَنِـىْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنْ اُضَحِّىَ عَنْهُ فَاَنَا اُضَحِّىْ عَنْهُ اَبَدًا
“বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত হানাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে সম্মানিত আদেশ মুবারক ও নির্দেশ মুবারক করেছেন আমি যেন উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক অনন্তকাল ধরে করি অর্থাৎ আবাদুল আবাদ ধরে যেন করি। সেজন্য আমি সব সময় অর্থাৎ দায়িমীভাবে প্রতি বছর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক করি। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমাদ ১/১০৭, ফাদ্বাইলুছ ছাহাবা লি আহমাদ ইবনে হাম্বল ২/৬৯৮)
উল্লেখ্য যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে أَبَدًا অর্থাৎ অনন্তকাল ধরে দায়িমীভাবে প্রতি বছর সম্মানিত কুরবানী মুবারক করার জন্য সম্মানিত আদেশ মুবারক ও ওছিয়ত মুবারক করেছেন। তাই, ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি যতদিন যমীনে ছিলেন ততদিন অর্থাৎ দিদার মুবারকে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রতি বছর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ মুবারক ও ওছিয়ত মুবারক অনুযায়ী উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে হযরত ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি তো আবাদুল আবাদ যমীনে থাকবেন না, তাহলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ ও ওছিয়ত মুবারক আবাদুল আবাদ পর্যন্ত কিভাবে জারী থাকবে? তা আবাদুল আবাদ পর্যন্ত জারী রাখার লক্ষ্যেই হযরত ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি তা উম্মতকে জানিয়ে দিয়েছেন। উম্মত যেন তা আবাদুল আবাদ জারী রাখে। অতএব উম্মতের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে তা জারী রাখা।
কারণ, নূরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ মুবারক, ওছিয়ত মুবারক ও সুন্নত মুবারক পালন করা ফরয, যা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَاۤ اٰتٰىكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَـهٰىكُمْ عَنْهُ فَانْـتَـهُوْا وَاتَّـقُوا اللهَ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেন, তা আঁকড়িয়ে ধরো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তা থেকে বিরত থাকো। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠোর শাস্তিদাতা। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ: ৭)
অতএব, এই সমস্ত ক্বেতঈ দলীল মুবারক দ্বারাই নূরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে উম্মতের জন্য কুরবানী করা ফরয সাব্যস্ত বা ছাবিত বা প্রমাণিত হয়েছে। তাই, সমস্ত উম্মতের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে, দায়িমীভাবে প্রতি বছর অনন্তকাল ধরে বংশ পরম্পরায় একজনের পর আরেকজন অর্থাৎ ইন্তেকালের পর তার পরবর্তী বংশধরগণ আবাদুল আবাদ অর্থাৎ ক্বিয়ামত পর্যন্ত ফরয কুরবানী করে যেতেই থাকতে হবে, অর্থাৎ আবাদুল-আবাদ জারী রাখবে ও রাখতে হবে। কোনো মতেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক করা বন্ধ রাখতে পারবে না বা বন্ধ করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ! এমনকি যাদের সামর্থ নেই, তাদের জন্য দায়িত্ব হচ্ছে- ১০ জন, ২০ জন, ৩০ জন, ৪০ জন, ৫০ জন মিলে হলেও অথবা প্রয়োজন হলে ঋণ করে হলেও উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, উম্মতের খায়ের-বরকত ও ভালাইয়ের জন্যই এই সম্মানিত আদেশ মুবারক ও ওছিয়ত মুবারক করা হয়েছে। এই সম্মানিত কুরবানী মুবারক উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একজন সাধারণ আদনা ও গুনাহগার উম্মতের বিশেষ নিসবত মুবারক হাছিল হবে। যা তার ইহকালীন ও পরকালীন নাজাত ও সর্বোচ্চ কামিয়াবী লাভের কারণ। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক করার তাওফীক্ব আমাদের সবাইকে দান করুন। (আমীন!)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৬)
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৫)
০২ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৪)
২৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনুসরণীয় চার মাযহাব উনাদের ফতওয়া মুতাবিক
১৯ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩)
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (৫)
০৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চারটি মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২)
০৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (৩)
০২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (২)
০১ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চারটি মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (১)
২৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (২৬)
২৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (২৫)
২৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)